রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সপ্তম শ্রেণির বাংলা

মোচ্ছা. রুবিনা খাতুন, সহকারী শিক্ষক, দখিনা রূপকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বাগাইছড়ি, রাঙামাটি
  ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
সপ্তম শ্রেণির বাংলা

পঞ্চম অধ্যায়- বুঝে পড়ি লিখতে শিখি,

পঞ্চম পরিচ্ছেদ- কল্পনানির্ভর লেখা

পড়ে কী বুঝলাম? (আমড়া ও ক্র্যাব নেবুলা)

প্রশ্ন : 'বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী' বলতে কী বোঝ?

উত্তর : বিজ্ঞানের বিভিন্ন ধারণাকে কেন্দ্র করে লেখা কাল্পনিক গল্পকে 'বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী' বলে।

প্রশ্ন :আগে আর কোন ধরনের কল্পকাহিনী তুমি পড়েছ?

উত্তর :এর আগে আমি রূপকথা, রাজা-রাণীর কাহিনী, দৈত্য-দানবের কাহিনী সম্পর্কিত কল্পকাহিনী পড়েছি।

প্রশ্ন : 'আমড়া ও ক্রাব নেবুলা' গল্পের কোন কোন ঘটনা কাল্পনিক?

উত্তর : 'আমড়া ও ক্রাব নেবুলা' গল্পে রঞ্জুর বলা ভালুক ও ময়ূরের ঘটনা, মহাকাশের আগন্তুকের ঘটনা, ফ্লাইং সসার থেকে বিদঘুটে প্রাণীর লেজারগান দিয়ে গুলি করার ঘটনা, রোবটের ঘটনা এবং ছাদে-আসা ফ্লাইং সসার ও কাঠির মতো মানুষদের ঘটনাগুলো কাল্পনিক।

প্রশ্ন : এই গল্পের কোন কোন ঘটনা বাস্তব?

উত্তর : এই গল্পে রঞ্জুর আব্বা, আম্মা ও বোন শিউলিরি সঙ্গে যেসব ঘটনা ঘটে তা বাস্তবের ঘটনা। যেমন-রঞ্জুর বাবা-মার সঙ্গে ঘুমানো, শিউলির সঙ্গে একঘরে শুতে দেওয়া, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথোপকথন, রঞ্জুর চমৎকার চমৎকার গল্পফাঁদা, দোয়াত ভেঙে যাওয়ার ঘটনা, শিউলিকে দেওয়া রঞ্জুর হাতের আমড়া ইত্যাদি।

প্রশ্ন : রূপকথার সাথে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর মিল-অমিল কোথায়?

উত্তর : রূপকথা ও বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর প্রধান মিল হচ্ছে দুটিই কল্পনা দিয়ে তৈরি। রাণী, ড্রাগন, রাক্ষস-খোক্ষস, পরী, মৎস্যকন্যা, ডাইনি ইত্যাদির গল্প; অন্যদিকে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে থাকে উন্নত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর নানা কাহিনী ও চরিত্রের গল্প। যেমন-

মহাকাশ অনুসন্ধান, সময়-ভ্রমণ, মহাবিশ্বের জীবন, রোবট, ফ্লাইং সসার ইত্যাদির গল্প। রূপকথা অনেকের সৃষ্টি, কিন্তু বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বিশেষের সৃষ্টি।

বলি ও লিখি

'আমড়া ও ক্র্যাক নেবুলা' গল্পটি নিজের ভাষায় বলো এবং নিজের ভাষায় লেখো। (মূল বইয়ের ১১৩ নম্বর পৃষ্ঠা)

