জলাধার জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ সুরক্ষায় নিয়ামক শক্তি

জলাভূমিগুলো হারিয়ে যাওয়ার ফলে জলাভূমিনির্ভর প্রান্তিক মানুষের জীবনজীবিকার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। জলাভূমিগুলো আমাদের সম্পদ, জীববৈচিত্র্যের আধার ও প্রাণের স্পন্দন। জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ সুরক্ষায় জলবায়ু পরিবর্তনের এই পরিবর্তনশীল বাস্তবতায় জলাধারগুলো রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রকাশ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

ড. ফোরকান আলী
২ ফেব্রম্নয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস। বিশ্বের জলাভূমি রক্ষায় ১৯৭১ সালের ২ ফেব্রম্নয়ারি আন্তর্জাতিক স্তরে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ইরানের রামসার শহরে এই চুক্তি সম্পাদিত হওয়ায় এটি 'রামসার কনভেনশন' নামে পরিচিত। সেই সময় রামসার শহরে ১৮টি দেশ উপস্থিত হয়ে এই চুক্তি সম্পন্ন করে। এই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য বিশ্বব্যাপী জলাভূমি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা। বাংলাদেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ। জলাভূমির মূল্য ও উপকার বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি এবং এর সংরক্ষণ ও যৌক্তিক ব্যবহার সম্পর্কে প্রচারের জন্য ১৯৯৭ সাল থেকে প্রতি বছর ২ ফেব্রম্নয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস পালন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের রয়েছে বিশাল জলাভূমি। নদী, মোহনা, ম্যানগ্রোভ, হাওড়, বাঁওড়, বিল, জলাধার, দীঘি, পুকুর ইত্যাদি মিলিয়ে কয়েকটি প্রকাশনায় বাংলাদেশে জলাভূমির আয়তন ৭০ থেকে ৮০ হাজার বর্গকিলোমিটার বলে উলেস্নখ করা হয়েছে। অর্থাৎ দেশের মোট আয়তনের অর্ধেকের মতো হচ্ছে জলাভূমি। তবে এক সময় বাংলাদেশে জলাভূমির আয়তন ছিল আরও বেশি। বাংলাদেশের জলাভূমিকে প্রাথমিকভাবে নোনা পানির জলাভূমি, স্বাদু পানির জলাভূমি ও মানবসৃষ্ট জলাভূমি- এই তিনভাগে ভাগ করা হয়। কৃষি, বসবাসের জন্য বাড়িঘর তৈরি, রাস্তাঘাট নির্মাণ ও শিল্প-কারখানা তৈরির প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জলাভূমি ধ্বংস করা হয়েছে এবং হচ্ছে। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দয্য আর জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ টাঙ্গুয়ার হাওড়কে ২০০০ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সুনামগঞ্জ জেলার এ হাওড়ে ২০৮ প্রজাতির পাখি, ১৫০ প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ, ১৫০ প্রজাতির মাছ, ৩৪ প্রজাতির সরীসৃপ ও ১১ প্রজাতির উভচর প্রাণী রয়েছে। এছাড়াও প্রতি বছর শীতকালে প্রায় ২০০ প্রজাতির অতিথি পাখির আগমন ঘটে। আমাদের জীবন জীবিকার প্রয়োজনেই জলাভূমির পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ ক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে 'রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করবেন।' কিন্তু সম্পদের অতিরিক্ত আহরণ, পরিবেশ দূষণ, জনসংখ্যার চাপ, অপরিকল্পিত উন্নয়ন, জলাভূমির গুরুত্বকে খাটো করে দেখা ও অনুধাবনে ব্যর্থতাসহ নানা কারণে এ দেশের জলাভূমিগুলোর প্রায় প্রতিটিই কমবেশি বিপদের সম্মুখীন। হারিয়ে গেছে, বিভিন্ন প্রজাতির মাছসহ নানা উদ্ভিদ ও প্রাণী। বহু জীব বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে। অনেকের আবাসস্থল সংকুচিত হয়ে গেছে। পরিবেশ অধিদপ্তর সুন্দরবন, টাঙ্গুয়ার হাওড়, হাকালুকি হাওর, মারজাত বাঁওড়, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ, বালু, গুলশান লেকসহ ১২টি এলাকাকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ অনুযায়ী এসব এলাকায় মাটি, পানি ও বায়ু দূষণকারী শিল্প স্থাপন, মাছ ও অন্যান্য জলজপ্রাণির ক্ষতিকারক যে কোনো প্রকার কার্যাবলি, ভূমি ও পানির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য নষ্ট/ পরিবর্তন করতে পারে এমন সব কাজ নিষিদ্ধ। কিন্তু বাস্তবে আইন অনুযায়ী পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা সংরক্ষণে তেমন কোনো কার্যক্রম দৃশ্যমান নেই। জীববেচিত্র্য সংরক্ষণসহ হাওড়াঞ্চলের উন্নয়নে সরকার ২০ বছর (২০১২-২০৩২ সাল) মেয়াদি মাস্টারপস্ন্যান করেছে। কিন্তু মাস্টারপস্ন্যানের বাস্তবায়নে উলেস্নযোগ্য কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। যার গতি বাড়ানো খুবই জরুরি। আয়তনে ছোট হলেও বাংলাদেশে রয়েছে অত্যন্ত সমৃদ্ধশীল জীববৈচিত্র্য। জীববৈচিত্র্যসহ কৃষি, মৎস্য, পর্যটনের জন্য টেকসই জলাভূমি ব্যবস্থাপনার কোনো বিকল্প নেই। ভূপ্রাকৃতিক ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে জলাভূমির অবক্ষয় বা হ্রাস বা বিলুপ্তি আমাদের দেশের আয়ত্তে নেই বললেই চলে। সুপরিকল্পিত ও সুচিন্তিত কর্মকান্ড পরিচালনার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব সহনীয় পর্যায়ে রেখে জলাভূমির টেকসই উন্নয়ন সম্ভব। জলাভূমির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং আন্তরিকতার সঙ্গে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। অপরিকল্পিত ব্যবহার ও দূষণরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। দেশের অর্থনীতি, শিল্প, বাস্ততাত্ত্বিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে বিশাল এই জলাভূমির গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের বাস্তুতান্ত্রিক সেবার পরিমাপে জলাভূমির অবস্থান সর্বাগ্রে। কাজেই একে সংরক্ষণ করার জন্য আর্থিক, মানবসম্পদ ও রাজনৈতিক মূলধন বিনিয়োগ প্রয়োজন। কারণ, জলাভূমিকে পৃথিবীর কিডনি বলে অভিহিত করা হয়। মানুষের দেহে বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় তৈরি বর্জ্য যেমন কিডনির মাধ্যমে পরিষ্কার হয়, তেমনি পৃথিবীর অনেক বর্জ্য পরিষ্কার হয় জলাভূমির মাধ্যমেই। অসংখ্য স্থলজ ও জলজ প্রজাতির খাদ্য জলাভূমিতে বেশি পরিমাণ থাকার কারণে এখানকার জীববৈচিত্র্য জলাভূমিসংলগ্ন অন্যান্য বাস্তুতন্ত্রের চেয়ে অনেক বেশি সমৃদ্ধ হয়। জলাভূমি নানা ধরনের অজৈব পুষ্টি পদার্থ ও বায়ুমন্ডলীয় কার্বনের আধার হিসেবে কাজ করে। অনেক বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির বাসস্থান এই জলাভূমি। বন্যার পানি ধারণ, উপকূলরেখাকে রক্ষা ও ভূগর্ভস্থ জলাধার পুনর্ভরাট করে জলাভূমি। খাদ্য উৎপাদন, সেচ, পর্যটন, বিনোদন, কর্মসংস্থান ও সুস্থায়ী জীবিকা তথা পানি নিরাপত্তার জন্য জলাভূমি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে জলাভূমি মানুষ তথা জীবজগৎ ও প্রকৃতির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এক বাস্তুতন্ত্র। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অষ্টাদশ শতক থেকে বর্তমান পর্যন্ত পৃথিবীর প্রায় ৮৫ শতাংশ জলাভূমি হারিয়ে গেছে। মূলত কৃষি, বসবাসের জন্য বাড়িঘর তৈরি, রাস্তাঘাট নির্মাণ ও শিল্পকারখানা তৈরির প্রক্রিয়ায় পৃথিবীর নানা জায়গায় জলাভূমিকে ধ্বংস করা হয়েছে। প্রভাবশালী বিজ্ঞান জার্নাল নেচার গ্রম্নপের অন্যতম জার্নাল নেচার জিওসায়েন্সের সম্পাদকীয়তে বিগত ৫০ বছরে পৃথিবীর বুক থেকে প্রায় ৩৫ শতাংশ জলাভূমি হারিয়ে যাওয়ার তথ্য উলেস্নখ করা হয়েছে। ২০১৬ সালে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে 'বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর' গঠিত হয় এবং এই সাল থেকেই অধিদপ্তরটি তার কার্যক্রম শুরু করে। এই অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে 'জলাভূমি সুরক্ষা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন' সম্পর্কিত একটি আইনের খসড়া প্রণয়ন বিষয়ক সভার বিজ্ঞপ্তি থেকে ধারণা করা যায় যে, দেশে জলাভূমিসংক্রান্ত একটি আইন হতে যাচ্ছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। সময়োপযোগীও বটে। আইনটি তৈরির কোনো এক ধাপে সাধারণ মানুষের পরামর্শ সংগ্রহ ও সেগুলো পর্যালোচনা করা যেতে পারে। দেশের অনেক জলাভূমিতে সরকারি সম্পত্তি। নানা কারণে সেগুলো বেদখল হয়ে আছে। দখলকারীরা সেসব থেকে নির্দয়ভাবে সম্পদ আহরণ করার ফলে সেখানকার মৎস্যসহ অন্যান্য জীববৈচিত্র্যের সুস্থায়ী সংরক্ষণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে শুকনা মৌসুমের শুরুতে দখলকারীদের মৎস্য আহরণের সর্বগ্রাসী মনোভাব জলাভূমির জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। এসব জলাভূমিতে সরকারিব্যবস্থাপনায় মৎস্যসহ অন্যান্য প্রাণী সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। পাশের দেশ ভারতে এটি করা হয়েছে। জলাভূমির মধ্যে রাস্তাঘাট, শিল্পকারখানা, বাড়িঘর ও স্থাপনা নির্মাণে নিরুৎসাহ করা দরকার। আশা করা যায়, এগুলো বিবেচনায় নিয়ে 'জলাভূমি সুরক্ষা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন' পাস ও তা কার্যকরভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের জলাভূমি সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। বর্তমানে রামসার সাইটে তালিকাভুক্ত সুন্দরবন ও টাঙ্গুয়ার হাওড় ছাড়াও সেখানে আরও দু-একটি জলাভূমি অন্তর্ভুক্তির বিষয় পর্যালোচনা করা যেতে পারে। জলাভূমিকে শুধু যান্ত্রিক মূল্যে (ইনস্ট্রুমেন্টাল ভ্যালু) বিচার করলে হবে না, তার অন্তর্নিহিত মূল্যকেও (ইনট্রিনসিক ভ্যালু) বিবেচনায় নিতে হবে। ৩৫ থেকে ৪০ কোটি বছর আগে ডিভোনিয়ান সময়ে সৃষ্টি হয়ে বিবর্তনের ধারায় রূপ নেওয়া বর্তমান জলাভূমি শুধু মানুষের জন্য নয়, অন্যান্য জীব তথা প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যও প্রয়োজন। সরকারের 'প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০' অনুযায়ী কোনো পুকুর-জলাশয়, নদী-খাল ভরাট করা সম্পূর্ণ বেআইনি। আবার বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-২০১০ অনুযায়ী জাতীয় অপরিহার্য স্বার্থ ছাড়া কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরকারি বা আধা সরকারি, এমনকি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুর বা জলাধার ভরাট করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু পরিতাপের বিষয় বর্তমানে আইন অমান্য করে বহু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান প্রাকৃতিক জলাভূমিগুলো ধ্বংস করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছেন। এর ফলে, জলাভূমির ওপর নির্ভরশীল মানুষ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। শহরাঞ্চলে সুষ্ঠুভাবে বসবাসের জন্য জলাভূমির ব্যাপক প্রয়োজন রয়েছে। কেননা, জলাভূমিগুলো নগরের তাৎক্ষণিক পানি সরবরাহের সবচেয়ে বড় উৎস। ২০১০ সালে যখন ঢাকার 'ড্যাপ' (ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা) বাস্তবায়নের ওপর জোর দেয়া হয়েছিল, তখন ভাবা হয়েছিল ঢাকার চারপাশের জলাভূমিগুলো রক্ষা পাবে। কিন্তু অপরিকল্পিত নগরায়ণ, ভূমিদসু্যতা ও প্রভাবশালীদের চাপে একের পর এক জলাভূমি হারিয়ে গেছে এবং যাচ্ছে। রাজধানী ঢাকা শহরে এক সময় প্রায় ২ হাজার পুকুর, ৫২টি খাল ও অসংখ্য ঝিল ছিল। কিন্তু এর বেশিরভাগই এখন আবাসনের চাহিদা মেটাতে নিচু জায়গা ভরাট করতে গিয়ে ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে। শুধু ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে বছরে প্রায় ৫ হাজার একর জলাভূমি হারিয়ে যাচ্ছে। আর এভাবে সারাদেশে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৪২ হাজার একর জলাধার ভরাট করা হচ্ছে। রাজধানী ঢাকা শহরে জলাভূমি ভরাটের বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বেশিরভাগ খাল ও নিচু জায়গা ভরাট করে ফেলার ফলে এখন একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতায় পড়তে হয় নগরবাসীকে। 'নদনদীর দেশ' হিসেবে খ্যাত বাংলাদেশ থেকে একের পর এক জলাভূমি হারিয়ে যাওয়া মানে জেনে-বুঝে দেশের ক্ষতি ডেকে আনা। জলাভূমিগুলো হারিয়ে যাওয়ার ফলে জলাভূমিনির্ভর প্রান্তিক মানুষের জীবনজীবিকার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। জলাভূমিগুলো আমাদের সম্পদ, জীববৈচিত্র্যের আধার ও প্রাণের স্পন্দন। জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ সুরক্ষায় জলবায়ু পরিবর্তনের এই পরিবর্তনশীল বাস্তবতায় জলাধারগুলো রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমারা আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নেবে। ড. ফোরকান আলী : গবেষক ও সাবেক অধ্যক্ষ