শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
রোমানা হাবীব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম য়
  ০২ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০
দেশপ্রেম

প্রশ্ন : গণতন্ত্র কী? গণতন্ত্র র্চচা করা প্রয়োজন কেন? গণতন্ত্র চর্চার চারটি উপকারিতা লেখ।

উত্তর : গণতন্ত্র হলো জনগণের শাসন। কোনো কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা ও সবার মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টির জন্য গণতন্ত্র চর্চা করা প্রয়োজন। গণতন্ত্র চর্চার চারটি উপকারিতা হলো-

১. গণতন্ত্র মানুষকে সহনশীল হতে শেখায়।

২. গণতন্ত্র মানুষকে মিলেমিশে চলতে শেখায়।

৩. অন্যের মতকে সম্মান জানানো যায়।

৪. সকলে মতপ্রকাশের সুযোগ পায়।

প্রশ্ন : দেশপ্রেম কী? দেশপ্রেম প্রয়োজন কেন? একজন দেশপ্রেমিকের চারটি বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তর : মাতৃভূমি তথা দেশের প্রতি ভালোবাসাই দেশপ্রেম। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং সার্বিক উন্নয়নের জন্যই দেশপ্রেম প্রয়োজন। একজন দেশপ্রেমিকের চারটি বৈশিষ্ট্য হলো-

১. দেশের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান।

২. দেশের সকল আইন মেনে চলা।

৩. দেশের সম্পদ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা।

৪. সব ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকা।

প্রশ্ন : পরিবার কী? পরিবারে গণতন্ত্র চর্চা প্রয়োজন কেন? পরিবারে গণতন্ত্র চর্চার চারটি সুবিধা লেখ।

উত্তর : পরিবার হচ্ছে মোটামুটিভাবে স্থায়ী এমন একটি সংঘ যেখানে সন্তানাদিসহ বা সন্তানহীনভাবে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বসবাস করেন। গণতন্ত্র চর্চার ফলে পরিবারের সবাই স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারবে। পরিবারে গণতন্ত্র চর্চার চারটি সুবিধা হলো-

১. সব জায়গায় গণতান্ত্রিক আচরণ করতে হবে।

২. আমাদের দেশের গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে।

৩. সকলের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মনোভাব গড়ে উঠবে।

৪. পরস্পরের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে।

প্রশ্ন : গারোদের ঐতিহ্যবাহী উৎসবের নাম কী? তারা এ উৎসব পালন করে কেন? গারোদের ঐতিহ্যবাহী উৎসব সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।

উত্তর : গারোদের ঐতিহ্যবাহী উৎসবের নাম 'ওয়ানগালা'। গারোরা নতুন শস্য ওঠার জন্য সূর্য দেবতা সালজং-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য ওয়ানগালা উৎসবটি পালন করে।

গারোদের ঐতিহ্যবাহী উৎসব সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-

১. সাধারণত নতুন শস্য ওঠার সময় বা অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।

২. বিভিন্ন ধরনের বাদ্য বাজিয়ে উৎসবটি উদযাপন করা হয়।

৩. নতুন শস্য ওঠার জন্য সূর্য দেবতা সালজং-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা হিসেবে নতুন শস্য উৎসর্গ করেন।

৪. এ উৎসব উদযাপনের আগ পর্যন্ত গারোরা নতুন শস্য খান না।

প্রশ্ন : খাসিদের ভাষার নাম কী? এই ভাষায় বই লেখা হয়নি কেন? খাসিদের সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।

উত্তর : খাসিদের ভাষার নাম মনখেমে। লিখিত কোনো বর্ণমালা নেই বলে এ ভাষায় বই লেখা হয়নি। খাসিদের সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-

১. খাসি সমাজ মাতৃতান্ত্রিক।

২. তারা প্রচুর পান ও মধুর চাষ করেন।

৩. পারিবারিক সম্পত্তির বেশির ভাগের উত্তরাধিকার হয় পরিবারের ছোট মেয়ে।

৪. খাসিরা সাধারণত কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।

প্রশ্ন : ত্রিপুরাদের নববর্ষের উৎসবের নাম কী? তারা এ উৎসব পালন করে কেন? ত্রিপুরাদের উৎসব সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।

উত্তর : ত্রিপুরাদের নববর্ষের উৎসবের নাম বিজু। তারা নতুন বছরকে বরণ করার জন্য এ উৎসব পালন করে। ত্রিপুরাদের উৎসব সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-

১. ত্রিপুরা সমাজে জন্ম, মৃতু্য ও বিয়ে উপলক্ষে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়।

২. বিজু উৎসব পালিত হয় তিনদিন ধরে।

৩. এ সময় ত্রিপুরা নারীরা মাথায় ফুল দিয়ে সুন্দর করে সাজেন।

৪. উৎসবের আনন্দে তারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ান ও আনন্দ করেন।

প্রশ্ন : জাতিসংঘ কখন গঠিত হয়েছিল? কেন গঠিত হয়েছিল? জাতিসংঘ গঠনের চারটি উদ্দেশ্য লেখ।

উত্তর : ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ গঠিত হয়েছিল। বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে সম্প্রীতি ও সহযোগিতার প্রয়োজন উপলব্ধি করেই জাতিসংঘ গঠিত হয়েছিল। জাতিসংঘ গঠনের চারটি উদ্দেশ্য হলো-

১. বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।

২. বিভিন্ন জাতি তথা দেশের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপন করা।

৩. জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।

৪. বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিদ্যমান বিভেদ মীমাংসা করা।

প্রশ্ন : ইউনিসেফ কী? ইউনিসেফ কেন গঠন করা হয়েছিল? ইউনিসেফের চারটি কাজ লেখ।

উত্তর : ইউনিসেফ জাতিসংঘের এমন একটি উন্নয়নমূলক সংস্থা যারা বিশ্বের শিশুদের কল্যাণে কাজ করে। শিশুদের উন্নয়ন ও অধিকার রক্ষায় ইউনিসেফ গঠন করা হয়। ইউনিসেফের চারটি কাজ হলো-

১. শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা।

২. মা ও শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষা করা।

৩. শিশুদের বিভিন্ন প্রতিষেধক টিকা প্রদান।

৪. গ্রামে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা।

প্রশ্ন : সার্ক কী? সার্ক গঠিত হয়েছিল কেন? সার্কের চারটি উদ্দেশ্য লেখ।

উত্তর : সার্ক হচ্ছে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার সংক্ষিপ্ত নাম। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য সার্ক গঠিত হয়েছিল। সার্কের চারটি উদ্দেশ্য হলো-

১. দেশগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি ও পরস্পর মিলেমিশে চলা।

২. সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অবস্থার উন্নয়নে কাজ করা।

৩. বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক তৈরি করার মাধ্যমে দেশগুলোর উন্নয়ন সাধন করা।

৪. সদস্যদেশগুলোকে আত্মনির্ভরশীল হতে সাহায্য করা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে