২১ শতকে এসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। তরুণ সমাজের সিংহভাগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্ত। বর্তমানে মাদকাশক্তির চেয়েও ব্যাপক হারে বেড়ে চলেছে এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি আসক্তি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মধ্যে বিশেষত ফেসবুকে তরুণ সমাজের সরব উপস্থিতি বিদ্যমান। নার্সারির বাচ্চা থেকে শুরু করে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাও সমানভাবে আসক্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ফেসবুকের বাইরেও যে একটি জগত আছে, আজ তরুণ প্রজন্ম তা প্রায় ভুলতে বসেছে। কোথাও ঘুরতে গেলে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডার মুহূর্ত, খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত থেকে শুরু করে সামগ্রিক কার্যাবলী সে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিচ্ছে কেবল লাইক কমেন্টের আশায়।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও একটি বিষয়ে আমরা সবাই লক্ষ্য করেছি, বর্তমান সময় কোথাও দুর্ঘটনা ঘটলে তাদের সাহায্য করার পরিবর্তে সবাই ছবি তোলা ভিডিও করা এবং শেয়ারে ব্যস্ত। কিন্তু সেই সময় দুর্ঘটনা কবলিত মানুষের দ্রম্নত সাহায্যের প্রয়োজন। পড়ালেখায় তাদের মনোযোগ না থাকার প্রধান কারণ সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি। একবার ফেসবুক মেসেঞ্জারে ঢুকলে কখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার হয়ে যায় তারাও বুঝতে পারে না। অথচ আধ ঘণ্টা পড়তেই তাদের বিরক্তি চলে আসে। মাদকাশক্তি, কিশোর গ্যাংসহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে কাজ করে এই সোশ্যাল মিডিয়া।
তরুণ প্রজন্ম দেশের সম্পদ। তরুণদের শক্তিশালী ভূমিকার মাধ্যমেই সম্ভব একটি সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা। সে জন্য তাদের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যত দূর সম্ভব দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন পারিবারিক সম্পর্কের উন্নয়ন, বাবা-মার সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া।
আসিফ হোসেন
শিক্ষার্থী
রাজশাহী কলেজ ও সহযোগী সদস্য
রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটি