ইশারা ভাষা হলো মানুষের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন যোগাযোগের মাধ্যম। আদিম মানব যখন কথ্য ভাষায় কথা বলতে শেখেনি তখন থেকেই ইশারার মাধ্যমেই একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলেছিল। ইশারার ভাষা হলো এক রকমের দৃশ্য নির্ভর ভাষা। হাতের, শরীরের এবং মুখের নানা ভঙ্গিমার মাধ্যমে এই ভাষা ব্যক্ত করা হয়। মানব ইতিহাসের প্রথম ভাষার নাম 'ইশারা ভাষা'। একে সব ভাষার মাতৃভাষা বলে অভিহিত করা যায়। শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষ ইশারার মাধ্যমে তাদের মনের ভাব প্রকাশ করে। তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এবং ইশারা ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়ে ২০১২ খ্রিস্টাব্দে ২৬ জানুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ৭ ফেব্রম্নয়ারিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।
দেশব্যাপী এক ভুবন এক ভাষা, চাই সার্বজনীন 'ইশারা ভাষা' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস-২০২৫ উদযাপন করা হচ্ছে। দিবসটি পালন করার মূল উদ্দেশ্য হলো শ্রবণসংক্রান্ত সমস্যায় ভোগা মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের সাহায্যার্থে জনসচেতনতা গড়ে তোলা। ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব দ্য ডেফ-এর তথ্য মতে, সারা বিশ্বে প্রায় সাত কোটি শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষ রয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশেই আছে প্রায় ৩০ লাখ। তবে দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩৯৭ জন। যার মধ্যে ১ লাখ ১৮ হাজার ৯০৭ জন বাকপ্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ও ৪৭ হাজার ৪৯০ জন শ্রবণ-বাকপ্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। ভাব প্রকাশের প্রতিবন্ধকতার কারণে এই মানুষ সমাজের মূলধারার সঙ্গে মিশতে পারে না, বঞ্চিত হচ্ছে প্রাপ্ত অধিকার থেকে। ১৯৭১ থেকে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ এই দীর্ঘ ৫৪ বছরের পথপরিক্রমায় সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া, পিছিয়ে থাকা ও পিছিয়ে রাখা প্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জনগোষ্ঠীর জীবনমানের কতটা অগ্রগতি সাধিত হয়েছে? আর কতটা পথ হাঁটলে এসব সুবিধাবঞ্চিত মানুষ তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে, তা সত্যি আজ ভাবনার বিষয়!
যোগাযোগ ও ভাষা ব্যবহারের অধিকার প্রত্যেক ব্যক্তির মৌলিক অধিকার। এই ভাষা হতে পারে বাচনিক কিংবা অবাচনিক। ইশারা ভাষা একটি অবাচনিক ভাষা যা শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তির যোগাযোগে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ইশারা ভাষার সবচেয়ে দারুণ ব্যাপার হলো, এ ভাষা চোখে দেখা যায়। যোগাযোগ স্থাপনে ব্যবহৃত আর অন্য কোনো ভাষাই আমরা দেখতে পাই না। এটাই এ ভাষার সৌন্দর্য ও স্বকীয়তা- যা সবাইকে মুগ্ধ করে প্রতিনিয়ত। শুধু শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিই নন, ক্যানসার বা দুর্ঘটনাজনিত কারণে কণ্ঠনালির অপসারণ হওয়া ব্যক্তি, স্ট্রোক-পরবর্তী 'এফাসিয়া' আক্রান্ত অনেক ব্যক্তি, এপ্রাক্সিয়ার মতো জটিল ভাষাবৈকল্য, অটিজমসহ নানা স্নায়বিক বৈকল্য বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিরও যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হতে পারে ইশারা ভাষা। বাচনিক ভাবপ্রকাশের সীমাবদ্ধতাগত কারণে শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিরা বঞ্চিত হচ্ছেন স্বাভাবিক জীবনধারার সুযোগসুবিধা থেকে। সারা বিশ্বের শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম হলো এ সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ বা ইশারা ভাষা। আমেরিকান এবং ব্রিটিশ সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ (এএসএল ও বিএসএল) কে মৌলিক ধরে বিভিন্ন দেশে সৃষ্টি হয়েছে আলাদা সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ বা ইশারা ভাষা। তেমনি আমাদের দেশের শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিরা বাংলা সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ বা বাংলা ইশারা ভাষায় মনের ভাব আদানুপ্রদান করে থাকেন। যেহেতু আমরা ব্রিটিশ শাসনের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম, তাই ব্রিটিশ সাইন ল্যাঙ্গুয়েজের একটা বড় প্রভাব রয়েছে বাংলা ইশারা ভাষার ওপর। এই বাংলায় প্রথম ১৯৬৩ সালে কয়েকজন শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তি গড়ে তোলেন (ডিপিও) ডিজঅ্যাবল পারসন অর্গানাইজেশন। ১৯৬৪ সালে 'ইস্ট পাকিস্তান মূক-বধির সংঘ' নামে পাকিস্তান সরকারের সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার থেকে রেজিস্ট্রেশন লাভ করে সংগঠনটি। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৬ সালে নাম পরিবর্তন করে হয় 'বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থা'- যা সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এছাড়া, বাংলাদেশে সমাজসেবা অধিদপ্তর জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এ ভাষা ও এই ভাষার মানুষকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এ ভাষার সংরক্ষণের জন্য জাতীয় বিশেষ শিক্ষাকেন্দ্র, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বধির সংস্থা ১৯৯৪ সালে একটি ছবিসংবলিত ডিকশনারি প্রকাশ করেন। এর বাইরে একটি বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর ডিজঅ্যাবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (সিডিডি) বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ করেছেন ইশারা ভাষার ওপর। শুধুমাত্র ভাষাগত পার্থক্যের কারণে শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন নাগরিকরা প্রায় ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হন। এই মানুষকে অন্যায়ভাবে 'বোবা-কালা' ইত্যাদি নামের সিলমোহর দিয়ে সমাজ থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়। অধিকাংশ মানুষের ধারণা, তারা কিছু বোঝে না বা বুঝতে পারে না। অথচ তারা সব বোঝে, সব পারে; এমনকি অনেকাংশে স্বাভাবিক মানুষের চেয়েও ভালো পারে। তাদের ভাষা আমরা বুঝি না, বলা উচিত বুঝতে চাই না। আমাদের এ অপারগতা বা ব্যর্থতার কারণে বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছেন শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষ। কিন্তু আমরা কখনো কি ভেবেছি, ভাষাগত পার্থক্যই যদি সমস্যার কারণ হতো তাহলে পৃথিবীতে হয়তো এত ভাষার অস্তিত্ব থাকত না। ভাষার জন্য কেউ জীবন দিত না। সবাই একটি ভাষাকেই বেছে নিত। সভ্যতার উৎকর্ষের এই যুগে এসে মানুষে মানুষে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভাষাগত সমস্যা কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। আইনে ইশারা ভাষা এবং এ ভাষার মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবারের সঙ্গে থাকা, সমান আইনি সুবিধা ও কর্মক্ষেত্রে সমান সুযোগ পাওয়ার কথা রয়েছে। আইনে থাকলেও বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রেই এর সফল প্রয়োগ দেখা যায় না। এর প্রধান কারণ স্বাভাবিক মানুষের হীন মানসিকতা এবং ইশারা ভাষার বেসিক সাইনগুলো সম্পর্কে অজ্ঞতা। ইশারা ভাষা সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সঠিক ধারণার অভাব রয়েছে। এটা যে একটি পরিপূর্ণ ভাষা তা অনেকেরই জানা নেই। ইশারা ভাষাই শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের একমাত্র মাধ্যমে- তাই আমাদের রাষ্ট্রকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে 'ইশারা ভাষাকে' সার্বজনীন করার।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পৃথিবীর ৮০ শতাংশ শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষ বাস করেন। এই ৮০ শতাংশ মানুষের মধ্যে মাত্র ২ শতাংশ মানুষ ইশারা ভাষা ব্যবহার করতে পারেন। এই দুর্ভাগ্যের অন্যতম কারণ হলো উন্নয়নশীল দেশের সব নিজস্ব ইশারা ভাষা নেই। আদিম যুগ থেকে মানুষ যে সাংকেতিক বা ইশারা ভাষা ব্যবহার করে আসছে যথাযথ উদ্যোগের অভাবে বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রই সেই ভাষা ব্যবহারকারী মানুষের অপাংক্তেয় করে রেখেছে। এদিক থেকে বাংলাদেশি এবং বাংলা ভাষাভাষী জনগণ অনেক ভাগ্যবান। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এবং ইউএনডিপি'র উদ্যোগে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এই জনগোষ্ঠীর জন্য ই-বাংলা ভাষার অভিধান তৈরি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন মানুষের বৈষম্যের দেওয়াল ভাঙতে বাংলা ইশারা ভাষায় দক্ষ শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। ইশারা ভাষাকে সার্বজনীন করার জন্য প্রাথমিক পর্যায় থেকে উচ্চশিক্ষাক্রম পর্যন্ত সিলেবাসে বাংলা ইশারা ভাষাকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সেই সঙ্গে শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন নাগরিকদের জন্য পৃথক শিক্ষা কারিকুলাম, কারিগরি, উন্নত ও বাস্তবসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে হবে।
সম্প্রতি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবন্ধী বিভাগ সরকারি ইশারা ভাষা ইনস্টিটিউট স্থাপনের পদক্ষেপ নিয়েছে- যা আমাদের আশার আলো দেখাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, নরওয়ে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফিনল্যাল্ড ও সাউথ আফ্রিকা তাদের দেশে ইশারা ভাষাকে আইনি স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি ইনস্টিটিউট ও দোভাষী সনদ প্রাপ্তিসহ বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে উগান্ডা ১৯৯৫ সালে ইশারা ভাষাকে আইনি স্বীকৃতি দেয়। তাছাড়া- ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায়ও ইশারা ভাষাকে একাডেমিক ও অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার প্রাদেশিক আইনে উলেস্নখ আছে একাডেমিক ক্রেডিট কোনো কোর্সকে গ্রহণ করবে না যদি সেই প্রতিষ্ঠান ইশারা ভাষাকে স্বীকৃতি না দেয়। প্রতিবেশী দেশ ভারত ২০১১ সালে ইন্দিরা গান্ধী উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় ভারতীয় ইশারা ভাষা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। সেদিক থেকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডল বিচারে বাংলাদেশের শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন নাগরিকদের জন্য আমরা উদ্যোগের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। এসব বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন জনগোষ্ঠীর সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ, মুখভঙ্গি বা জেসচারকে ইউনিকোড টেক্সটে রূপান্তর করে অটোমেটিক স্পিচ জেনারেট করার উপযোগী সফটওয়্যার তৈরি করা এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। যার মাধ্যমে শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিরা মোবাইল ফোনের ক্যামেরার সামনে বাংলা সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ প্রদর্শন করবে। সাধারণত একজন শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ব্যক্তির দৈনন্দিন ও প্রাতিষ্ঠানিক কাজে যত পরিস্থিতি তৈরি হয়, প্রায় সবই এর আওতাভুক্ত থাকবে।
বাংলা ইশারা ভাষাকে ডিজিটাইজ করতে হবে- যার মাধ্যমে দেশে প্রচলিত ইশারা ভাষা সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য, প্রমিত ও ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠবে। বিশেষ করে এসএলআর ও টিটুএসপি (টেক্সট-টু-স্পিচ)-এ দুটি রূপান্তর সিস্টেমের মাধ্যমে শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিরা দৈনন্দিন আলাপচারিতা এবং যে কোনো সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যের সঙ্গে বিনা বাধায় যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবেন। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত করতে ইশারা ভাষার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ইশারা ভাষা নিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ইশারা ভাষায় দক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। বাংলা ইশারা ভাষা দিবসের প্রাক্কালে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এই জনগোষ্ঠীর প্রতি রইলো বাংলা ইশারা ভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।
মো. তাহমিদ রহমান:শিক্ষক, কলাম লেখক