বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মর্যাদা বজায় রেখে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় বিবেচনায় রাখা উচিত বলে তোমার মনে হয়, সেগুলো নিচে লেখো। (মূল বইয়ের ৪ নম্বর পৃষ্ঠা)
ক. ব্যক্তির বয়স ও তার সাথে সম্পর্কের ধরন অনুযায়ী সম্বোধন করা।
খ. উচ্চস্বরে বা অনেক নিচু স্বরে কথা না বলা।
গ. অসম্মানজনক অঙ্গভঙ্গি না করা।
ঘ. অন্য ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বিবেচনায় নেওয়া।
ঙ. প্রসঙ্গের মধ্যে থেকে কথা বলা।
চ. কথোপকথনের সময় কতটা ব্যয় হচ্ছে, তা বিবেচনায় রাখা।
ছ. চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলার চেষ্টা করা।
জ. ব্যক্তিগত প্রশ্ন না করা।
ঝ. সম্মানজনক শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা।
ঞ. স্থান ও পরিস্থিতির রীতিনীতি বিবেচনা করা।
ভাষায় মর্যাদা প্রকাশ
তুমি যেভাবে পরিবার এবং পরিবারের বাইরের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ কর, সে অনুযায়ী নিচের ছকটি পূরণ কর। পূরণ করা ছকের মিল-অমিল নিয়ে সহপাঠীর সঙ্গে আলোচনা কর। (মূল বইয়ের ৫ নম্বর পৃষ্ঠা)
কী বলি?
কাদের বলি?
বয়সে ছোট মানুষদের।
বয়োজ্যেষ্ঠ এবং অপরিচিত ব্যক্তিদের।
খুব কাছের বন্ধুদের।
সাধারণ পরিচিত ব্যক্তিদের।
বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের।
বয়সে ছোট মানুষদের।
নিচের বাক্যগুলো দেখো। বাক্যগুলোতে কোন কোন শব্দের পরিবর্তন হয়েছে, তা চিহ্নিত কর। (মূল বইয়ের ৫ নম্বর পৃষ্ঠা)
তুমি কেমন আছ ?
আপনি কেমন আছেন ?
তুই কেমন আছিস ?
\হসে কেমন আছে ?
তিনি কেমন আছেন ?
ও কেমন আছে ?
উত্তর : উপরে উলেস্নখিত বাক্যগুলোতে সর্বনাম এবং ক্রিয়া পদ বোঝায় এমন শব্দগুলোতে পরিবর্তন হয়েছে। যেমন- সর্বনাম পদ : তুমি, আপনি, তুই, সে, তিনি, ও ইত্যাদি। আবার ক্রিয়া পদ : আছ, আছেন, আছিস, আছে ইত্যাদি।
যোগাযোগের অনুশীলন
এবার দলে ভাগ হয়ে নিচের পরিস্থিতি অনুযায়ী ভূমিকাভিনয় কর। কথোপকথনের সময় খেয়াল রাখবে, মর্যাদা অনুযায়ী যেন সর্বনাম ও ক্রিয়ার ব্যবহার হয়। (মূল বইয়ের ৮ নম্বর পৃষ্ঠা)
পরিস্থিতি-১ : বাইরে থেকে মাত্র বাড়ি ফিরেছ। এমন সময় তোমার ছোট ভাই তোমার সঙ্গে খেলার জন্য বায়না ধরেছে। এ নিয়ে তার সঙ্গে কথা হচ্ছে।
আমি : রাজু, তুমি কী করছ ?
রাজু : আব্বু আমাকে একটি খেলনা গাড়ি কিনে দিয়েছেন। আমি সেটা দিয়ে খেলছি। তুমিও দয়া করে আমার সঙ্গে খেল না।
আমি : না রাজু। আমি এই মাত্র স্কুল থেকে ফিরেছি। আমি এখন বেশ ক্লান্ত। আমি খাওয়া-দাওয়া করে কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে নেই, এরপর আমরা দুইজনে একসঙ্গে খেলব।
রাজু : আচ্ছা, ঠিক আছে আপু।
পরিস্থিতি-২ : আজ নতুন বই হাতে পেয়েছ। খবরটি তোমার দাদা বা নানাকে ফোন করে জানাও।
আমি : আসসালামু-আলাইকুম দাদা, কেমন আছ ?
দাদা : ওয়ালাইকুম-আসসালাম, আমি ভালো আছি, তুমি ভালো আছ তো ?
আমি : হঁ্যা দাদা, আমিও ভালো আছি। দাদা, তোমাকে একটি সুখবর দেওয়ার জন্য ফোন করেছি। আজ আমাদের স্কুলে নতুন বই দিয়েছে। আমি নতুন ক্লাসে উঠেছি আর নতুন ক্লাসের সবগুলো বই পেয়েছি।
দাদা : তাই? বেশ ভালো একটি খবর তো! তুমি নিশ্চয়ই বইগুলো পেয়ে খুব আনন্দিত?
আমি : হঁ্যা দাদা, আমি তো খুশিতে ইতোমধ্যেই বইয়ের বেশ কয়েকটি গল্প পড়ে ফেলেছি। আমার কাছে নতুন ক্লাসের বইগুলো বেশ দারুণ লাগছে।
দাদা : শুনে বেশ ভালো লাগল। আমি আশা করছি, নতুন ক্লাসে তুমি মন দিয়ে পড়াশোনা করবে।
আমি : অবশ্যই। আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করব। তুমি আমার জন্য দোয়া করবে।
দাদা :সে আর বলতে! আলস্নাহ তোমার মঙ্গল করুন।
পরিস্থিতি-৩ : তোমার চাচা টেলিফোন করে জানালেন, তোমার দাদি অসুস্থ। এ নিয়ে চাচার সঙ্গে আলাপ করেছ।
আমি : হ্যালো, চাচা, আসসালামু-আলাইকুম। কেমন আছেন ?
চাচা : ওয়ালাইকুম-আসসালাম, আমি ভালো আছি। একটি জরুরি খবর দেওয়ার জন্য তোমাকে ফোন করেছি। বেশ কয়েকদিন যাবত তোমার দাদি বেশ অসুস্থ। আর আজ তিনি অনেক বেশি অসুস্থবোধ করছেন।
আমি : সে কি? তার কী হয়েছে?
চাচা : আসলে তার বুকে ব্যথাটা একটু বেড়ে গেছে। খুব সম্ভবত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু আমি একা সেটা করতে পারছি না। তুমি কি তোমার বাবাকে একটু জানাবে?
আমি : হঁ্যা চাচা, অবশ্যই। বাবা এখন বাড়িতে নেই। বাড়িতে আসলে আমি অবশ্যই তাকে বিষয়টি জানাব।
চাচা : ঠিক আছে মা, ভালো থেকো।
আমি : আপনিও ভালো থাকবেন চাচা।
জরুরি যোগাযোগ
অনেক সময় জরুরি প্রয়োজনে কারও সঙ্গে বা কোনো সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। নিচে কিছু জরুরি পরিস্থিতি দেওয়া হলো। এমন পরিস্থিতিতে তুমি বা তোমরা কার সঙ্গে যোগাযোগ করবে, তা নিচে লেখো। (মূল বইয়ের ৮ নম্বর পৃষ্ঠা)
১. তোমার এলাকায় কোনো বাড়িতে আগুন লেগেছে।
যোগাযোগ করব : নিকটস্থ ফায়ার সার্ভিসে।
২. খেলার মাঠে এক বন্ধু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
যোগাযোগ করব : নিকটস্থ ডাক্তারের দোকানে, হাসপাতালে।
৩. ঝড়ের পর বিদু্যতের তার রাস্তায় পড়ে আছে।
যোগাযোগ করব : নিকটস্থ বিদু্যৎ অফিসে।
৪. হারিয়ে যাওয়া কোনো শিশুকে খুঁজে পাওয়া গেছে।
যোগাযোগ করব : নিকটস্থ থানায়।