বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

আনসার ভিডিপি বাহিনীর সংস্কার :প্রেক্ষিত, সক্ষমতা ও দুর্বলতা

গণ-অভু্যত্থানকালে পুলিশ ও আনসার বাহিনী এক কঠিন ট্রমার সম্মুখীন হয়। উভয় বাহিনীকে ঢেলে সাজিয়ে কাঙ্ক্ষিত মানে উন্নীত করতে হবে। তাদের ট্রমামুক্ত করে সুস্থ্য ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে হবে। নতুন শক্তিতে বলিয়ান ও শক্তিমান করতে হবে।
ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ
  ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
আনসার ভিডিপি বাহিনীর সংস্কার :প্রেক্ষিত, সক্ষমতা ও দুর্বলতা
আনসার ভিডিপি বাহিনীর সংস্কার :প্রেক্ষিত, সক্ষমতা ও দুর্বলতা

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সর্ববৃহৎ শৃঙ্খলা বাহিনী। তৃণমূল পর্যায়ে এ বাহিনীর বিস্তৃতি। ১৯৪৮ সালে এ বাহিনীর যাত্রা শুরু। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে আনসার বাহিনীকে সুসংগঠিত করে- এর নামকরণ করা হয় 'বাংলাদেশ আনসার'। ১৯৭৬ সালে গ্রামীণ আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে গ্রাম প্রতিরক্ষা দল (ভিডিপি) গঠন করে এবং বাংলাদেশ আনসারের সঙ্গে একই প্রশাসনিক কাঠামোয় সন্নিবেশিত করায় এর আত্মপরিচিতি ঘটে 'আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা দল' সংক্ষেপে আনসার-ভিডিপি হিসেবে। ১৯৯৫ সালের ফেব্রম্নয়ারিতে এ সংগঠনটি শৃঙ্খলা বাহিনী রূপে আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাভ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ সংগঠনটির বিপুলসংখ্যক সদস্য বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলস প্রয়াস চালিয়ে সর্ব মহলের প্রশংসা অর্জন করে। এ বাহিনীর কার্যক্রম তৃণমূল পর্যায়ে ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত। সাংগঠনিক কাঠামো ও আইন অনুযায়ী এ বাহিনীর স্বেচ্ছাসেবী জনবল প্রায় ৬০ লাখ। শুধু ভিডিপি ইউনিয়ন দলনেতারা মাসিক সম্মানী ভাতা পান। তালিকাভুক্ত অন্য সদস্যরা নিয়মিত আর্থিক সুবিধার আওতায় না থাকলেও প্রতি বছরই কোনো না কোনো প্রশিক্ষণ গ্রহণ, সমাবেশে যোগদান এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্য নির্বাচন, দুর্গাপূজা, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিরাপত্তা রক্ষার কাজে নিয়োজিত হয়ে থাকেন।

বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ভিডিপি বাহিনীকে আমরা সাংবিধানিকভাবে শৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকি। বাংলাদেশ পুলিশ হচ্ছে ২০০ বছরের অধিক পুরানো এক ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের নাম। আর আনসার বাহিনী ১৯৪৮ সালে সৃষ্টি। তাদেরও ৭৫ বছর পূর্তি হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে উভয় বাহিনী এক তাৎপর্যময় ভূমিকা পালন করে স্ব স্ব ক্ষেত্রে ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছে। ২০২৪ জুলাই-আগস্টের গণ-অভু্যত্থানে পুলিশ যেভাবে ছাত্র-জনতার মুখোমুখি হয়েছিল তা ইতিহাসের কালো অধ্যায়ে তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকবে। ফলাফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। নিরীহ ছাত্র-জনতার বুকে তারা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে পাখির মতো হত্যা করেছে। অন্যদিকে, বিভিন্ন থানায়, পোস্টে এবং অপারেশনে অনেক পুলিশ সদস্যদেরও জীবনপাত ঘটেছে। এ সংখ্যাটিও কম নয়। মূলত হতাহতের সংখ্যা বড় নয়। কেননা, সভ্য সমাজে একটি মৃতু্যর দায়ও কেউ এড়াতে পারে না। তাহলে সমাজে যে ক্ষত সৃষ্টি হলো সে ক্ষত জাতিকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ভোগাবে। তার মেরামত ও সংস্কারে পুলিশ ও আনসার বাহিনীকে নতুন করে জন্ম নিয়ে পুরাতন আবর্জনার স্তূপ সরাতে হবে। হতাহতের বিবেচনায় আনসার বাহিনীর সংখ্যা পুলিশের মতো নয়। তারা ছাত্র-জনতার মোকাবিলা হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই সহনীয় আচরণ করেছিল। সর্বোপরি দাবি ও অধিকার বিষয়ে কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিস্ট সরকারের অনমনীয় আচরণে তারাও একটি পক্ষ বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

