মার্জনা অর্জনের রজনী

আলস্নাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিসফ শাবানের রাতের ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে অতিবাহিত করার তাওফিক দান করুন। সারা বছর এ আমল অব্যাহত রাখার তাওফিক দান করুন। কোরআন-সুন্নাহর ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন।

প্রকাশ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

মাহমুদুল হক আনসারী
মার্জনা অর্জনের রজনী লাইলাতুল বরাত। বণ্টনের রজনী এই রাতে মহান আলস্নাহ ওয়াতাআলা বান্দাকে তার গুনাহ বা অপরাধ ক্ষমা করবেন এমন প্রতিশ্রম্নতি পবিত্র কোরআন ও হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়। দুনিয়ার মুসলিম বিশ্ব লাইলাতুল বরাত মহান এই রজনীটি অত্যন্ত ভাব গাম্ভীর্যের মাধ্যমে পালন করে থাকে। বাংলাদেশের মুসলিম নর-নারী মহান এই রজনী ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে উদ্‌যাপন করবেন। মসজিদ, খানেকা মাদ্রাসা, ইবাদত খানায় মুসলিস্নরা বন্দেগির মাধ্যমে রজনীটি পালন করে থাকে। আলোচনা সভা, সেমিনার ও ওয়াজ মাহফিল ইত্যাদির মাধ্যমে দিবসটির ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরে প্রতিটি মসজিদে মসজিদে আলোচনা সভা ও ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এই দিবসে মহান আলস্নাহ তাআলা বন্দাবান্দির হায়াত, মাউত, রিজিক ও ধনদৌলত সবকিছু নির্ধারণ করেন। বান্দার গুনাহ মাফ করে থাকেন। আলস্নাহর নৈকট্য লাভের রাস্তা প্রশস্ত করে দেন। বান্দার ফরিয়াদ আলস্নাহ পাক শুনেন। ক্ষমা করার জন্য বন্দাকে ডাকেন। আলস্নাহর বান্দারা তাদের জীবনের ন্যায় অন্যায় ভালো-মন্দ মার্জনা পাওয়ার আশায় সূর্য ডুবার পর থেকে ফজর পর্যন্ত ফরজ, নফল ইবাদত ও জিকির আজকারের মাধ্যমে মহান আলস্নাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। বাংলাদেশে ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের সঙ্গে সরকারিভাবে দিবসটি পালন করা হয়। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সামাজিক রাজনৈতিক নানা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশব্যাপী মহান মহিমান্বিত বরকতময় রজনীটি পালিত হয়ে আসছে। লাইলাতুন নিসফ মিন শাবান তথা অর্ধ শাবানের রাত। এ রাতটি শবেবরাত বা লাইলাতুল বরাত হিসেবে পরিচিত। হিজরি বছরের অষ্টম মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত এটি। আজই অনুষ্ঠিত হবে শবেবরাত। মুমিন মুসলমান এ রাতটিকে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ হিসেবে ইবাদত-বন্দেগি, তওবা-ইসতেগফার ও দোয়া-দরুদে অতিবাহিত করে থাকে। রাসুলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম এ রাতে অধিক পরিমাণে ইবাদত করতেন। নবীজি সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নামের কিছু আমল দ্বারা বিশেষ কিছু ইবাদত প্রমাণিত হয়- যা তিনি করেছেন। নফল নামাজ পড়া এ রাতে দীর্ঘ (কেরাতে) তেলাওয়াতে নফল নামাজ পড়া। অর্ধ শাবানের রাতে রাসুলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম অধিক পরিমাণে দীর্ঘ নফল নামাজ পড়তেন। পবিত্র হাদিস শরিফে এসেছে- হযরত আয়েশা রাদিয়ালস্নাহু আনহা বলেন, এক