পাঠক মত
রুচিশীল পাঠক হতে হবে
প্রকাশ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয় শিক্ষার্থী, নওগাঁ সরকারি কলেজ
প্রতিবছর বইমেলায় পাঠককে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কোন বই ছেড়ে কোন বই কিনবে এমন এক দ্বিধায় পড়তে হয় পাঠকমনকে। কিন্তু যারা রুচিশীল পাঠক তারা জানে কোন বইয়ের দিকে ঢুঁ মারতে হয়। মানহীন, রুচিহীন লেখা যেমন বেড়েছে ঠিক তেমনি বেড়েছে সস্তা লেখকের সংখ্যা। এতে করে ওভাররেটেড লেখাগুলো হারিয়ে যাচ্ছে খুব সহজেই। আর সৃষ্টিশীল মানুষ হারাচ্ছে তাদের শৈল্পিক সত্তা। যারা উন্নত পাঠক তারা কখনোই হুটহাট করে ট্রেন্ডে শামিল হয়ে হাইপে থাকা বই কিনবে না। কারন সঠিক বই নির্বাচন করা একটি আদর্শ ও রুচিবান পাঠকের কৃতিত্ব। সোস্যাল মিডিয়ার কনটেন্ট ক্রিয়েটরা ভাইরাল হলেই রাতারাতি লেখক হয়ে উঠছে। লিখে ফেলতে পারছে যা খুশি কবিতা, গান, গল্প কিংবা উপন্যাস। যদিও এসব লেখা দীর্ঘদিন ধরে পাঠকের মনের মধ্যে দাগ কাটে না। খুব বেশিদিন টিকেও থাকে না আর এমনটাই তো স্বাভাবিক। পাঠকের রুচিশীলতায় নির্ভর করে প্রকৃত লেখকদের উঠে আসতে। লেখালেখির জার্নিটা অনেক দীর্ঘ এবং সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। হুট করে কেউ এসে সাহিত্যে দখল নিতে পারে না। কিন্তু আমাদের দেশের সাহিত্য এবং অমর একুশে বইমেলায় প্রতিবছর মানহীন অলেখকদের বই দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। এসব মানহীন লেখার মধ্যে তরুণ প্রজন্ম হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। এতে করে বইমেলা হারাচ্ছে তার প্রকৃত সৃজনশীলতা। সোস্যাল মিডিয়া কেন্দ্রীক লেখক হয়ে উঠার প্রবণতা বেড়েছে বেশ কিছু বছর ধরে। এই মারাত্মক প্রবণতা বাংলা সাহিত্যের ধ্বংস ডেকে আনছে। আর এই প্রবণতা বইমেলাকে কোনঠাসা করে রেখেছে। বাংলা একাডেমির উচিত এসব প্রাণহীন অখাদ্য লেখা রুখতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা। প্রকাশকদের ও সচেতন হতে হবে। সেই সাথে আমাদের হতে হবে খুবই মার্জিত ও স্মার্ট পাঠক। ছোট্ট জীবনে যত বেশি গুরুত্বপূর্ণ বইগুলো পড়া যায় ততই মঙ্গল ও মানবজীবনের সার্থকতা। তাই একজন রুচিশীল পাঠকের ব্যাক্তিত্ব, মানসিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক গুরুত্ব ব্যাপকভাবে সমাদৃত।
ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়
শিক্ষার্থী, নওগাঁ সরকারি কলেজ