সাম্প্র্রতিক আনসার বাহিনীর আন্দোলন ছিল একটি বিশেষ গ্রম্নপের- যারা অঙ্গীভূত আনসার হিসেবে আখ্যায়িত হয়ে থাকে। সারাদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এ অঙ্গীভূত আনসারের সংখ্যা প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এ আনসার সদস্যদের প্যানেল থেকে বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি গার্ডে অঙ্গীভূতির জন্য মেসেজের ভিত্তিতে আনসার ভিডিপি বাহিনী থেকে সিসি অর্ডার হয়ে থাকে। যাহোক, সারাদেশে ৭০,০০০ মতো কম/ বেশি আনসার সদস্য রোটেশনাল প্রদ্ধতিতে বিভিন্ন গার্ডে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে থাকে। বিভিন্ন প্রত্যাশী সংস্থার চাহিদা এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাতার ভিত্তিতে প্রায় পনেরো হাজার টাকা কম/ বেশি অর্থে প্রত্যাশী সংস্থা সরকারের কাছ থেকে নিরাপত্তা সেবা কিনে থাকে। তার বিনিময়ে অঙ্গীভূত আনসাররা নিরাপত্তা সেবা প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশে আনসারদের মাধ্যমে যে সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে তা খুবই তাৎপর্যময় অর্থ বহন করে থাকে।

হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে আনসার ভিডিপি বাহিনীর ৬১ লাখ সদস্যের জীবন মানোন্নয়নের পাশাপাশি দেশের সার্বিক আর্থসামাজিক উন্নয়নকল্পে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে বাংলাদেশ আনসার ভিডিপি বাহিনী বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এ বাহিনী কর্তৃক বছরব্যাপী নিজস্ব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৬৪টি জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিপুলসংখ্যক বেকার তরুণ যুবক-যুবতীদের সম্পূর্ণ বিনা খরচে থাকা, খাওয়া ও যাতায়াতসহ বিভিন্ন ট্রেডে কারিগরি ও ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে- যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এমনকি প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের স্বল্প সুদে বাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যাংক ঋণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের স্বাবলম্বী করে তুলছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা নিজেদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে দেশের সার্বিক আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এ বিশাল জনগোষ্ঠী নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান সহযোগী। বাহিনীর মূলমন্ত্রকে ধারণ করে সেবা ও সহযোগিতার সঠিক ক্ষেত্র চিহ্নিতপূর্বক দক্ষতা, উন্নয়ন ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই হোক আনসার বাহিনীর আগামী দিনের পাথেয়। আমরা আস্থার সঙ্গে বলতে পারি যে, প্রধান উপদষ্টো ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গতিশীল নেতৃত্বে ও সমাজ বিকাশের সাবলীল ধারায় আগামী দিনে এ বাহিনীর কর্মীরা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও জাতির কল্যাণে যে কোনো সংকট মহূর্তে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সরকারের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত করে বেকারত্ব দূরীকরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, যুব মন্ত্রণালয় ও সমবায় বিভাগের কর্মসংস্থানমূলক কার্যক্রমসমূহকে সমন্বিত কর্মকাঠামোর আওতাভুক্ত করতে হবে।