রাতে রাসুলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম ঘুম থেকে ওঠে নামাজে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং সেই নামাজে এত দীর্ঘ সময় তিনি সেজদায় ছিলেন যে, আমার সন্দেহ হচ্ছিল তিনি ইন্তেকাল করেছেন কিনা। আমি উঠে গিয়ে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। আঙুলটি নড়ে উঠল। আমি নিশ্চিত হলাম যে তিনি বেঁচে আছেন। এরপর আমি আপন স্থানে ফিরে এলাম। রাসুলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম সেজদা থেকে মাথা উঠালেন এবং নামাজ শেষ করে একপর্যায়ে বললেন, হে আয়েশা! তুমি কি ভেবেছ যে, আলস্নাহর নবী তোমার ওপর কোনো অবিচার করেছে? আমি বললাম, হে আলস্নাহর রাসুল! আমি এমন কিছুই ভাবিনি। আমি বরং আপনাকে দীর্ঘ সময় সেজদায় দেখে ভয় পাচ্ছিলাম যে, আপনাকে আলস্নাহ পাক উঠিয়ে নিলেন কিনা! অতপর রাসুল সলস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বললেন, তুমি কি জান? আজকের এ রাতটি কোন রাত? আমি বললাম, আলস্নাহ ও তার রাসুলই ভালো জানেন। রাসুলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বললেন, এ রাতটি শাবানের পঞ্চদশ রজনী। এতে মহান প্রভু তার বান্দাদের ওপর বিশেষ দৃষ্টি দেন। ক্ষমা প্রার্থীদের ক্ষমা করে দেন। রহমত প্রার্থীদের রহমত দান করেন। অপরদিকে, পরশ্রীকাতর ব্যক্তিদের আপন অবস্থায় ছেড়ে দেন।' (শুয়াবুল ইমান, আত তারগীব) দোয়া করা নিসফ শাবানের রাতের দোয়া আলস্নাহ তাআলা কবুল করেন। তাই বেশি বেশি দোয়া করা। পবিত্র হাদিস শরিফে এসেছে- হযরত আব্দুলস্নাহ ইবনে ওমর রাদিয়ালস্নাহু আনহু বর্ণনা করেন, পাঁচটি রাত এমন আছে, যে রাতে বান্দার কোনো দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না। আর তাহলো- ১. জুমআর রাতের দোয়া। ২. রজব মাসের প্রথম রাতের দোয়া। ৩. নিসফ শাবান তথা অর্ধ শাবানের রাতের দোয়া। ৪. ঈদুল ফিতর তথা রোজার ঈদের রাতের দোয়া। ৫. ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদের রাতের দোয়া। (মুসান্নেফ আব্দুর রাজ্জাক) ইমাম শাফেঈ রহমাতুলস্নাহি আলাইহি বলেন, 'আমাদের কাছে পৌঁছেছে যে, পাঁচটি রাতে দোয়া বেশি বেশি কবুল করা হয়। জুমআর রাত, ঈদুল আজহার রাত, ঈদুল ফিতরের রাত, রজব মাসের প্রথম রাত এবং নিসফ শাবান তথা শাবানের ১৫তম রাতের দোয়া।' (কিতাবুল উম্ম, আস-সুনানুল কুবরা) আলস্নাহর অনুগ্রহ পেতে এ দোয়া পড়া- উচ্চারণ : রাব্বি আওঝি'নি আন আশকুরা নি'মাতাকালস্নাতি আনআমতা আলাইয়্যা ওয়া আলা ওয়ালিদাইয়্যা ওয়া আন আ'মালা সালেহাং তারদাহু ওয়া আদখিলনি বিরাহমাতিকা ফি ইবাদিকাস সালিহিন।' (সুরা নামল : আয়াত ১৯) উচ্চারণ : আলস্নাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি ওয়াল আজযি ওয়াল কাসালি, ওয়াল জুবনি ওয়াল বুখলি ওয়া দালায়িদ দাইনি ওয়া গালাবাতিল রিজালি।' (বুখারি ও মুসলিম, মিশকাত শরিফ) উচ্চারণ : আলস্নাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল জুবনি ওয়া আউজুবিকা মিনাল বুখলি ওয়া আউজুবিকা মিন আরজালিল উমুরি ওয়া আউজুবিকা মিন ফিতনাতিদ দুনিয়া ওয়া আজাবিল কাবরি।' (বুখারি ও মিশকাত শরিফ) উচ্চারণ : 'আলস্নাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন জাহদিল বালায়ি ওয়া দারাকিশ শাক্বায়ি ওয়া সুয়িল ক্বাজায়ি ওয়া শামাতাতিল আ'দায়ি।' উচ্চারণ : 'আলস্নাহুম্মাকফিনি বিহালালিকা ওয়া হারামিকা ওয়া আয়িন্নি বিফাজলিকা আম্মান সেওয়াকা।' - মহামারি থেকে বাঁচতে বেশি বেশি বিশ্ব নবীর এ দোয়া পড়া- উচ্চারণ : আলস্নাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাচি ওয়াল জুনুনি ওয়াল ঝুজামি ওয়া মিন সায়ি্যয়িল আসক্বাম।' (আবু দাউদ, তিরমিজি শরিফ) অর্থ : 'হে আলস্নাহ! আপনার কাছে আমি শ্বেত রোগ থেকে আশ্রয় চাই। মাতাল হয়ে যাওয়া থেকে আশ্রয় চাই। কুষ্ঠু রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে আশ্রয় চাই। আর দুরারোগ্য ব্যাধি (যেগুলোর নাম জানিনা) থেকে আপনার আশ্রয় চাই। - ছোট-বড় সব বিপদ ও মুসিবতে এ দোয়া পড়া উচ্চারণ : 'ইন্না লিলস্নাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন; আলস্নাহুম্মা আযিরনি ফি মুসিবাতি ওয়াখলুফলি খাইরাম মিনহা। (মুসলিম শরিফ) তওবাহ ও ইসতেগফার করা বান্দার গুনাহ মাফে তওবাহ করার বিকল্প নেই। বান্দা নিজের গুনাহের কথা স্মরণ করে আলস্নাহর কাছে তা থেকে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করা। তবে আলস্নাহ বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। পবিত্র হাদিস শরিফে এসেছে- হযরত ওসমান ইবনে আবিল আস রাদিয়ালস্নাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুলস্নাহ সলস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বলেছেন, শাবান মাসের ১৫তম রাতে আলস্নাহ তাআলা এই বলে ডাকতে থাকেন- তোমাদের মাঝে কেউ আছে কি ক্ষমাপ্রার্থী? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। আছে কি তোমাদের মাঝে কিছু চাইবার মতো কেউ? আমি তার সব চাহিদা পূরণ করে দেব। এরপর রাসুলুলস্নাহ সলস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বলেন, এভাবে সব প্রার্থনাকারীর সব ধরনের বৈধ চাওয়াগুলো পূরণ করা হয়। কিন্তু ব্যভিচারী ও মুশরিকদের প্রার্থনা কবুল করা হয় না।' (শুয়াবুল ইমান) গুনাহ থেকে ফিরে আসতে এ তওবাহ ও ইসতেগফারগুলো পড়া- উচ্চারণ : 'আসতাগফিরুলস্নাহালস্নাজি লা ইলাহা ইলস্না হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়ু্যম।' উচ্চারণ : 'আলস্নাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফওয়া ওয়াল আফিয়াতা ফি দ্বীনি ওয়া দুনিয়ায়া ওয়া আহলি ওয়া মালি।' (আবু দাউদ, মিশকাত শরিফ) উচ্চারণ : 'আলস্নাহুম্মা ইন্নাকা আফুওউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা'ফু আন্নি।' উচ্চারণ : 'আলস্নাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা ওয়াত্তুক্বা ওয়াল আফাফা ওয়াল গিনা।' উচ্চারণ : 'আলস্নাহুম্মা আংতা রাব্বি লা ইলাহা ইলস্না আংতা খালাক্বতানি, ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়া'দিকা মাস্তাত্বাতু। আউজুবিকা মিন শারি মা ছানা'তু। আবুউলাকা বিনি'মাতিকা আলাইয়্যা, ওয়া আবুউ বিজাম্বি ফাগফিরলি। ফাইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইলস্না আংতা।' তাসবিহ-তাহলিল পড়া উচ্চারণ : 'সুবহানালস্নাহ, আলহামদুলিলস্নাহ, আলস্নাহু আকবার, লা ইলাহা ইলস্নালস্নাহু ওয়াহ্‌দাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুলিস্ন শাইয়িন ক্বাদির।' উচ্চারণ : 'সুবহানালস্নাহি ওয়া বিহামদিহি; সুবহানালস্নাহিল আজিম।' উচ্চারণ : 'ইয়া হাইয়ু্য, ইয়া কায়ু্যমু বিরাহমাতিকা আসতাগিছ।' উচ্চারণ : 'লা ইলাহা ইলস্না আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জ্বালিমিন।' পর দিন রোজা রাখা নিসফ শাবানের রাতের পরের দিন রোজা রাখা। পবিত্র হাদিস শরিফে এসেছে- হযরত আলি রাদিয়ালস্নাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বলেন, যখন শাবান মাসের ১৫তম রাত তোমাদের সামনে এসে যায় তখন তোমরা সে রাতে নামাজ পড় এবং পরবর্তী দিনে রোজা রাখ।্থ (ইবনে মাজাহ) এছাড়াও আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া (নিজ ঘরে) রাত জেগে উলিস্নখিত নফল নামাজ, জিকির-আজকার, কোরআন তেলাওয়াত ও তওবা-ইস্তিগফার ইত্যাদি ইবাদত বন্দেগি করা। পবিত্র হাদিস শরিফে এসেছে- 'এ রাতে সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে আলস্নাহ তাআলা পৃথিবীর আকাশে নেমে আসেন এবং ফজর পর্যন্ত মানুষকে তার কাছে ক্ষমা, রোগ মুক্তি, জাহান্নাম থেকে মুক্তি, রিজিকসহ ইত্যাদি বৈধ প্রয়োজনীয় চাহিদার জন্য তার কাছে প্রার্থনা করতে আহ্বান করতে থাকেন।' আবার আনুষ্ঠানিকতা জাঁকজমকবিহীন একাকি কবর জিয়ারত করা যেতে পারে। কেননা, রাসুলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম কাউকে না জানিয়ে একাকী জান্নাতুল বাকিতে গিয়ে কবর জিয়ারাত করেছিলেন। এমনকি যা তিনি হযরত আয়েশা রাদিয়ালস্নাহু আনহাকেও জানাননি। চাইলে এ আমলগুলোও করা যেতে পারে- ১. এ রাতের নফল নামাজের কেরাত এবং সেজদা হবে দীর্ঘ। ২. কোরআনুল কারিম তেলাওয়াত করা। ৩. রাসুলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নামের ওপর দরূদ পাঠ করা। ৪. গুনাহের কথা স্মরণ করে ইস্তেগফার তথা ক্ষমা প্রার্থনা করা। ৫. নিজের জীবনের বড় বড় গুনাহের কথা স্মরণ করে তওবাহ করা। ৬. আলস্নাহর রহমত ও কল্যাণ কামনা করা। ৭. রাতের কিছু সময় ঘুমানো। ৮. শেষ রাতে সেহরি খাওয়া। ৯. পরের দিন রোজা রাখা। তবে এমনটি যেন না হয় যে অনেক রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগি, তাসবিহ-তাহলিল করার ফলে ফজরের ফরজ নামাজ তরক হয়ে যায়। আলস্নাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিসফ শাবানের রাতের ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে অতিবাহিত করার তাওফিক দান করুন। সারা বছর এ আমল অব্যাহত রাখার তাওফিক দান করুন। কোরআন-সুন্নাহর ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। এই রজনীর উসিলায় আলস্নাহ পাক যেন আমাদের শান্তি ও কল্যাণ দান করেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সামাজিক অস্থিরতা দূর করে সুখি সমৃদ্ধশালী জনগণের কল্যাণময় চিন্তাচেতনা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে এই দেশকে যেন আলস্নাহ তাআলা সুখি ও সমৃদ্ধশালী স্থিতিশীল শান্তিময় পরিবেশে ভরপুর করে দেন। মহান এই রজনীতে সবাই একে অপরের জন্য ও বাংলাদেশের জন্য প্রার্থনা করি। আলস্নাহুম্মা আমিন। মাহমুদুল হক আনসারী : সংগঠক, গবেষক, কলামিস্ট