প্রশ্ন:ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী কী করবে?
উত্তর :ডেঙ্গু প্রতিরোধে নিচের ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করতে হবে-
১. এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু হয়। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে হলে এডিস মশার আবাসস্থল ধ্বংস করতে হবে। যেমন- কোনো ভাঙা দ্রব্যাদি, ফুলের টব, টায়ার, ডাব-নারিকেলের খোসা ইত্যাদিতে পানি জমতে দেয়া যাবে না।
২. এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যার আগে কামড়ায়। তাই সতর্ক থাকতে হবে যেন এ সময় এডিস মশা কামড়াতে না পারে।
৩. ঘুমানোর আগে মশারি টাঙাতে হবে।
প্রশ্ন :সোয়াইন ফ্লু সম্পর্কে কীভাবে তুমি তোমার এলাকায় সচেতনতা সৃষ্টি করবে, তার দুটি উপায় লেখ।
উত্তর :সোয়াইন ফ্লু সম্পর্কে আমার এলাকায় সচেতনতা সৃষ্টির জন্য আমি নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করব-
১. সোয়াইন ফ্লুর কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধে করণীয় উলেস্নখ করে পোস্টার তৈরি করে এলাকায় সর্বত্র টানিয়ে দেব।
২. ব্যক্তিগতভাবে সবার সঙ্গে আলাপ করে এ রোগের কারণ, লক্ষণ ও ভয়াবহতা জানাব।
প্রশ্ন :সংক্রামক রোগ কী? সংক্রামক রোগ কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়, তা উলেস্নখ কর।
উত্তর :যেসব রোগ একজন থেকে অন্যজনে ছড়ায়, সেসব রোগকে সংক্রামক রোগ বলে। যেমন- সর্দিজ্বর, সোয়াইন ফ্লু, বসন্ত, হাম, পাঁচড়া, চুলকানি ইত্যাদি।
নিম্নলিখিত উপায়ে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা যাবে-
১. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। এজন্য নিয়মিত দাঁত মাজা, নখ কাটা, হাত ধোয়া ও গোসল করতে হবে।
২. জামা-কাপড়, বালিশ, বিছানা, চাদর ইত্যাদি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
৩. যেখানে সেখানে কফ, থুতু ইত্যাদি না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে।
৪. হাঁচি-কাশি হলে মুখে হাত বা রুমাল দিয়ে ঢাকতে হবে।
৫. রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির বিছানা, থালা-বাসন, গস্নাস আলাদা রাখতে হবে।
প্রশ্ন :সোয়াইন ফ্লুর লক্ষণ ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা লেখ।
উত্তর :সোয়াইন ফ্লুর লক্ষণগুলো নিম্নরূপ-
১. জ্বর ১০৪০ ফারেনহাইটের ওপর হবে।
২. অস্বাভাবিক অবসাদগ্রস্ততা অনুভব করবে।
৩. মাথাব্যথা হবে।
৪. নাক দিয়ে পানি পড়বে।
৫. গলা খুসখুস করবে।
৬. ঘনঘন শ্বাস-প্রশ্বাস অথবা কাশি হবে।
৭. ক্ষুধা কম হবে।
৮. মাংসপেশি ও গিঁটে ব্যথা হবে।
৯. ডায়রিয়া অথবা বমি হবে।
সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধে নিচের ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করতে হবে-
১. সোয়াইন ফ্লুর লক্ষণ দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে।
২. প্রচুর পানি পান করতে হবে।
৩. ডাক্তারের পরামর্শমতো ওষুধ খেতে হবে।
৪. আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা কোনো কিছু যেমন- কম্পিউটার, টেলিফোন, টেবিল ইত্যাদি স্পর্শ করা যাবে না।
৫. বারবার হাত ভালো করে ধুতে হবে।
প্রশ্ন :যক্ষ্ণা প্রতিরোধের উপায় ৫টি বাক্যে বর্ণনা কর।
উত্তর :যক্ষ্ণা একটি বায়ুবাহিত রোগ। এ রোগ প্রতিরোধে নিচের কাজগুলো করতে হবে-
১. শিশুকে বিসিজি টিকা দিতে হয়।
২. রোগীর বিছানা, থালা-বাসন, গস্নাস ইত্যাদি আলাদা রাখতে হয়।
৩. যক্ষ্ণা রোগীর কফ, থুতু, হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এর জীবাণু বাতাসে ছড়ায়।
৪. হাঁচি-কাশির সময় মাস্ক বা রুমাল দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে।
৫. প্রয়োজনে রোগীকে ডাক্তারের কাছে নিতে হবে।
প্রশ্ন :কোন মশার কামড়ে ডেঙ্গুজ্বর হয়? ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণে ৪টি বাক্যে লেখ।
উত্তর :এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গুজ্বর হয়।
ডেঙ্গুজ্বরের ৪টি লক্ষণ নিম্নরূপ-
১. শরীরে জ্বর থাকবে।
২. মাথাব্যথা করবে।
৩. শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফুলে উঠবে।
৪. বমি হবে।
প্রশ্ন :মহাবিশ্বের বিভিন্ন সদস্যের মধ্যে সূর্য ও পৃথিবী আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেন? ৫টি বাক্যে লেখ।
উত্তর :আমাদের নিকটতম নক্ষত্র সূর্য থেকেই আমরা তাপ ও আলো পাই। সূর্য থেকে আমাদের প্রয়োজনীয় সব শক্তি পাচ্ছি এবং দিন-রাতের পরিবর্তন ঘটছে সূর্যের জন্য। এক কথায় সূর্যের জন্য পৃথিবীতে জীবনের উদ্ভব সম্ভব হয়েছে। আবার সৌরজগতের ৮টি গ্রহের মধ্যে শুধু পৃথিবীতেই জীবন সম্ভব হয়েছে। কারণ এখানে বায়ুমন্ডলে বিশেষ তাপমাত্রা, দিন-রাতের পরিবর্তন, পানি, মাটি ও সার্বিক আবহাওয়া আছে বলে আমরা বাস করতে পারি।