পাঠক মত
শিশুদের মোবাইল ফোনে আসক্তির কুফল
প্রকাশ | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ইমরান ফয়সাল শিক্ষার্থী ঢাকা কলেজ, ঢাকা
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আর শিশুদের মেধা বিকাশে পিতা-মাতার ভূমিকা অনেক বেশি। কিন্তু আজ নতুন প্রজন্মের মধ্যে একটি ডিভাইস খুব ভালো করে লক্ষ্য করা যায়, তা হলো মোবাইল। যদিও এটি যোগাযোগ, শিক্ষা ও বিনোদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম, তবে শিশুদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার মারাত্মক কুফল বয়ে আনতে পারে।
একজন শিশু অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি যেমন হয়- তদ্রম্নপভাবে মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। কেননা, তারা দীর্ঘ সময় মোবাইল চালানোর কারণে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে- চোখের সমস্যা, মাথাব্যথা এবং ঘাত ও মেরুদন্ড ব্যথা, একঘেয়েমি, উদ্বেগ, হতাশা, হীনমন্যতা ও আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি হতে পারে। তারা মোবাইল গেইমে আসক্ত হওয়ার কারণে পড়াশোনায় মনোযোগ হারিয়ে ফেলে ও সময়মতো হোমওয়ার্ক করেই না। যার ফলস্বরূপ পরীক্ষার প্রস্তুতি থেকে পিছিয়ে পড়ে। তারা খেলাধুলায় অংশগ্রহণ না করায় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। রাতের বেলায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে ও সারাদিন ক্লান্ত ও অমনোযোগী করে তোলে। মোবাইল ফোনের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরতা শিশুদের বাস্তব জীবন থেকে দূরে সরিয়ে অসামাজিক করে তোলে।
শিশুদের জন্য মোবাইল ব্যবহারের সময়সীমা নির্ধারণ করে তাদের বাস্তব জীবনের শখ বা সৃজনশীল কাজে উৎসাহিত করতে হবে। পরিবারের সঙ্গে গুণগত সময় কাটানোর পরিবেশ তৈরি করতে হবে। মোবাইল ফোনের বিকল্প হিসেবে বই পড়া, খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে। শিশুরা কী ধরনের কন্টেন্ট মোবাইলে ব্যবহার করছে, তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
মোবাইল ফোন অবশ্যই প্রযুক্তিগত উন্নতির প্রতীক, কিন্তু এটি সঠিক নিয়ন্ত্রণ ছাড়া শিশুদের জন্য ক্ষতিকর হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। অভিভাবকদের উচিত, শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া, যাতে তারা প্রযুক্তির ইতিবাচক দিক থেকে উপকৃত হতে পারে এবং কুফল এড়াতে পারে।
ইমরান ফয়সাল
শিক্ষার্থী
ঢাকা কলেজ, ঢাকা