পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
প্রকাশ | ১৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
প্রশ্ন : আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে? এ দিবসটি কেন পালন করা হয়? এ দিবসটির তাৎপর্য চারটি বাক্য লেখ।
উত্তর : আন্তর্জাতিক নারী দিবস ৮ মার্চ। নারী-পুরুষের বৈষম্য হ্রাস করার জন্য দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটির চারটি
তাৎপর্য হলো-
১. নারী-পুরুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবধান কমাতে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়।
২. নারীর অধিকার নিশ্চিত করাসহ নানা বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়।
৩. সমাজে নারী-পুরুষের সমতা অর্জনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়।
৪. নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছেন এমন মহীয়সীদের এই দিনে স্মরণ করা হয়।
প্রশ্ন : নারী নির্যাতন কী? নারীরা নির্যাতিত হয় কেন? নারী নির্যাতন প্রতিরোধের চারটি উপায় লেখ।
উত্তর : নারী হিসেবে মানবাধিকার খর্ব করাই হচ্ছে নারী নির্যাতন। যৌতুকের জন্য নারীরা নির্যাতিত হয়। নারী নির্যাতন প্রতিরোধের চারটি উপায় হচ্ছে-
১. নির্যাতনের শিকার নারীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান
করা হয়।
২. আইনি সহায়তা প্রদান করা।
৩. জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন করা।
৪. সামাজিক মূল্যবোধের উন্নয়ন ঘটানো।
আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য
প্রশ্ন : সমাজ কী? সমাজের প্রয়োজন কেন? সমাজের প্রতি আমাদের চারটি কর্তব্য উলেস্নখ করো।
উত্তর : চারপাশের পরিবেশ, মানুষ ও তাদের কাজ নিয়ে আমাদের সমাজ। মানুষ একা বাঁচতে পারে না। সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য সমাজ প্রয়োজন। সমাজের প্রতি আমাদের চারটি কর্তব্য হলো-
১. সমাজের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন মেনে চলা।
২. সুবিধাবঞ্চিতদের সহযোগিতা করা।
৩. সমাজের বিভিন্ন কাজে সহায়তা করা।
৪. সমাজের বিভিন্ন সম্পদ যেমন- পার্ক, খেলার মাঠ ইত্যাদি সংরক্ষণ করা।
প্রশ্ন : দুর্ঘটনা কী? দুর্ঘটনা ঘটে কেন? বাড়িতে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার চারটি উপায় লেখ।
উত্তর : অসতর্কতা বা অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে হঠাৎ করে যে বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তাই দুর্ঘটনা। নিজের কিংবা অন্যের অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। বাড়িতে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার চারটি উপায় হলো-
১. ছুরি, কাঁচি জাতীয় ধারালো জিনিস সাবধানে ব্যবহার করা।
২. খালি পায়ে বা ভেজা হাতে বৈদু্যতিক সুইচ না ধরা।
৩. ওষুধ ও কীটনাশকের গায়ে স্পষ্ট করে নাম লিখে রাখা, যেন ভুল করে কেউ খেয়ে না ফেলে।
৪. আগুনের ব্যবহারে সতর্ক থাকা।
প্রশ্ন : নাগরিক কারা? নাগরিকরা রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে কেন? একজন সুনাগরিকের চারটি গুণাবলি লেখ।
উত্তর : যারা রাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করে এবং রাষ্ট্রের দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে তারাই নাগরিক। নাগরিকরা রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও উন্নয়নের স্বার্থে দায়িত্ব এবং কর্তব্য পালন করে। তারাও বিনিময়ে বিভিন্ন সুবিধা পায়। একজন সুনাগরিকের চারটি গুণাবলি হচ্ছে-
১. রাষ্ট্রের আইন মেনে চলা।
২. নিয়মিত কর প্রদান।
৩. রাষ্ট্রের সম্পদ নষ্ট না করা।
৪. রাষ্ট্র প্রদত্ত শিক্ষা গ্রহণ।
গণতান্ত্রিক মনোভাব
\হপ্রশ্ন : গণতন্ত্র কী? গণতন্ত্র চর্চা করা প্রয়োজন কেন? গণতন্ত্র চর্চার চারটি উপকারিতা লেখ।
উত্তর : গণতন্ত্র হলো জনগণের শাসন। কোনো কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা ও সবার মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টির জন্য গণতন্ত্র চর্চা করা প্রয়োজন। গণতন্ত্র চর্চার চারটি উপকারিতা হলো-
১. গণতন্ত্র মানুষকে সহনশীল হতে শেখায়।
২. গণতন্ত্র মানুষকে মিলেমিশে চলতে শেখায়।
৩. অন্যের মতকে সম্মান জানানো যায়।
৪. সবাই মতপ্রকাশের সুযোগ পায়।
প্রশ্ন : দেশপ্রেম কী? দেশপ্রেম প্রয়োজন কেন? একজন দেশপ্রেমিকের চারটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর : মাতৃভূমি তথা দেশের প্রতি ভালোবাসাই দেশপ্রেম। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং সার্বিক উন্নয়নের জন্যই দেশপ্রেম প্রয়োজন। একজন দেশপ্রেমিকের চারটি বৈশিষ্ট্য হলো-
১. দেশের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান।
২. দেশের সব আইন মেনে চলা।
৩. দেশের সম্পদ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা।
৪. সব ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকা।
প্রশ্ন : পরিবার কী? পরিবারে গণতন্ত্র চর্চা প্রয়োজন কেন? পরিবারে গণতন্ত্র চর্চার চারটি সুবিধা লেখ।
উত্তর : পরিবার হচ্ছে মোটামুটিভাবে স্থায়ী এমন একটি সংঘ যেখানে সন্তানাদিসহ বা সন্তানহীনভাবে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বসবাস করেন। গণতন্ত্র চর্চার ফলে পরিবারের সবাই স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারবে। পরিবারে গণতন্ত্র চর্চার চারটি সুবিধা হলো-
১. সব জায়গায় গণতান্ত্রিক আচরণ করতে হবে।
২. আমাদের দেশের গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে।
৩. সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মনোভাব গড়ে উঠবে।
৪. পরস্পরের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে।
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
প্রশ্ন : গারোদের ঐতিহ্যবাহী উৎসবের নাম কী? তারা এ উৎসব পালন করে কেন? গারোদের ঐতিহ্যবাহী উৎসব সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।
উত্তর : গারোদের ঐতিহ্যবাহী উৎসবের নাম 'ওয়ানগালা'। গারোরা নতুন শস্য ওঠার জন্য সূর্য দেবতা সালজং-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য ওয়ানগালা উৎসবটি পালন করে।
গারোদের ঐতিহ্যবাহী উৎসব সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-
১. সাধারণত নতুন শস্য ওঠার সময় বা অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
২. বিভিন্ন ধরনের বাদ্য বাজিয়ে উৎসবটি উদযাপন করা হয়।
৩. নতুন শস্য ওঠার জন্য সূর্য দেবতা সালজং-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা হিসেবে নতুন শস্য উৎসর্গ করেন।
৪. এ উৎসব উদযাপনের আগ পর্যন্ত গারোরা নতুন শস্য খান না।