শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২
পাঠক মত

আলু নিয়ে রাজশাহীর কৃষকরা দিশেহারা

  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
আলু নিয়ে রাজশাহীর কৃষকরা দিশেহারা

কৃষকদের যেন আর ভোগান্তির শেষ নেই। এবার আলুর ব্যাপক ফলন ফলিয়ে তা যেন এখন তাদের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। রাজশাহীতে আলু চাষীরা আলু রাখার জন্য হিমাগার পাচ্ছেন না। পেলেও তা চড়া মূল্যে চাচ্ছেন রাখতে। আলুর বাজার পড়তি। সেখানে এখন বিক্রি করলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে তাদের। অপরদিকে হিমাগারের মালিকদের দৌড়াত্ম্যে তারা দিশাহারা। গত মৌসুমে কৃষকরা হিমাগারে আলু রেখে দুটো পয়সার মুখ দেখতে পেয়েছিলেন। বাজার মূল্যে ভালো থাকায় আলু বাণিজ্য ছিল চোখে পড়ার মতো। সে কারণেই এবার হিমাগারগুলোতে সিন্ডিকেট ব্যবসা শুরু হয়েছে। অনেক হিমাগারের মধ্যস্বত্বভোগীরা হিমাগারের কোটা আগে থেকেই কিনে রাখেন। পরে আলু ব্যবসায়ী বা ফড়িয়াদের কাছে তা লাভে ছেড়ে দেন। এবারও সে অবস্থার মুখোমুখি হয়েছেন রাজশাহী অঞ্চলের কৃষকরা। আগের বার প্রতি কেজি আলু রাখা যেত যেখানে ৪ টাকায় এবার তার দাম ধরা হয়েছে ৮ টাকা। দ্বিগুন বাড়ানোর কোন যৌক্তিকতা কেউ খূঁজে পাচ্ছে না। তবে আলু চাষীদের এবার যে তাদের উৎপাদিত আলু নিয়ে জটিলতায় পড়তে হবে তা অনেকটা নিশ্চিত। দেখা যাবে এখন চড়ামূল্যে হিমাগারে রেখেও মৌসুম শেষে তা হিমাগারেই তাদের রেখে আসতে হবে। তার কারণ হলো- যে টাকা দিয়ে তারা আলু ছাড়িয়ে বাজারজাত করবেন সে টাকাও বাজার মূল্যে পাবেন না। তাই তো রাজশাহীর আলু চাষীদের পাশে রাষ্ট্রকে এখন এগিয়ে আসতে হবে। নইলে চাষীরা ভবিষ্যতে আলুর চাষে আগ্রহ হারাবে এমন আশঙ্কা আছে।

হাজি মো. রাসেল ভূইয়া

খলিফা বাড়ী, সিপাহীপাড়া, মুন্সীগঞ্জ

ঢাকা কলেজ

লাইব্রেরি সংকট

উচ্চতর শিক্ষায় কিংবা জাতি গঠনে লাইব্রেরির বিকল্প নেই। লাইব্রেরি একটি জাতির সাফল্যের পেছনে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখে। তবে হতাশার কথা যে বাংলাদেশের তথা উপমহাদেশের প্রথম আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজের লাইব্রেরি সংকট কাটছেই না। দীর্ঘ ১৮৪ বছরেও আন্তজার্তিক মানের লাইব্রেরি করা যায়নি। দীর্ঘদিন ধরেই স্থান সংকট, পর্যাপ্ত বইয়ের অভাব এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ঘাটতির মতো নানা সমস্যায় ভুগছে। কলেজের শিক্ষার্থীসংখ্যা বাড়লেও লাইব্রেরির পরিসর বাড়েনি, ফলে বসার জায়গার অভাব প্রকট। লাইব্রেরিতে অনেক পুরনো বই থাকলেও নতুন ও আপডেটেড বইয়ের সংখ্যা কম। গবেষণা, রেফারেন্স এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় বইয়ের অভাব রয়েছে। লাইব্রেরির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মী ও পর্যাপ্ত প্রযুক্তিগত সহায়তা নেই। বই সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার আধুনিক পদ্ধতি গ্রহণ না করায় অনেক বই খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া পরীক্ষা চলাকালীন ও সন্ধ্যাকালীন লাইব্রেরিও থাকে বন্ধ। তাই প্রশাসন ও নীতিনির্ধারকদের কাছে দাবি জানাই বাংলাদেশের প্রাচীনতম এই প্রতিষ্ঠানে নতুন লাইব্রেরি কক্ষ, রিডিং রুম, মানসম্মত ব্যবস্থাপনা ও বইয়ের সংগ্রহ বাড়ানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত হোক। ঢাকা কলেজের মতো ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরি সংকট দূর করা জরুরি, যাতে শিক্ষার্থীরা আরও ভালোভাবে জ্ঞান আহরণ করতে পারে।

রাকিব হাসান

সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে