পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
প্রশ্ন : সিপাহি বিদ্রোহের দুটি অন্যতম কারণ লেখ। সিপাহি বিদ্রোহে বাংলার ভূমিকা কী ছিল তিনটি বাক্যে লেখ।
উত্তর :সিপাহি বিদ্রোহের অন্যতম দুটি কারণ-
ক) কামান ও বন্দুকের কার্তুজ পিচ্ছিল করার জন্য গরু ও শূকরের চর্বি ব্যবহারের গুজব নিয়ে ধর্মীয় অশান্তি তৈরি করা হয়েছিল।
খ) ভারতের বিভিন্ন সৈন্যদের মধ্যে সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল।
সিপাহি বিদ্রোহে বাংলার ভূমিকা-
১. পশ্চিম বাংলার ব্যারাকপুরে মঙ্গল পান্ডের নেতৃত্বে এ বিদ্রোহ শুরু হয়ে ভারতে ছড়িয়ে পড়ে।
২. সৈন্যদের আন্দোলনকে সমর্থন জানানোর জন্য সাধারণ মানুষ প্রস্তুত ছিল।
৩. অনেক বাঙালি সিপাহি এ বিদ্রোহে অংশগ্রহণের কারণে জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন।
প্রশ্ন :কত বছর বয়সে সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার নবাব হন? সিংহাসন আহরণের পর তাকে কোন শক্তির মুখোমুখি হতে হয়? নবাবের বিরুদ্ধে তিনজন ষড়যন্ত্রকারীর নাম লেখ?
উত্তর : মাত্র ২২ বছর বয়সে সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার নবাব হন। সিংহাসনে আহরণের পর তাকে নানা ষড়যন্ত্র ও বিরোধী শক্তির মুখোমুখি হতে হয়। নবাবের বিরুদ্ধে তিনজন ষড়যন্ত্রকারীর পরিচয়-
১. বড় খালা ঘষেটি বেগম।
২. সেনাপতি মীর জাফর আলী খান।
৩. বণিক গোষ্ঠীর রায়দুর্লভ।
প্রশ্ন : কত সালে পলাশীর যুদ্ধ হয়েছিল? পলাশীর যুদ্ধ কেন হয়েছিল? পলাশী যুদ্ধের তিনটি ফলাফল লেখ? উত্তর: ১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধ হয়েছিল। নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে শাসন ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার জন্য পলাশীর যুদ্ধ হয়েছিল। পলাশীর যুদ্ধের তিনটি ফলাফল-
১. পলাশী যুদ্ধের মাধ্যমে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পরাজয় ঘটে।
২. এ যুদ্ধের ফলে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে হত্যা করা হয়।
৩. পলাশী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলায় ইংরেজ শাসনের ভিত্তি স্থাপিত হয়।
প্রশ্ন : ব্রিটিশ শাসনের দুটি ভালো ও তিনটি খারাপ দিক লেখ।
উত্তর : ব্রিটিশ শাসনের দুটি ভালো দিক-
১. নতুন নতুন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার ফলে শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি হয়।
২. শিক্ষা ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতির ফলে বাংলায় নবজাগরণ ঘটে।
ব্রিটিশ শাসনের তিনটি খারাপ দিক হলো-
৩. 'ভাগ কর শাসন কর' নীতির ফলে এ দেশের মানুষের মধ্যে ধর্ম, বর্ণ, জাতি এবং অঞ্চলভেদে বিভেদ সৃষ্টি হয়।
৪. অনেক কারিগর বেকার ও অনেক কৃষক গরিব হয়ে যায় এবং বাংলায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়।
৫. অল্পসংখ্যক জমিদার শ্রেণি অনেক জমির মালিক হন এবং বাংলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ গরিব হয়ে যায়।
প্রশ্ন. সিপাহি বিদ্রোহের তিনটি কারণ ও দুটি ফলাফল লেখ।
উত্তর : সিপাহি বিদ্রোহের তিনটি কারণ-
১. কামান ও বন্দুকের কার্তুজ পিচ্ছিল করার জন্য গরুর এবং শূকরের চর্বি ব্যবহারের গুজব।
২. ভারতের বিভিন্ন এলাকার সৈন্যদের মধ্যে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল।
৩. ১৮৫৬ সালের পর ভারতের বাইরেও এ দেশীয় সৈন্যদের কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
সিপাহি বিদ্রোহের দুটি ফলাফল-
৪. পশ্চিম বাংলার ব্যারাকপুরে মঙ্গল পান্ডের নেতৃত্বে এ বিদ্রোহ শুরু হয়ে সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে।
৫. ভারতের শাসনভার ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে মহারানী ভিক্টোরিয়ার হাতে চলে যায়।
প্রশ্ন : সিপাহি বিদ্রোহের পাঁচটি কারণ লেখ।
উত্তর : সিপাহি বিদ্রোহের পাঁচটি কারণ-
১. সেনাবাহিনীতে সিপাহি পদে ভারতীয়দের সংখ্যাধিক্য ছিল।
২. ভারতে বিভিন্ন এলাকার সৈন্যদের মধ্যে সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল।
৩. ১৮৫৬ সালের পর ভারতের বাইরেও সৈন্যদের কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
৪. কামান ও বন্দুকের কার্তুজ পিচ্ছিল করার জন্য গরুর এবং শূকরের চর্বি ব্যবহারের গুজব নিয়ে ধর্মীয় অশান্তি সৃষ্টি হয়েছিল।
৫. সৈন্যদের আন্দোলনকে সমর্থন জানানোর জন্য সাধারণ মানুষ প্রস্তুত ছিলেন। তাই এ আন্দোলন দ্রম্নতই সৈন্যদের থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রশ্ন : বাংলার শিক্ষা ও অর্থনীতিতে ব্রিটিশদের প্রভাব পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : বাংলার শিক্ষা ও অর্থনীতিতে ব্রিটিশদের প্রভাব সম্পর্কিত পাঁচটি বাক্য হলো
১. ইংরেজদের মাধ্যমে বাংলায় ইংরেজি শিক্ষার প্রচলন হয়।
২. শিক্ষা বিস্তারে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
৩. আধুনিক ও ইংরেজি শিক্ষার ফলে এ দেশে ক্রমে একটা ইংরেজি শ্রেণি গড়ে ওঠে।
৪. ব্রিটিশ শাসনামলে বাংলার অর্থনীতির মেরুদন্ড কৃষি ও এককালের তাঁতশিল্প প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়।
৫. বাংলার শিল্প, বাণিজ্য ও নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রশ্ন : কত সালে বাংলাসহ ভারতের শাসনভার ব্রিটিশ সরকারের হাতে চলে যায়? ব্রিটিশ শাসনের ভালো দিক সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।
উত্তর : ১৮৫৮ সালে বাংলাসহ ভারতের শাসনভার ব্রিটিশ সরকারের হাতে চলে যায়।
ব্রিটিশ শাসনামলের ভালো দিক সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-
১. নতুন নতুন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার ফলে শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি হয়।
২. টেলিগ্রাফ ব্যবস্থার প্রচলন ঘটে।
৩. সড়ক ও রেলপথ উন্নয়নের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়।
৪. শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে উনিশ শতকে বাংলায় নবজাগরণ ঘটে।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়