মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা

মোচ্ছা. রুবিনা খাতুন, সহকারী শিক্ষক, দখিনা রূপকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বাগাইছড়ি, রাঙামাটি
  ২৫ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা

প্রথম অধ্যায়

মর্যাদা বজায় রেখে যোগাযোগ করি :

নিচে কয়েকটি পরিস্থিতির উলেস্নখ আছে। এসব পরিস্থিতিতে কী ধরনের যোগাযোগ হয়, ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে আলোচনা কর এবং ভূমিকাভিনয়ের মাধ্যমে উপস্থাপন কর। (মূল বইয়ের ১-৪ নম্বর পৃষ্ঠা)

পরিস্থিতি-১ : রাতের খাওয়া শেষে পরিবারের সবাই মিলে কথা বলছি। সারাদিন কে কী করেছি, তা নিয়ে কথা হচ্ছে।

বাবা : মীনা, কী খবর, তুমি আজ স্কুলে গিয়েছিলে?

মীনা : হঁ্যা বাবা, আজ আমাদের স্কুলে দারুণ একটি অনুষ্ঠান হয়েছে। আমরা সেই অনুষ্ঠানে অনেক মজা করেছি।

বাবা : তাই? রাজু, তোমার কী খবর? তোমার হাঁস-মুরগির খবর কী?

রাজু : জানো বাবা, আমার মুরগিটি আজ প্রথম ডিম দিয়েছে, আমার অনেক ভালো লাগছে।

মা : মীনা বলছিল, ওদের স্কুলে নাকি একটি অভিভাবক সমাবেশ হবে। তুমি কি সেখানে যেতে পারবে?

বাবা : আমার মনে হয় না আমি যেতে পারব। কারণ, অফিস থেকে ছুটি পাওয়া যাবে না। সবচেয়ে ভালো হয়, তুমি সেখানে যাও।

মা : আচ্ছা ঠিক আছে। রাজু-মীনা, কিছুক্ষণ টিভি দেখে শুয়ে পড়ো। সকালে স্কুলে যেতে হবে।

রাজু-মীনা : ঠিক আছে মা।

পরিস্থিতি-২: মায়ের সঙ্গে ছেঁড়া জুতা সেলাই করতে গিয়েছি। একজন মুচি রাস্তার মোড়ে বসে আছেন। তার সঙ্গে আমার ও মায়ের কথা হচ্ছে।

মা : আস্‌সালামু-আলাইকুম, কেমন আছেন?

মুচি : ওয়ালাইকুম-আসসালাম, আমি ভালো আছি, আপনারা ভালো আছেন?

মা : হঁ্যা, ভালো আছি। আমার ছেলের জুতাটা ছিঁড়ে গেছে। আপনি কি মেরামত করে দিতে পারবেন?

মুচি : হঁ্যা, অবশ্যই। কই, দেখি জুতাটা।

মা : রাজু, জুতাটা দাও তো বাবা।

রাজু : এই যে মা, এই জুতাটা।

মুচি : জুতাটা তো বেশ অনেকখানি ছিঁড়ে গেছে। এটা সেলাই করতে ৫০ টাকা লাগবে।

মা : আচ্ছা, ঠিক আছে। আপনি ভালো করে সেলাই করে দিন।

মুচি : ঠিক আছে আপা। আপনি এখানে কিছুক্ষণ বসুন, আমি এখনই সেলাই করে দিচ্ছি।

পরিস্থিতি-৩ : হাসপাতালে অসুস্থ আত্মীয় ভর্তি হয়ে আছেন। বাবার সঙ্গে তাকে দেখতে গিয়েছি এবং তার চিকিৎসার খোঁজ নিচ্ছি।

আমি : রফিক চাচা, আপনার অসুস্থতার খবর শুনে খুবই মর্মাহত হয়েছি। তাই আর দেরি না করে আপনাকে দেখতে আসলাম। আপনি এখন কেমন বোধ করছেন?

রফিক চাচা : এখন কিছুটা ভালো বোধ করছি মা। তবে পায়ের ব্যথাটা এখনো পুরোটা সারেনি। তাই ভালোভাবে হাঁটতে পারছি না।

আমার বাবা : আপনি ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী ওষুধ খেয়ে যান। আশা করছি, আপনি খুব দ্রম্নতই সুস্থ হয়ে উঠবেন।

রফিক চাচা : হঁ্যা, আমি ঠিক তাই করছি। আমাকে দেখতে আসার জন্য তোমাদের অনেক ধন্যবাদ।

আমি : না চাচা, ধন্যবাদ দেওয়ার কিছুই নেই। এটা তো আমাদের দায়িত্ব।

যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিবেচ্য।

বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মর্যাদা বজায় রেখে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় বিবেচনায় রাখা উচিত বলে তোমার মনে হয়, সেগুলো নিচে লেখো। (মূল বইয়ের ৪ নম্বর পৃষ্ঠা)

ক. ব্যক্তির বয়স ও তার সাথে সম্পর্কের ধরন অনুযায়ী সম্বোধন করা।

খ. উচ্চস্বরে বা অনেক নিচু স্বরে কথা না বলা।

গ. অসম্মানজনক অঙ্গভঙ্গি না করা।

ঘ. অন্য ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বিবেচনায় নেওয়া।

ঙ. প্রসঙ্গের মধ্যে থেকে কথা বলা।

চ. কথোপকথনের সময় কতটা ব্যয় হচ্ছে, তা বিবেচনায় রাখা।

ছ. চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলার চেষ্টা করা।

জ. ব্যক্তিগত প্রশ্ন না করা।

ঝ. সম্মানজনক শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা।

ঞ. স্থান ও পরিস্থিতির রীতিনীতি বিবেচনা করা।

ভাষায় মর্যাদা প্রকাশ

তুমি যেভাবে পরিবার এবং পরিবারের বাইরের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ কর, সে অনুযায়ী নিচের ছকটি পূরণ কর। পূরণ করা ছকের মিল-অমিল নিয়ে সহপাঠীর সঙ্গে আলোচনা কর। (মূল বইয়ের ৫ নম্বর পৃষ্ঠা)

কী বলি?

কাদের বলি?

বয়সে ছোট মানুষদের।

বয়োজ্যেষ্ঠ এবং অপরিচিত ব্যক্তিদের।

খুব কাছের বন্ধুদের।

সাধারণ পরিচিত ব্যক্তিদের।

বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের।

বয়সে ছোট মানুষদের।

নিচের বাক্যগুলো দেখো। বাক্যগুলোতে কোন কোন শব্দের পরিবর্তন হয়েছে, তা চিহ্নিত কর। (মূল বইয়ের ৫ নম্বর পৃষ্ঠা)

তুমি কেমন আছ ?

আপনি কেমন আছেন ?

তুই কেমন আছিস ?

\হসে কেমন আছে ?

তিনি কেমন আছেন ?

ও কেমন আছে ?

উত্তর : উপরে উলেস্নখিত বাক্যগুলোতে সর্বনাম এবং ক্রিয়া পদ বোঝায় এমন শব্দগুলোতে পরিবর্তন হয়েছে। যেমন- সর্বনাম পদ : তুমি, আপনি, তুই, সে, তিনি, ও ইত্যাদি। আবার ক্রিয়া পদ : আছ, আছেন, আছিস, আছে ইত্যাদি।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে