বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
  ০৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

প্রশ্ন : ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের গুরুত্ব সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।

উত্তর : ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য

লেখা হলো-

১. ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ ছিল প্রথম ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম।

২. এই বিদ্রোহের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারতবর্ষকে স্বাধীন করা।

৩. সিপাহি বিদ্রোহে বিদ্রোহীরা পরাজিত হলেও এর ফলেই

কোম্পানির শাসনের অবসান হয়।

৪. শুরু হয় ব্রিটিশ রাজা তথা রানী ভিক্টোরিয়ার শাসন।

৫. জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ সরকার কোনো বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণ করবে না বলে রানী ভিক্টোরিয়া প্রতিশ্রম্নতি দেন।

প্রশ্ন : বাংলা নবজাগরণের ফলাফল কী ছিল? পাঁচটি বাক্য লেখ।

উত্তর : বাংলা নবজাগরণের ফলাফল ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। পাঁচটি বাক্য তা লেখা হলো-

১. উনিশ শতকে বাংলা তথা ভারতে জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশ ঘটে।

২. ১৮৮৫ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নামক রাজনৈতিক দল গঠিত হয়।

৩. পূর্ব বাংলা ও আসাম নিয়ে একটি নতুন প্রদেশ গঠন করা হয়।

৪. বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে বাংলায় তীব্র আন্দোলন গড়ে ওঠে।

৫. ১৯০৬ সালে ভারতীয় মুসলিম লীগ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠিত হয়।

প্রশ্ন : কত শতক পর্যন্ত ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলতে থাকে? এ ধরনের আন্দোলন সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।

উত্তর : ২০ শতক পর্যন্ত ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলতে থাকে। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-

১. ভারতের বড় আন্দোলনগুলোর মধ্যে ছিল স্বরাজ আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন এবং সশস্ত্র যুব বিদ্রোহ।

২. এসব আন্দোলনে মাস্টারদা সূর্যসেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার এবং ক্ষুদিরামের আত্মত্যাগ ও সাহসিকতা চিরস্মরণীয়।

৩. রাজনৈতিক আন্দোলন তৃতীয় ধাপে নেতৃত্ব দিয়েছেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু এবং শেরে-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক।

৪. কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাদের লেখনীর মাধ্যমে বাঙালির স্বাধিকার চেতনা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন

প্রশ্ন : বাংলাদেশের একটি বিশেষ খ্যাতনামা ঐতিহাসিক স্থান যেটি বগুড়া শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। এ ঐতিহাসিক স্থানটির নাম কী? স্থানটি কোন নদীর তীরে অবস্থিত? স্থানটি সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখো।

উত্তর : ঐতিহাসিক স্থানটির নাম মহাস্থানগড়। মহাস্থানগড় করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত। মহাস্থানগড় সম্পর্কে তিনটি বাক্য হলো-

১. মহাস্থানগড় খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ অব্দ থেকে ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় ১৯০০ বছরের ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে।

২. মৌর্য আমলে এ স্থানটি পুন্ড্রনগর নামে পরিচিত ছিল।

৩. মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ৩.৩৫ মিটার লম্বা খোদাই পাথর।

প্রশ্ন : স্কুলের শিক্ষার্থীরা পাল রাজা ধর্মপালের আমলে নির্মিত একটি ঐতিহাসিক স্থান দেখতে গিয়েছিল। উক্ত স্থান কোনটি? স্থানটি কোথায় অবস্থিত? এ স্থান সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখো।

উত্তর : স্থানটি হলো পাহাড়পুর। পাহাড়পুর রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলায় অবস্থিত। পাহাড়পুর সম্পর্কে তিনটি বাক্য হলো-

১. ঐতিহাসিক নিদর্শন পাহাড়পুর ৭৮১-৮৮১ খ্রিষ্টাব্দে পাল রাজা ধর্মপালের শাসনামলে নির্মিত হয়।

২. এখানে ২৪ মিটার উঁচু গড় রয়েছে, যেটি 'সোমপুর মহাবিহার' নামেও পরিচিত।

৩. সোমপুর মহাবিহার ছাড়াও পাহাড়পুরে মন্দির, রান্নাঘর, খাবার ঘর এবং পাকা নর্দমা রয়েছে।

প্রশ্ন : কোন ঐতিহাসিক স্থানটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের কুমিলস্না শহরের কাছে অবস্থিত। স্থানটি বৌদ্ধ সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্র ছিল। ঐতিহাসিক স্থানটির নাম কী? স্থানটিতে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলো সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখো। উত্তর : ঐতিহাসিক স্থানটির নাম ময়নামতি। ময়নামতিতে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলো সম্পর্কে ৪টি বাক্য হলো-

১. ময়নামতিতে হিন্দু ও জৈন ধর্মের নিদর্শন পাওয়া গেছে।

২. এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়।

৩. জীবজন্তু অঙ্কিত পোড়ামাটির বিভিন্ন স্মৃতির নিদর্শন দেখা যায়।

৪. ময়নামতিতে বিভিন্ন মুদ্রা ও পাথরের ফলক পাওয়া গেছে।

প্রশ্ন : ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে একটি ঐতিহাসিক স্থান অবস্থিত। এটি বাংলার নবাবদের প্রাসাদ ছিল। উক্ত স্থানের নাম কী? উক্ত স্থানের ইতিহাস সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখো।

উত্তর : ওই স্থানের নাম আহসান মঞ্জিল। আহসান মঞ্জিলের ইতিহাস সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-

১. আহসান মঞ্জিল বাংলাদেশের একটি উলেস্নখযোগ্য স্থাপত্য নিদর্শন।

২. মুঘল আমলে বরিশালের জামালপুর পরগনার জমিদার শেখ এনায়েতউলস্না এ প্রাসাদটি তৈরি করেন।

৩. আঠারো শতকে তার পুত্র শেখ মতিউলস্নাহ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে প্রাসাদটি ফরাসি বণিকদের কাছে বিক্রি করে দেন।

৪. ১৮৩০ সালে খাজা আলিমুলস্নাহ ফরাসিদের কাছ থেকে প্রাসাদটি ক্রয় করে এটিকে আবার প্রাসাদে পরিণত করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে