দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়েছে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ জরুরি

প্রকাশ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
দরিদ্রতা একটি অভিশাপ, যে অভিশাপের কারণে একটি দেশের সার্বিক সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়। দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকলে নানামুখী সংকটও বাড়তে থাকে। তাই এ সংক্রান্ত সার্বিক পরিস্থিতি আমলে নেওয়া এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে যথার্থ পদক্ষেপ জরুরি। কেননা, দেশে দারিদ্র্যের হার বাড়লে তা উদ্বেগজনক বাস্তবতাকে স্পষ্ট করে। খবরে প্রকাশ, বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৯ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। শহরে দারিদ্র্যের হার সাড়ে ১৬ শতাংশ হলেও গ্রামে ২০ শতাংশেরও বেশি। এসব তথ্য উঠে এসেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বু্যরোর (বিবিএস) 'পোভার্টি ম্যাপ অব বাংলাদেশ, ২০২২' শীর্ষক প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে উঠে আসা তথ্য এবং সার্বিক পরিস্থিতি আমলে নিতে হবে। দারিদ্র্যের হার কেন বাড়ছে এবং এ থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজতে হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে। দারিদ্র্যের হার সংক্রান্ত চিত্র আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ দরিদ্র মানুষের বসবাস বরিশাল বিভাগে। অন্যদিকে, সবচেয়ে কম ১৫ দশমিক ২ শতাংশ চট্টগ্রাম বিভাগে। ঢাকায় দারিদ্র্যের হার ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ হলেও এ সময়ে কমেছে রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে দারিদ্র্যের হার। সবচেয়ে বেশি ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ দরিদ্র মানুষের বাস মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলায়। লক্ষণীয়, দেশের সামগ্রিক সমৃদ্ধি অর্জনে বৈষম্য নিরসন জরুরি। এবারের প্রতিবেদনে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের ধনী ও দরিদ্র এলাকাগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক যে বিস্তর বৈষম্য, তা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। ফলে, এই দিকগুলো বিবেচনায় নিতে হবে। বৈষম্য নিরসনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। বৈষম্য নিরসন না হলে সামগ্রিক ক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নেওয়ার বিকল্প নেই। দারিদ্র্যের হার সংক্রান্ত যে চিত্র উঠে এসেছে তার গুরুত্ব অনুধাবন জরুরি। সরকারের নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে দারিদ্র্যের হার সংক্রান্ত চিত্র আমলে নিতে হবে। এছাড়া, দেশের কোন এলাকায় দারিদ্র্যের অবস্থা কেমন তা বিবেচনায় রেখে পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। দেশের দারিদ্র্য অবস্থার প্রকৃত চিত্র জানা থাকলে সরকার সহজেই নীতি নির্ধারণ করতে পারে। সঙ্গত কারণে, সার্বিক চিত্র পর্যবেক্ষণ করে দারিদ্র্যের হার কমাতে যথাযথ উদ্যোগ জরুরি। বলা দরকার, জনসংখ্যার দিক দিয়ে অধিক ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ। যার কারণে নানামুখী চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। নিত্যপণ্যের দাম, চিকিৎসা ব্যয়সহ জনসাধারণের বিভিন্ন ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ বিভিন্ন ধরনের দুর্ভোগ ও বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে পড়েন। ফলে, যখন দারিদ্র্যের হার বাড়ছে এটাকে সহজ করে দেখার সুযোগ নেই। স্বাধীনতার এতগুলো বছরেও 'দারিদ্র্য' নামক শব্দটা মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি। আর সম্প্রতি যখন দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধির খবর জানা যাচ্ছে তখন এ বিষয়টি এড়ানোর সুযোগ নেই। সর্বোপরি, বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৯ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এটা আমলে নিতে হবে। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে করণীয় নির্ধারণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। যেসব অঞ্চলে দারিদ্র্যের হার বেশি সেসব অঞ্চলকে এগিয়ে নিতে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকুক এমনটি কাম্য।