আজ তোমাদের জন্য সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো
জীবনের জন্য পানি
৪৬. পুকুর বা নদীর পানি পুরোপুরি নিরাপদ হয় কীভাবে?
উত্তর : ফোটানোর পর ছেঁকে নিলে
১. ছাঁকন ও ২. ফোটানো।
৪৭. পানির দুটি উৎসের নাম লেখো।
উত্তর : পানির দুটি উৎস হলো-
১. বৃষ্টি ও ২. নদী-নালা।
৪৮. পানি বিশুদ্ধকরণের দুটি রাসায়নিক পদার্থের নাম লেখো।
উত্তর : পানি বিশুদ্ধকরণের দুটি রাসায়নিক পদার্থ হলো-
১. ফিটকিরি ও ২. বিস্নচিং পাউডার।
৪৯. নিরাপদ পানির প্রয়োজনীয়তা কী?
উত্তর : আমাদের দেহের খাদ্য পরিপাকে এবং সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে নিরাপদ পানির প্রয়োজন।
৫০. খাদ্য পরিপাকে পানি কী হিসেবে কাজ করে?
উত্তর : খাদ্য পরিপাকে পানি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
৫১. আর্সেনিকযুক্ত পানি দীর্ঘদিন ধরে পান করলে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে?
উত্তর : আর্সেনিকযুক্ত পানি দীর্ঘদিন পান করলে হাতে-পায়ে এক ধরনের ক্ষত বা ঘা তৈরি হয়।
৫২. দুটি পানিবাহিত রোগের নাম লেখো।
উত্তর : দুটি পানিবাহিত রোগ হলো-
১. কলেরা ও ২. টাইফয়েড।
৫৩. প্রাকৃতিক কারণে পানি দূষণকে কী বলে?
উত্তর : প্রাকৃতিক কারণে পানিদূষণকে আর্সেনিক দূষণ বলে।
৫৪. পানিদূষণের ৩টি কারণ লেখো।
উত্তর : পানিদূষণের ৩টি কারণ হলো : ১. কৃষি কাজে ব্যবহৃত কীটনাশক, ২. কলকারখানার রাসায়নিক দ্রব্য, ৩. গৃহস্থালি বর্জ্য।
৫৫. ছাঁকন কী?
উত্তর : ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে পানি পরিষ্কার করার প্রক্রিয়াই হলো ছাঁকন।
৫৬. ঘনীভবন কী?
উত্তর : বাষ্প থেকে তরলে পরিণত হওয়াকে ঘনীভবন বলে।
৫৭. বাষ্পীভবন কী?
উত্তর : তরল থেকে বাষ্পে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াই হচ্ছে বাষ্পীভবন।
৫৮. নিরাপদ পানির জন্য কতক্ষণ পানি ফুটাতে হবে?
উত্তর : জীবাণুমুক্ত নিরাপদ পানির জন্য ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে পানি ফুটাতে হবে।
৫৯. রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় আমরা কীভাবে পানিকে নিরাপদ করতে পারি?
উত্তর : রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় আমরা ফিটকিরি, বিস্নচিং পাউডার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ইত্যাদি পরিমাণমতো মিশিয়ে পানি নিরাপদ করতে পারি।
৬০. জীবের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য কী প্রয়োজন?
উত্তর : জীবের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য পানি প্রয়োজন।
৬১. খাদ্য পরিপাকে পানি কী হিসেবে কাজ করে?
উত্তর : খাদ্য পরিপাকে পানি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
৬২. মানুষের তৈরি পানির দুটি উৎসের নাম লেখো।
উত্তর : মানুষের তৈরি পানির দুটি উৎস হলো পুকুর ও নলকূপ।
৬৩. নিরাপদ পানি কী?
উত্তর : মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন পানিই নিরাপদ পানি।
৬৪. অধরা সকালে উঠানে নেমে দেখল ফুলগাছের পাতায় বিন্দু বিন্দু পানি। এ পানিকে কী বলে?
উত্তর : শিশির
৬৫. পানিচক্রের প্রবাহ চিত্রটি লেখো।
উত্তর : পানি ্র বাষ্প ্র মেঘ ্র বৃষ্টি
৬৬. পানি ভূপৃষ্ঠে কীভাবে ফিরে আসে?
উত্তর : বৃষ্টি হিসেবে
৬৭. পানিকে তাপ দিলে প্রথমে তা গরম হয় এবং ফুটতে থাকে। এরপরও তাপ দিলে তা কীসে পরিণত হয়?
উত্তর: জলীয় বাষ্পে
৬৮. বায়ুতে থাকা জলীয় বাষ্প ঠান্ডা হয়ে কীসে পরিণত হয়?
উত্তর : স্বচ্ছ পানিতে
৬৯. তুমি ফ্রিজ থেকে কোল্ড ড্রিংকস বের করে একটি গস্নাসে ঢেলে কিছুক্ষণ রেখে দিলে। এতে গস্নাসের বাইরের গায়ে পানির কণা গস্নাসটিকে আবছা করে দিল। এর জন্য দায়ী কোনটি?
উত্তর : জলীয় বাষ্প
৭০. তুষা একটি কাচের গস্নাসে কয়েক টুকরা বরফ রেখে দিল। কিছুক্ষণ পর কী ঘটবে?
উত্তর : গস্নাসটি ঠান্ডা হয়ে যাবে
৭১. শীলাবৃষ্টির কারণ কী?
উত্তর : মেঘের পানির কণা খুব ঠান্ডা হয়ে যাওয়া
৭২. আমরা আকাশে মেঘ দেখি। এগুলো আসলে কী?
উত্তর : ক্ষুদ্র পানিকণা
৭৩. জলীয় বাষ্প বায়ুমন্ডলের উপরের দিকে উঠে ঠান্ডা হয়ে যায়। তারপরে এটি কীসে পরিণত হয়?
উত্তর : ক্ষুদ্র পানিকণা
৭৪. নদ-নদী, খাল-বিল, পুকুর ও সমুদ্রে পানি থাকে। এ পানিকে জলীয় বাষ্পে পরিণত করে কে?
উত্তর : সূর্যতাপ
৭৫. জলীয় বাষ্প ঠান্ডা হয়ে কীসে পরিণত হয়?
উত্তর : পানি
৭৬. নিচের কোনটি দ্বারা পানি বিশুদ্ধ করা যায়?
উত্তর : বিস্নচিং পাউডার
৭৭. পানিদূষণের জন্য দায়ী?
উত্তর : সার, কীটনাশক ও রাসায়নিক পদার্থ
৭৮. পানিদূষণ প্রতিরোধের উপায় কী?
উত্তর : জমিতে সার বা কীটনাশক কম ব্যবহার
৭৯. পানিদূষণের প্রাকৃতিক কারণ কী?
উত্তর : ভূগর্ভস্থ আর্সেনিক
৮০. গ্রামের অনেক মানুষ পুকুরে গোসল করে। পুকুরের এ পানি পান করলে কোন রোগটি হতে পারে?
উত্তর : পেটের পীড়া
৮১. পুকুর বা নদীর পানি পুরোপুরি নিরাপদ হয় কীভাবে?
উত্তর : ফোটানোর পর ছেঁকে নিলে
৮২. গনি মিয়া তার গবাদিপশুগুলোকে নিয়মিত পুকুরে গোসল করান। এতে কী ঘটবে?
উত্তর : খাদ্যশৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটবে
৮৩. কোনো এলাকায় কলেরা ও ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে এর প্রধান কারণ কী?
উত্তর : দূষিত পানি
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়