প্রিয় পরীক্ষার্থী বন্ধুরা
তোমাদের এসএসসি পরীক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ভালো করার কিছু কৌশল দেওয়া হলো। ভালো মানুষ হওয়ার লক্ষ্যে প্রযুক্তিকে যথাযথ ব্যবহার পূর্বক লেখাপড়া চালিয়ে গেলে ভালো ফলাফল নিশ্চিত করা সম্ভব।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের মান বণ্টন নিম্নে দেওয়া হলো :
ক) বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ২৫ নম্বর
খ) ব্যবহারিক প্রশ্ন ২৫ নম্বর
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ২৫টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন থাকবে। সবকয়টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি বহুনির্বাচনি প্রশ্নের মান ০১ নম্বর। এসএসসি পরীক্ষায় সাধারণত তিন ধরনের বহুনির্বাচনি প্রশ্ন থাকে।
এ তিনটি ধরন হলো-
১. সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন (ঝরসঢ়ষব গঈছ) : এই ধরনের প্রশ্নের মাধ্যমে সাধারণত সহজ স্তরের প্রশ্নসমূহ করা হয়ে থাকে।
২. বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্ন (গঁষঃরঢ়ষব ঈড়সঢ়ষবঃরড়হ গঈছ) : নতুন পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে এ ধরনের প্রশ্নের শুরুতে একটি অসমাপ্ত বাক্য থাকে এবং তার পরপরই নিচে ৩টি তথ্য/বিবৃতি/ধারণা দেওয়া হয়। ৩টি তথ্য/বিবৃতি/ধারণার ১টি/২টি/৩টি সঠিক হতে পারে। এই ধরনের প্রশ্নের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীর মধ্যম এবং কঠিন স্তরের দক্ষতা যাচাই করা হয়।
৩. অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্ন (ঝরঃঁধঃরড়হ ঝবঃ গঈছ) : অভিন্ন তথ্যভিত্তিক প্রশ্ন একটি উদ্দীপক/দৃশ্যকল্প/সূচনা বক্তব্য (ঝঃবস /ঝপবহধৎরড়/ঝরঃঁধঃরড়হ) দিয়ে শুরু হবে। এ ধরনের বহুনির্বাচনি প্রশ্নে একই উদ্দীপক/তথ্য/দৃশ্যকল্প থেকে কয়েকটি প্রশ্ন করা হয় যেখানে, প্রশ্নগুলো পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে অথবা নাও হতে পারে। মূলত প্রয়োগ এবং উচ্চতর দক্ষতা স্তরের প্রশ্ন তৈরির জন্য অভিন্ন তথ্যের ব্যবহার করা হয়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরের ক্ষেত্রে খুব মনোযোগ দিয়ে পড়বে এবং উত্তরটি নির্ধারণ করবে। কারণ প্রশ্ন বুঝতে ব্যর্থ হলে উত্তর ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। কোনো বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর করতে না পারলে সেটি নিয়ে সময় নষ্ট না করে পরবর্তী প্রশ্নের উত্তর করার চেষ্টা করবে। শেষে সময় পেলে ফেলে আসা প্রশ্নগুলোর উত্তর করার চেষ্টা করবে।
ব্যবহারিক অংশে যন্ত্র/উপকরণ সংযোজন ও ব্যবহার/প্রক্রিয়া অনুসরণ/উপাত্ত সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণ /অঙ্কন/পর্যবেক্ষণ/ শনাক্তকরণ/ অনুশীলন-এ ১৫ নম্বর, প্রতিবেদন প্রণয়ন : ০৫ নম্বর, মৌখিক অভীক্ষা : ০৫ নম্বর।
এ বিষয়ে পরীক্ষার জন্য বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক সব অংশের জন্যই বোর্ডবই ভালোভাবে পড়তে হবে। যে কোনো ধরনের প্রশ্নের উত্তর বোর্ড বইয়ে যেভাবে দেওয়া থাকবে, সেভাবেই উত্তর লিখতে বা বাছাই করতে হবে। বোর্ড বইয়ের বাইরের কিছু না লেখাই ভালো। সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর সরাসরি বইয়ে পাওয়া যায়, কিন্তু অন্য দুই ধরনের প্রশ্নের উত্তর সরাসরি বইয়ে নাও থাকতে পারে। বাস্তব জ্ঞান ও উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে উত্তর করতে হবে। তোমরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা শিক্ষকের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে পারো। দেখবে, তোমাদের প্রস্তুতি খুবই ভালো হবে এবং কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনে সক্ষম হবে। এছাড়াও বিভিন্ন বোর্ডের বিগত কয়েক বছরের প্রশ্ন-উত্তর অনুশীলন করলে পরীক্ষাভীতি দূর হবে, পাশাপাশি প্রস্তুতিও নিখুঁতভাবে সম্পন্ন হবে ইনশাআলস্নাহ। তোমরা সবাই শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাক এবং ভালোভাবে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নাও সেই দোয়া করছি।