চার বছর বয়সে রঞ্জু বানিয়ে বানিয়ে অদ্ভুত সব গল্প বলে। এমনভাবে বলে, মনে হয় সত্যি ঘটনাটা ঘটেছে। রঞ্জুকে বড় বোন শিউলির ঘরে আলাদা বিছানা-বালিশ দেওয়া হয়েছে যেখানে আজ থেকে সে ঘুমাবে। কিন্তু মাঝরাতে বিভিন্ন অযুহাতে সে মা-বাবার কাছে ঘুমাতে যেত। বানিয়ে গল্প বলার অভ্যাস তার বেড়ে যেতে থাকে। তার বানিয়ে বলা গল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- মহাকাশের কোনো এক আগন্তুক তাকে বস্ন্যাকহোলের গোপন রহস্যের কথা বলে গেছে। ফ্লাইং সসার থেকে বিদঘুটে কোনো প্রাণী লেজার গান দিয়ে তাকে গুলি করার চেষ্টা করেছে। জারুল গাছের নিচে চতুষ্কোণ একটা উজ্জ্বল আলো দেখে উঁকি দিতেই ভিন্ন এক বিশ্বব্রহ্মান্ডের একঝলক দেখতে পায় সে। শর্টকাট রাস্তায় আসতে আসতে হঠাৎ একটা রোবট বের হয়ে তাকে কুশল জিজ্ঞাস করে। এমন ধরনের বিচিত্র আজগুবি গল্প সে তার বোন শিউলিকে অবলীলায় বলে। একদিন সে হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে কালির দোয়াত ভেঙে টুকরা-টুকরা হয়ে যায়। ফলে কালি ছড়িয়ে কারপেটসহ সব জিনিস কালো হয়ে যায়। তাই রঞ্জুকে মায়ের কাছে বকা শুনতে হয়। বকা খেয়ে সে নির্জন ছাদে চলে আসে আর চাঁদের আলোয় মন শান্ত করে। হঠাৎ বাতাসের শো শো আওয়াজ শুনে সে পেছনে তাকিয়ে দেখে একটা মহাকাশযান ভাসছে। একটু পরে নীল আলোয় একটা আবছা ছায়াকে সে কিলবিল করতে দেখে। সেটি স্পষ্ট হতেই এ.কজন শুকনো কাঠির মতো মানুষ তার সাথে বাংলায় এমনকি চাটগায়ের ভাষায় কথা বলে। তারপর তাদের ক্রাব নেবুলার একটা ফুটো সারানোর জন্য তার কাছে থাকা চুইংগামটা একটু চিবিয়ে দিতে অনুরোধ করে। ফুটোটা বন্ধ করে মানুষটা ক্রাব নেবুলার একটা ত্রিমাত্রিক প্রতিচ্ছবি উপহার হিসেবে তার হাতে তুলে দিয়ে চলে যায়। সিড়ির আলোতে রঞ্জু আবিষ্কার করে যে, উপহারটা একটা আমড়া। শিউলি আপার জেরার একপর্যায়ে সে আমড়াটি তাকে দেয়। তারপর তার প্রশ্নের উত্তরে বলে, সবাই যেখানে পায়, সেখানেই সে আমড়াটি পেয়েছে।

লেখা নিয়ে আমার মতামত

'আমড়া ও ক্রাক নেবুলা' রচনাটির যেসব বক্তব্য নিয়ে তোমার মতামত রয়েছে, বা মনে প্রশ্নে জেগেছে তা নিচের ছকে লেখো। (মূল

বইয়ের ১১৪ নম্বর পৃষ্ঠা)

'আমড়া ও ক্র্যাব নেবুলা' রচনায় যা আছে আমার মতামত ও জিজ্ঞাসা

'আমড়া ও ক্র্যাব নেবুলা' রচনায় যা আছে

১. গভীর রাতে আম্মা দেখেন রঞ্জু ঘুম থেকে উঠে গুটি গুটি পায়ে হেঁটে চলে এসেছে। রঞ্জু তার আব্বা-আম্মার মাঝখানে শুতে শুতে বলল, ভালুকটা ঘুমাতে দেয় না।

আমার মতামত ও জিজ্ঞাসা

১. চার বছরের ছেলে মা-বাবাকে ছেড়ে একা থাকতে পারে কী? তাই হয়তো সে কল্পিত একটা অযুহাতের আশ্রয় নিয়েছে।

'আমড়া ও ক্র্যাব নেবুলা' রচনায় যা আছে

২. ব্যাপারটা এইভাবে শুরু হয়েছে- প্রয়োজনে রঞ্জু চমৎকার গল্প ফেঁদে বসে। আব্বা বলেন, ছোট মানুষ সত্যি-মিথ্যে গুলিয়ে ফেলে। বড় হলে ঠিক হয়ে যাবে।

আমার মতামত ও জিজ্ঞাসা

বাবা কী রঞ্জুকে সমর্থন করে উৎসাহিত করলেন? নাকি মাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য অভিনয় করলেন?

নাকি ব্যাপারটাকে গুরুত্বই দিলেন না? মনে হয় শেষেরটাই ঠিক।

'আমড়া ও ক্র্যাব নেবুলা' রচনায় যা আছে

৩. বছরখানেক পরে রঞ্জুকে নিয়ে সমস্যা আরো বেড়ে গেল- কারণ হঠাৎ করে সে সায়েন্স ফিকশন পড়তে আরম্ভ করেছে। সায়েন্স ফিকশনের উদ্ভব কাহিনী পড়ে তার মাথাটা পুরোপুরি বিগড়ে গেল।

আমার মতামত ও জিজ্ঞাসা

রঞ্জুর কল্পনার জগৎটা এখন বিজ্ঞানমনস্ক জগতে পরিণত হয়েছে।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে