প্রশ্ন : একটি বার্গারে বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন- গরু ও মুরগির মাংস, টমেটো, লেটুস, পনির, পাউরুটি ইত্যাদি থাকে। তারপরেও বেশি বার্গার খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর কেন?
উত্তর : বার্গারে অধিক পরিমাণে চিনি, লবণ ও চর্বি থাকে, যা শরীরে পুষ্টিহীনতা, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির মতো সমস্যার জন্য দায়ী। তাই অতিরিক্ত বার্গার খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
বার্গার সুষম খাদ্য নয়। এটি এক ধরনের কৃত্রিম খাদ্য, যাতে গরু ও মুরগির মাংস, টমেটো, লেটুস, পনির, পাউরুটি ইত্যাদি থাকে। বার্গারে বিদ্যমান টমেটো, লেটুস ইত্যাদি আমাদের জন্য যতটা না উপকারী তার চেয়েও অনেক বেশি ক্ষতিকর হলো গরু ও মুরগির মাংস, পনির, পাউরুটি ইত্যাদি বিদ্যমান উচ্চমাত্রার চর্বি ও লবণ। এসব চর্বি বা লবণ আমাদের শরীরে খুব সামান্যই দরকার হয়। আমরা যখন অধিক পরিমাণে চর্বি জাতীয় খাবার গ্রহণ করি তখন আমাদের দেহ এগুলোকে চর্বিকণায় রূপান্তরিত করে। ফলে আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়, দেহ স্থূলকায় হয়ে পড়ে। খুব বেশি বার্গার খেলে পুষ্টিহীনতা, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি বা মোটা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
প্রশ্ন : খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে আমরা নানাভাবে উপকৃত হই। কিন্তু খাদ্যে রাসায়নিকের ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : খাদ্যে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থগুলো বৃক্ক, যকৃতের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের স্বাভাবিক কাজে বাধা প্রদান করে। এর ফলে দেহ অকার্যকর হয়ে পড়ে বলে উক্ত পদার্থগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
বিভিন্নভাবে খাদ্য সংরক্ষণ করা যায়। খাদ্য সংরক্ষণ অপচয় রোধ করে ও দ্রম্নত পচন থেকে খাদ্যকে রক্ষা করে। এ ছাড়া খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন মৌসুমি খাদ্যদ্রব্য সারা বছর পাওয়া যায় এবং অনেক দূরবর্তী এলাকায় সহজে সরবরাহ করা যায়। কিন্তু খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন থেকে শুরু করে খাদ্য তৈরি, খাদ্য সংরক্ষণ, ফল পাকানো ও বাজারজাতকরণে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। সাধারণত অসাধু ব্যবসায়ীরা খাবারে বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে থাকে। খাবার সংরক্ষণের জন্য ফরমালিন, ফল পাকানোর জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ যেমন- কার্বাইড ব্যবহার করা হয়। এসব ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত খাদ্য গ্রহণের ফলে বৃক্ক ও যকৃত অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। ক্যানসারের মতো রোগ হতে পারে।
প্রশ্ন : খাদ্যে কৃত্রিম রং ও রাসায়নিক দ্রব্য মেশানোর জন্য সম্প্রতি ভ্রাম্যমাণ আদালত জনতা সুপার মার্কেটের অনেক খাদ্য ও ফল ব্যবসায়ীকে শান্তি ও জরিমানা করেছে। খাদ্যে এসব দ্রব্য মেশালে জনস্বাস্থ্যের কী সমস্যা হয়?
উত্তর : খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন থেকে শুরু করে খাদ্য তৈরি, খাদ্য সংরক্ষণ, ফল পাকানো ও বাজারজাতকরণে কৃত্রিম রং ও রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। সাধারণত খাবারকে আকর্ষণীয় ও লোভনীয় করতে মিষ্টি, জেলি, চকোলেট, আইসক্রিম, কেক, চিপস, কোমল পানীয় ইত্যাদি খাবারে কৃত্রিম রং মেশানো হয়। কৃত্রিম রং মেশানো খাবার খেলে মানুষের ক্যানসার, অমনোযোগিতা, অস্থিরতা ইত্যাদি রোগ সৃষ্টি হতে পারে। সাধারণত অসাধু ব্যবসায়ীরা খাবারে বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে থাকে। খাবার সংরক্ষণের জন্য ফরমালিন, ফল পাকানোর জন্য কার্বাইড ব্যবহার করে। এসব ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত খাদ্য গ্রহণের ফলে বৃক্ক ও যকৃত অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। ক্যানসারের মতো রোগ হতে পারে।
প্রশ্ন : একজন ফল ব্যবসায়ী কৃত্রিম রং ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের কারণে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল। কোনো কোনো খাদ্যে কৃত্রিম রং মেশানো হয়? খাদ্যে মেশানো রাসায়নিক দ্রব্যের নাম লেখো। খাদ্যদ্রব্যে রাসায়নিক দ্রব্য মেশানোর ফলে মানুষের শরীরের কী কী ক্ষতি হতে পারে বলে তুমি মনে কর?
উত্তর : মিষ্টি, জেলি, চকোলেট, আইসক্রিম, কেক, চিপস, কোমল পানীয় ইত্যাদি খাদ্যে কৃত্রিম রং মেশানো হয়।
খাদ্যে মেশানো রাসায়নিক দ্রব্য হলো- ফরমালিন, ক্যালসিয়াম কার্বাইড ইত্যাদি।
রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত খাবার খেলে মানুষের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়। যেমন-
(র) বৃক্ক অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।
(রর) যকৃত অকার্যকার হয়ে যেতে পারে।
(ররর) ক্যানসারের মতো রোগ হতে পারে।
প্রশ্ন : নায়লা বার্গার, চিপস ও পিজ্জা খেতে পছন্দ করে। কিন্তু শায়লা ভাত, মাছ ও সবজি খেতে পছন্দ করে। দু'জনের মধ্যে কার খাবার পুষ্টিসম্মত এবং কেন তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : নায়লা ও শায়লার মধ্যে শায়লার খাবার পুষ্টিসম্মত কারণ তা সুষম খাদ্যের সব উপাদান ধারণ করে।
নায়লার খাবারগুলো হলো জাঙ্কফুড, যেখানে কোনো পুষ্টি উপাদান নেই। এগুলো সুষম খাবার নয়, মুখরোচক কৃত্রিম খাবার এসব খাবারের উচ্চমাত্রায় চর্বি, লবণ ও চিনি রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য সামান্য প্রয়োজন হয়। তাই সাধারণ খাবারের বদলে এসব খাবার খেলে নায়লা পুষ্টিহীনতা, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির মতো জটিল সমস্যায় ভুগবে। অন্যদিকে শায়লা ভাত, মাছ ও সবজি খেতে পছন্দ করে। এ ক্ষেত্রে তার খাবারে শর্করা, আমিষ, ভিটামিন ও খনিজ লবণ বিদ্যমান, যা সুষম খাদ্যের উপাদান। এসব খাবার গ্রহণের ফলে শায়লার শরীর কর্মক্ষম থাকে, দেহের বৃদ্ধি ও বিকাশ স্বাভাবিকভাবে হয়, সে সহজে রোগে আক্রান্ত হয় না। মোটা হয়ে যাওয়া সমস্যার সম্মুখীন হয় না। তাই উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, শায়লার পছন্দকৃত খাবার পুষ্টিসম্মত।
প্রশ্ন : আমাদের শরীরের জন্য কেন সুষম খাদ্য প্রয়োজন তা দুটি বাক্যে লেখ। আমাদের জীবনের জন্য পানি কেন তাৎপর্যপূর্ণ তা তিনটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : সুষম খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা :
(র) সুষম খাদ্য আমাদের দেহ সুস্থ রাখে এবং আমাদের শক্তিশালী করে।
(রর) এটি দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটায় এবং রোগের আক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।
পানির প্রয়োজনীয়তা
(র) জীবের খাদ্য পরিপাক ও শরীরে যাবতীয় বিপাকীয় কার্যকলাপ সম্পন্ন করার জন্য পানি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
(রর) শরীরের সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে পানির ভূমিকা অপরিসীম।
(ররর) পুষ্টি উপাদান শোষণ ও দেহের প্রতিটি অঙ্গের পরিবহণের জন্য পানি প্রয়োজন।
প্রশ্ন : সুষম খাদ্যে কয়টি উপাদান থাকে? যারা বেশি পরিশ্রম করে তাদের পরিমিত খাদ্য গ্রহণ প্রয়োজন কেন একটি বাক্যে লেখ। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া নিরুৎসাহিত করতে তুমি কী করবে তা তিনটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : সুষম খাদ্যে ৬টি উপাদান থাকে। যারা বেশি পরিশ্রম করে তাদের দেহকে সুস্থ, সবল ও......
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়