পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

প্রকাশ | ০৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
প্রশ্ন. বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের নাম কী? এ সরকার গঠন করা হয় কেন? মুজিবনগর সরকারের তিনটি সফলতা লেখ। উত্তর : মুজিবনগর সরকার। মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। মুজিবনগর সরকারের তিনটি সফলতা হলো- ১. মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা। ২. মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন করা। ৩. মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়। প্রশ্ন. বীরশ্রেষ্ঠ কারা? বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি প্রদান করা হয়েছিল কেন? মুক্তিযুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠদের অবদান সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখ। উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে অসীম সাহসের সঙ্গে যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছেন সাতজন যোদ্ধাই বীরশ্রেষ্ঠ। যুদ্ধের পর মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব ও সাহসিকতা প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার বীরত্বসূচক রাষ্ট্রীয় উপাধি প্রদান করেন। মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠদের তিনটি অবদান হলো- ১. বীরশ্রেষ্ঠরা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন। ২. বীরশ্রেষ্ঠদের সাহসিকতা ও ত্যাগের জন্য আমরা পেয়েছি নিজস্ব একটি ভূখন্ড। ৩. পৃথিবীর বুকে আমরা একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক। প্রশ্ন. মুজিবনগর সরকার কবে গঠিত হয়? এ সরকার সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ। উত্তর : মুজিবনগর সরকার ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত হয়। মুজিবনগর সরকার সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো- ১. ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এ সরকার শপথগ্রহণ করে। ২. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এ সরকারের রাষ্ট্রপতি। ৩. মুজিবনগর সরকার গঠনের পর মুক্তিযুদ্ধের গতি বৃদ্ধি পায়। ৪. এ সরকারের নেতৃত্বে সব শ্রেণির বাঙালিরা দেশকে শত্রম্নমুক্ত করার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। প্রশ্ন. মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষ কীভাবে অংশ নিয়েছিলেন পাঁচটি বাক্য লেখ। উত্তর :মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষ যেভাবে অংশ নিয়েছিলেন সে সম্পর্কিত পাঁচটি বাক্য হলো- ১. মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিয়ে। ২. খাদ্য দিয়ে। ৩. শত্রম্ন সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করে। ৪. লড়াই চালিয়ে যেতে মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহ দিয়ে। ৫. যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। প্রশ্ন. শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আমরা কত তারিখে পালন করি? চারজন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম লেখ। উত্তর :শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আমরা ১৪ ডিসেম্বর পালন করি। চারজন শহীদ বুদ্ধিজীবী হলেন- ১. অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী ২. ডা. ফজলে রাব্বী ৩. ডা. আলীম চৌধুরী ৪. সাংবাদিক সেলিনা পারভিন প্রশ্ন. মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী সংগঠনগুলোর নাম লেখ। এ সংগঠনগুলোর কার্যক্রম তিনটি বাক্য লেখ। উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী সংগঠনগুলো হলো- শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর ও আলশামস। মুক্তিযুদ্ধে সংগঠনগুলোর তিনটি কার্যক্রম- ১. মুক্তিযুদ্ধের সময় বিরোধী ভূমিকা পালন করেছিল। ২. এরা মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্য এবং মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক সাধারণ মানুষের নামের তালিকা তৈরি করে হানাদারদের দিয়েছিল। ৩. তারা পাকিস্তানি বাহিনীকে পথঘাট চেনাতে ভাষা বুঝিয়ে দিতে এবং নির্যাতন ও তান্ডব চালাতে সাহায্য করেছিল। প্রশ্ন: পাঁচটি বাক্য মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য বর্ণনা করো। উত্তর :মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য নিচে পাঁচটি বাক্য বর্ণনা করা হলো- ১. মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা আমাদের এই দেশ পেয়েছি। ২. মুক্তিযুদ্ধের ফলেই পৃথিবীর বুকে আজ আমরা একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক। ৩. আমরা পেয়েছি নিজস্ব একটি ভূ-খন্ড, একটি স্বাধীন পতাকা। ৪. পেয়েছি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। ৫. মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে পেরেছি। প্রশ্ন :মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় উপাধি কয়টি? মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সর্বোচ্চ বীরত্বসূচক উপাধি কোনটি? এ উপাধিপ্রাপ্ত তিনজনের নাম লেখ। উত্তর :মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় উপাধি চারটি। মুক্তিযুদ্ধের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সর্বোচ্চ বীরত্বসূচক উপাধি হচ্ছে বীরশ্রেষ্ঠ। \হউপাধিপ্রাপ্ত তিনজনের নাম হলো- ১. ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। ২. ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান। ৩. সিপাহি মোস্তফা কামাল। প্রশ্ন :যে কোনো পাঁচজন বীরশ্রেষ্ঠের নাম লেখ। উত্তর :১. ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। ২. ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান। ৩. সিপাহি হামিদুর রহমান। ৪. ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ। ৫. সিপাহি মোস্তফা কামাল। ব্রিটিশ শাসন প্রশ্ন : ১৮৫৮ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত বাংলাসহ ভারতে এক ধরনের শাসন বিদ্যমান ছিল। এখানে কোন শাসনের কথা বলা হয়েছে? বাংলা উক্ত শাসনের প্রভাব চারটি বাক্য লেখ। উত্তর : ব্রিটিশ শাসনের কথা বলা হয়েছে। বাংলায় ব্রিটিশ শাসনের চারটি প্রভাব- ১. 'ভাগ কর শাসন কর' নীতির ফলে এ দেশের মানুষের মধ্যে ধর্ম, বর্ণ, জাতি এবং অঞ্চলভেদে বিভেদ সৃষ্টি হয়। ২. অনেক কারিগর বেকার ও অনেক কৃষক গরিব হয়ে যায় এবং বাংলায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ৩. নতুন নতুন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার ফলে শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি হয়। ৪. সড়কপথ ও রেলপথ উন্নয়ন এবং টেলিগ্রাফ প্রচলনের ফলে যোগাযোগব্যবস্থার বিশেষ উন্নতি হয়। প্রশ্ন : ১৮৫৭ সালে সংগঠিত একটি বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে বাহাদুর শাহ পার্কে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়েছে? বিদ্রোহটির নাম কী? কার নেতৃত্বে এ বিদ্রোহ শুরু হয়? উক্ত বিদ্রোহটির তিনটি কারণ লেখ। উত্তর :বিদ্রোহটির নাম সিপাহি বিদ্রোহ। মঙ্গল পান্ডের নেতৃত্বে সিপাহি বিদ্রোহ শুরু হয়। সিপাহি বিদ্রোহের তিনটি কারণ- ১. সেনাবাহিনীতে সিপাহি পদে ভারতীয়দের সংখ্যাধিক্য ছিল। ২. ভারতের বিভিন্ন এলাকার সৈন্যদের মধ্যে সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। ৩. ১৮৫৬ সালের পর ভারতের বাইরেও সৈন্যদের কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়