আনসার বাহিনীর কার্যকারিতা ও মান্নোন্নয়নে নিম্নোক্ত তিনটি প্রস্তাবনা ও সুপারিশনামা উপস্থাপন করা হলো- প্রথমত, সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব ও কর্তব্য প্রদান করে স্বকীয় সত্তা ও মর্যাদায় অভিসিক্তকরণ- এক্ষেত্রে বিগত দিনে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব প্রদান বিষয়ে কি ধরনের প্রস্তাবনা ছিল তা খতিয়ে দেখা যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, আনসার ক্যাডারের বিলোপ সাধন করে এই ক্যাডারকে বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। আনসার বাহিনীর কার্যক্রমগুলোকে পুলিশের হাইওয়ে পুলিশিং, পর্যটন পুলিশিং, নৌ পুলিশিং, শিল্প পুলিশিং, নিরাপত্তা ও দাঙ্গা পুলিশিং এবং বিশেষ পুলিশিং-এর সঙ্গে সমন্বয় করে দিয়ে আনসারকে বিলুপ্ত করা যেতে পারে। অন্যদিকে, গ্রাম প্রতিরক্ষা দল ভিডিপিকে 'ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট পুলিশিং' নামকরণ করে পুলিশের আলাদা একটি উইং সৃষ্টি করা যেতে পারে। যুক্তি হিসেবে উলেস্নখ্য যে, পূর্বে যে সচিবালয় ক্যাডার ছিল তাকে ভেঙে প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত করা হয়। তৃতীয় বিকল্প প্রস্তাব হচ্ছে- এ বাহিনীকে আইনের মাধ্যমে প্যারামিলিটারি ঘোষণা দিয়ে সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে- যেখানে আমড ফোর্সেস ডিভিশনের মাধ্যমে তার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে। উলেস্নখ্য যে, বর্তমান তুরস্ক তার সেনাবাহিনীর সঙ্গে 'জেন্ডারমি নামের প্যারামিলিটারি বা সহায়ক ইউনিটকে তাদের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করে নিয়মিত সেনাবাহিনীর কাঠামোভুক্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে 'জেন্ডারমি' ইউনিটের জন্য কোনো আলাদা কর্মকর্তার প্রয়োজন হয় না। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারাই 'জেন্ডারমি' ইউনিটে দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী ও আনসার ভিডিপি বাহিনীর জন্য নতুন পোশাকের অনুমোদন হয়। কোনো বাহিনীকে শুধু পোশাক দিয়ে বাহিনীর সার্বিক সংস্কার হবে না। সংস্কারের জন্য দৃষ্টিভঙ্গিগত কিছু অন্তর্নিহিত বিষয়ের দিকে নজর দিতে হয়। সেগুলো যেমন মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি, অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি। পুলিশ সংস্কার কমিটি প্রশ্নোত্তর জরিপের ভিত্তিতে সরকারের কাছে রিপোর্ট দাখিল করেছে বটে। কমিটি এক্ষেত্রে কোনো মৌলিকতার স্বাক্ষর বা ছাপ রাখতে সক্ষম হয়নি বলে মনে হয়েছে বরং কমিটি তার সদস্যদের নিজস্ব মেধা, বুদ্ধি, বিবেচনা ও অভিজ্ঞতাকে এ রিপোর্টে স্থান দিলে তা ভালো হতো। এ ক্ষেত্রে অতীত কার্যকালাপ, আন্তঃবাহিনী সম্পর্ক এবং পুলিশের সক্ষমতা, দুর্বলতা, চুরি, দুর্নীতি ইত্যাদি অপকর্মের প্রাতিষ্ঠানিকতা ও কর্তৃত্ববাদিতা, অবকাঠমোগত চিত্র কর্মপদ্ধতি, সম্পাদিত কাজের মান, মনিটরিং ব্যবস্থা, মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ ও সর্বোপরি তদারকিমূলক কাজের নিয়ন্ত্রণসহ স্থানীয় ন্যায়পাল কমিশন গঠনের কথা ভাবা যেতে পারে। অবশ্য এ ক্ষেত্রে যে কোনো সংস্কারের বিষয়কে দেশের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে পর্যবেক্ষণও পর্যালোচনায় আনতে হবে। এছাড়া, বাহিনীর ইমেজ বৃদ্ধির জন্য জনগণের সঙ্গে পুলিশ/আনসারের আন্তঃসম্পর্কীয় সভা সেমিনার এবং যোগাযোগ স্থাপনের কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।

আনসার ভিডিপি বাহিনী সিভিল না মিলিটারি, প্যারামিলিটারি না মিলিশিয়া, অক্সিলারি না ভলেনটারি তা সুস্পষ্ট না হওয়ার ফলে জটিল কাঠামো ধারণ করছে। আনসার ও ভিডিপি বিভাগের বর্তমান কাঠামো ১৯৮২ সালের এনাম কমিটি কর্তৃক প্রণীত। সংগঠনের বর্তমান কর্মপরিধি এবং প্রয়োজনের তাগিদে এটি পুনর্বিন্যাস ও সময়োপয়োগী করা জরুরি। সর্বোপরি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আনসার ভিডিপির সদস্যরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। অথচ এসব ক্ষেত্রে সাফল্যের কৃতিত্ব শুধু পুলিশ বাহিনীকে দেওয়া হয়। পুলিশ এবং আনসারের সমন্বয়ে গঠিত ক্যাম্পের অধিকাংশ জনবল আনসার বাহিনীর হওয়া সত্ত্বেও ক্যাম্পগুলোকে 'পুলিশ ক্যাম্প' এবং পরিচালিত যৌথ অভিযানকে পুলিশি অভিযান হিসেবে প্রচার করা হয়। তাছাড়া, সারাদেশে প্রায় লক্ষাধিক সশস্ত্র অঙ্গীভূত আনসার প্রত্যক্ষভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকলেও এক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণ পৃথকীকরণের অভাবে যথাযথভাবে মূল্যায়িত হচ্ছে না। ফলশ্রম্নতিতে আনসার সদস্যরা যথাযথ মূল্যায়ন ও স্বকীয়তার অভাবে ভুগছে।

গণ-অভু্যত্থানকালে পুলিশ ও আনসার বাহিনী এক কঠিন ট্রমার সম্মুখীন হয়। উভয় বাহিনীকে ঢেলে সাজিয়ে কাঙ্ক্ষিত মানে উন্নীত করতে হবে। তাদের ট্রমামুক্ত করে সুস্থ্য ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে হবে। নতুন শক্তিতে বলিয়ান ও শক্তিমান করতে হবে। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কর্মসূচির মাধ্যমে উভয় বাহিনীকে তাদের হারোনো গৌরব ফিরিয়ে দিয়ে জনগণের কাঙ্ক্ষিত বাহিনীর মর্যদায় প্রতিষ্ঠিত হবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করে উভয় বাহিনীকে তাদের প্রতিষ্ঠাদিবস ও পুলিশ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ :সাবেক উপ-মহাপরিচালক, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি এবং রোটারী লার্নিং ফেসিলিটেটর, রোটারী ক্লাব, ঢাকা এলিট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে