জলাভূমি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর ০২ ফেব্রম্নয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস পালিত হয়। ১৯৭১ সালের ০২ ফেব্রম্নয়ারি রামসার কনভেনশন থেকে জলাভূমির গুরুত্ব ও সুরক্ষা বিষয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। ২০২৫ সালের বিশ্ব জলাভূমি দিবসের প্রতিপাদ্য হলো 'ডবঃষধহফ ধহফ ঐঁসধহ ডবষষ-নরহম'। ২০২৩ সালের প্রতিপাদ্য ছিল 'জবংঃড়ৎধঃরড়হ ড়ভ ডবঃষধহফ্থ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৯০০ সাল থেকে বিশ্ব প্রায় (৬৪-৭১ শতাংশ) জলাভূমি হারিয়েছে। আমরা ভাগ্যবান যে আমাদের এদেশে এখনো জলাভূমির পরিমাণ ৪৩ শতাংশ। বাংলাদেশেও জলাভূমি হারানোর ঝুঁঁকির মধ্যে আছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু ঢাকা শহরের ৬৯ শতাংশ জলাভূমির বিলুপ্তি ঘটেছে। ভূপৃষ্টের ৭১ শতাংশ পানি হলেও বিশ্বের মোট পানির ৯৭ শতাংশ সমুদ্রের পানি, যা ব্যবহারের অযোগ্য এবং ২.৫ শতাংশ হিমবাহ, বরফ, ভূ-গর্ভস্থ যা ব্যবহার করা কঠিন। মোট পানির মাত্র দশমিক ৫ শতাংশ পানযোগ্য।

বাংলাদেশের জলাভূমির অস্থিত্বের সঙ্গে জড়িত আছে বিভিন্ন অনুজীব, গাছপালা, পাখি, উভচর প্রাণী, সরিসৃপ, মাছ, অতিথি পাখি ও অন্যান্য প্রাণীর অস্তিত্ব। জলাভূমি আমাদের খাদ্য সরবরাহ করে। গবাদিপশু, ফসল এবং মাছ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত আছে মানুষের জীবন ধারণ ব্যবস্থা। বাংলাদেশের ০৭টি জেলায় হাওড়াঞ্চল (সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া) বিস্তৃত। এই হাওড়াঞ্চলে দেশের মোট বোরো ধান উৎপাদনের (১৮-২০) শতাংশ, মাছ উৎপাদন ২০ শতাংশ এবং গবাদি পশুর খাদ্য ২২ শতাংশ উৎপাদিত হয়। বর্তমানে হাওড়ে পর্যটনের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। প্রচুর পর্যটক এখন সুনামগঞ্জ এবং কিশোরগঞ্জসহ অন্য হাওড়ে ভ্রমণে যায়। শুধু এক টাঙ্গুয়ার হাওড়েই চলাচল করছে প্রায় ২০০ (দুইশত) হাউজ বোট। কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় প্রতি বছর ভিড় করে কয়েক লাখ দেশি-বিদেশি পর্যটক।

এ বছর ২ ফেব্রম্নয়ারি সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নে কালনী নদীর পূর্ব পাড়ে উদযাপিত হচ্ছে দিনব্যাপী হাওড় উৎসব। বিশ্ব জলাভূমির দিবসের থিমকে সামনে নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে গম্ভীরা গান, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য শাহ আব্দুল করিম ও হাসন রাজার গান। রয়েছে সেমিনার, আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ, প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। থাকবে মেলার আয়োজনও। এ উৎসবে অংশ নেবেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন পেশাজীবী, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সরকারি ও বেসরকারি অংশীজন। এ দিবসে আমাদের চ্যালেঞ্জ হবে সেডিমেন্ট ম্যানেজমেন্ট, জলাভূমি দূষণমুক্ত রাখা ও এর সুরক্ষা। আমাদের ভালো থাকা জলাভূমির অস্তিত্বের ওপর অনেকটা নির্ভরশীল।

আমাদের দেশ একটা ব্যতিক্রমধর্মী হেটোরেজেনাস কাঠামো। এতে আছে সমতল, আছে উঁচু-নিচু পাহাড়, আছে সমুদ্র। সমুদ্রের সঙ্গে আছে ১২১ কিলোমিটার সৈকত। আছে মিঠা পানির জলাভূমি। বনভূমি- সবুজ শ্যামল এই আমাদের বাংলাদেশ। গাছগাছালি, পাখপাখালি আর মাছ নিয়ে সম্পদের খনি এই দেশ। বন, পাহাড় আর লেক নিয়ে অপরূপ সৌন্দর্যের আধার নিয়ে তিন পার্বত্য জেলা। এশিয়ার বৃহৎ কৃত্রিম কাপ্তাই লেক বাংলাদেশকে করেছে অনিন্দ্যসুন্দর। পূর্বাঞ্চলের হাওড়ের গঠনশৈলী আর এর হিংসতা মানুষকে সংগ্রামী আর কর্মমুখর করেছে। জলাভূমি এলাকার মানুষের জীবনমান এবং পরিবেশ আর ইকো- সিস্টেমকে আরও উন্নত করার প্রয়াসে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর। জলাভূমির গুরুত্ব বিবেচনা করে 'হাওড় ও জলাভূমির সুরক্ষা উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা' আইনের খসড়া প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর।

১৯৪৭ সালের রেফারেন্ডামে সিলেট পাকিস্তানে থাকবে নাকি ভারতের অংশ হবে তার ক্যাম্পেইনের জন্য ৫০০ ছাত্র সিলেট সফর করেন। হাওড় অঞ্চলে বেড়ানোর অভিজ্ঞতার কারণে তারা পৃথক একটা দপ্তরের কথা চিন্তা করেন। তারই ফলশ্রম্নতিতে ১৯৭৪ সালে 'হাওড় উন্নয়ন বোর্ড' গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। অতপর '৭৭ সালে স্বপ্নের হাওড় উন্নয়ন বোর্ড গঠিত হয়। কিন্তু নানা কারণে এই দপ্তরটি ঢিমে তালে চলতে থাকে। এরপর নানা চড়াই-উতরাই পার হয়ে ২০১৬ সালে জলাভূমিকে সংযুক্ত করে বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর গঠন করা হয়। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৭টি জেলাসহ সারাদেশের জলাভূমি, নদ-নদী, খাল-বিল নিয়ে এই অধিদপ্তরের পথচলা। সমুদ্রভাগের যে এলাকা ৬ মিটার গভীর সেটাও এর আওতাভুক্ত। আছে কাজ করার অপার সম্ভাবনা।

মোটা দাগে মরুকরণ প্রক্রিয়াকে প্রতিহত করতে জলাভূমির নাব্য বৃদ্ধি, প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মাছের উৎপাদন বাড়ানো, কার্বন এমিশন কমাতে আর সবুজায়ন করতে বৃক্ষরোপণ, স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণে কমিউনিটি বেজড পর্যটনের বিকাশ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ভাগিদার হতে চায় আমাদের হাওড় অঞ্চলের অবহেলিত মানুষ।

হাওড়ের তলদেশ রক্ষণাবেক্ষণ (ঝবফরসবহঃ গধহধমবসবহঃ) : বাংলাদেশের জলাভূমির মারাত্মক সমস্যা এখন দাঁড়িয়েছে সেডিমেন্ট। এটা প্রতিহত করার সক্ষমতা আমাদের নাই। তবে ম্যানেজ করার সুযোগ আছে। উজান থেকে ১৩ দেশের সমআয়তনের পাহাড় থেকে পানি নেমে আসে, সঙ্গে নিয়ে আসে সেডিমেন্ট। বছরে এক বিলিয়ন টন সেডিমেন্ট আসায় হাওড়, জলাভূমি ও নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এই জলাধারগুলোর প্রধান কাজ হলো এলাকার মরুকরণ প্রক্রিয়াকে প্রতিহত করা। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ মাটি কেটে হাওড়ের নাব্যতা সারা বছরের জন্য বাড়ানো যায়। মাটি উত্তোলন করে উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করা যায়। আবার বিদেশে রপ্তানিও করা যেতে পারে। জলাভূমির নাব্যতা বাড়াতে পারলে সারা বছর মাছ চাষ করে ৬-৭ গুণ বেশি আয় করা সম্ভব হবে। ফলে জিডিপির আকার বড় হবে, একই সঙ্গে সমাজে মানি ফ্লো তৈরি হবে।

মাছের যোগান বাড়ানো : বাইক্কা বিল মডেল : আমাদের দেশে ৩৭৩টি হাওড়, ১,০০০ নদী, লক্ষাধিক খাল-বিলে ১০০ কোটি মাছ ছাড়া যায়, আবার প্রাকৃতিক মাছগুলোকে বাইক্কা বিলের মতো সংরক্ষণ করা যায়। বাইক্কা বিলে ৩০ থেকে ৪০ কেজি সাইজের মাছ এখন সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এতে যে পরিমাণ মাছ চাষ করা সম্ভব, তাতে আমাদের মাছের উৎপাদন অনেকগুণ বেশি হবে। পুষ্টি চাহিদা মিটবে এবং মিঠা পানির মাছ রপ্তানিও করা যাবে। উন্মুক্ত জলাভূমিতে মাছ ছাড়ার প্রবণতা ফিরিয়ে আনতে হবে।

বৃক্ষরোপণ : রাতার গুল মডেল : হাওড় ও জলাশয়ে ১০০ কোটি করচ গাছ লাগানো যেতে পারে। প্রাকৃতিকভাবে রাতার গুল পর্যটন এলাকার ন্যায় সব হাওড় রাতার গুল হতে পারে। গাছের গোড়ায় মাছ আশ্রয় নিবে এবং গাছের ওপরে পাখি আশ্রয় নিতে পারবে। গাছগুলোর শিকড় বাধ কিংবা মাটি ক্ষয় হতে রক্ষা করে। কার্বন এমিশন ড্রামেটিক্যালি কমে আসবে। দেশীয় প্রজাতি হিজল তমাল গাছও লাগানো যেতে পারে।

পর্যটন সম্ভাবনা তৈরি :আমাদের ১৭ কোটি মানুষ- সবাই কোথাও না কোথাও বেড়াতে যেতে চায়। এটা এখন আর সৌখিনতা নয়। সবাই তো কক্সবাজারে যেতে পারে না। হাওড় ও জলাভূমিতে বেড়ানোর ব্যবস্থা করা যায়। মানুষ যেখানে দুই ঘণ্টার বেশি থাকে সেখানে বাথরুম থাকতে হবে। যেখানে তিন ঘণ্টার বেশি থাকার প্রয়োজন হবে, সেখানে খাবার হোটেল রেস্তোরাঁ থাকতে হবে। কমিউনিটি বেজড পর্যটন পরিচালনা করা যেতে পারে। রেমাক্রি বা সাজেক মডেলের বাড়িতে ভাড়া সিস্টেমে পর্যটক রাখা যেতে পারে। একই সঙ্গে পর্যটকদের খাবার সরবরাহও করা যায়। ফলে স্থানীয় লোকজন অর্থ উপার্জন করতে পারে, আবার পর্যটনে তাদের আগ্রহ ও অংশগ্রহণ দুটোই বাড়বে।

আমার গ্রাম হবে আমার শহর : জন্ম থেকে হাওড়ের মানুষ হাওড়ের পানি খায়, হাওড়ে গোসল করে আবার হাওড়ের পানিতে পায়খানা করে। হাওড়ের মানুষের জীবন মান বাড়ানোর জন্য হাওড়ের গ্রামগুলোকে প্রটেকশন ওয়াল দিতে হবে সুইডেন মডেলে। গাছ লাগানো থাকবে বাগানের মতো, সোলার সিস্টেম থাকবে পুরো এলাকায়- লোকজন যেন আইটি সাপোর্ট পায়, ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারে। সেনিটেশন থাকবে পুরো পরিবারের মতো। খাবার পানি সবার জন্য সহজ লভ্য করতে হবে। বর্ষার দিনে চলাচলে ওয়াক ওয়ে তৈরি করা প্রয়োজন। সাইলো গোডাউন তৈরি করা অতিব জরুরি। মাছ রিজার্ভ করার জন্য স্টোরেজ নির্মাণ করা যেতে পারে।

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন :হাওড় অঞ্চলের ৩৭৩ হাওড়ের ৩৭টি উপজেলা প্রোপারকে কানেকটেড করে ১০০ কিলোমিটার ফ্লাইওভার নির্মাণ করলে মানুষজনের মবিলিটি বাড়বে। অপরদিকে পর্যটনের বিরাট সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে। অল ওয়েদার রোড যেটা বানানো হয়েছে তাতে করে পানি প্রবাহ কিংবা সেডিমেন্ট ও জলজ প্রাণীর চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। ধরে নেওয়া যায়, আগামীতে এখানকার চরিত্র বদলে যাবে- যেমনটা ঘটেছে চলন বিল এলাকায়, বৃটিশ আমলে যে রেল লাইন তৈরি করা হয়েছে তাতে চলন বিলের গতি প্রকৃতি বদলে গেছে। এতে পর্যাপ্ত ব্রীজ রাখা হয় নাই। ফলে পানি প্রবাহ কমেছে, সেডিমেন্ট প্রবাহ কমেছে, জলজ প্রাণী চলাচল কমেছে। ছোট আকারের হলেও সাব মার্জিবল রোড একই সমস্যা তৈরি করছে- এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

পরিবেশ উন্নয়ন :বর্তমানে বাংলাদেশে যে পরিবেশ বিরাজ করছে তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। বাতাসে কার্বনের মাত্রা বেশি, ধুলাবালি বেশি, শব্দদূষণ বেশি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মারাত্মক দুর্বল। এর চেয়ে বেশি খারাপ মানুষের জীবন যাত্রার মান। ভারত, চায়না, নেপাল থেকে সেডিমেন্ট গড়িয়ে এসে আমাদের হাওড় ও নদ-নদী ভরাট করে চলেছে। এ জন্য নিয়মিত মাটি ড্রেজিং করে হাওড় ও নদ-নদী সারাবছর নাব্য রাখা প্রয়োজন। মাটিগুলো দেশের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে এবং বিদেশে রপ্তানি করা যেতে পারে। জলাভূমি এলাকায় কয়েক কোটি গাছ লাগালে পরিবেশের উন্নয়ন ঘটবে। প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললে সমাজের গুরত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ বসবাসের উপযোগী হলে সেখানকার বাজেট এবং উন্নয়ন উভয়েরই উন্নয়ন ঘটবে। পর্যটনকে সহনশীল করতে পারলে মানুষের মনোজাগতিক উন্নয়ন ও অর্থ আয় বাড়বে। মাছ ও পাখির অভয়ারণ্য তৈরি করলে পরিবেশকে আরও উন্নত করা সম্ভব।

হাওড় এলাকায় প্রতি জেলা উপজেলার সঙ্গে গ্রাম বন্দরের সঙ্গে নৌ-চ্যানেল বানানো যেতে পারে। সাব-মার্জিবল রোড বানানো ক্ষতিকর বিধায় মালদ্বীপ বা ইউরোপের মতো নৌ- চ্যানেল কম খরচে ব্যবহার উপযোগী হতে পারে। স্পীড বোট বা নৌকার রুট হাওড় ছাড়াও কাপ্তাই লেকে রাঙামাটি থেকে ১০ উপজেলায় করা যেতে পারে।

কর্মসংস্থান : মহিলাদের জন্য সেলাই প্রশিক্ষণ, হাঁস পালন প্রশিক্ষণ, সুটকি মাছ প্রস্তুতকরণ, পুরুষদের জন্য ইলেকট্রিশিয়ান, ড্রাইভিং, ভাষা শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে। নার্সিং, ডে-কেয়ার সেন্টার পরিচালনাসহ নানাবিধ প্রশিক্ষণ প্রদান করে বিদেশের জন্য প্রস্তুত করা যেতে পারে। এছাড়া এলাকাভিত্তিক অন্যান্য প্রশিক্ষণ দিয়ে যুবকদেরকে বিদেশে প্রেরণ করা যেতে পারে।

শেষ কথা :দিনাজপুরের আশুরার বিল, নাটোরের চলন বিল, যশোরের ভবদহ বিল, টুঙ্গীপাড়ার বর্ণি বাওড়, মুন্সিগঞ্জের আড়িয়াল বিল, পার্বত্য এলাকার কাপ্তাই লেক, বগা লেক চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকা বিশেষ করে সীতাকুন্ডু ও মিরেরসরাই এলাকায় একই ধরনের প্রকল্প নেওয়া যায়। একইভাবে কুয়াকাটা বিচ, কক্সবাজার বিচ ইত্যাদিতে পর্যটন সহায়ক প্রকল্প নেওয়া যেতে পারে। সুন্দরবন এলাকা ইতিমধ্যেই বিশ্ববাসীর মন কেড়েছে। এখানে পরিদর্শন সহায়ক ও ইকোসিস্টেম উন্নত করার জন্য বিশেষ প্রকল্প নেওয়া যেতে পারে। টাংগুয়ার হাওড় ও হাকালুকি হাওড় প্রকৃতিকে করেছে অপরূপ। জলাভূমিগুলো কোনটা কোনটার চেয়ে সুন্দর আর সম্পদশালী তা বিস্ময়ের সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হয়।

মো. আখতারুজ্জামান : মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর