অশান্তির আবহে ফের ভারতের বিজেপি শাসিত রাজ্য মণিপুর। এই অশান্ত অবস্থা বিরাজ করছে বহুদিন ধরে। জাতিগত দাঙ্গা চলছে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে। দাঙ্গায় স্বল্প জনসংখ্যার রাজ্যে এই বহু লোকের মৃতু্য হয়েছে। ২ ডিসেম্বর কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার বলছে, 'মণিপুর সরকার জানিয়ে দিল, এখনই রাজ্যে চালু হচ্ছে না মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। এর আগে সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছিল, রোববার থেকেই ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক হতে চলেছে। কিন্তু ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করে রোববার নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে সরকার। তাতেই বলা হয়েছে, আপাতত আগামী বুধবারের আগে চালু হচ্ছে না ইন্টারনেট। রাজ্যের ৯টি জেলায় বাড়ানো হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ। রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশিকাটি জারি করেছে বলা হয়েছে, মণিপুরের ৯টি জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার মেয়াদ আরও দু'দিনের জন্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, কাকচিং, বিষ্ণুপুর, থৌবল, চূড়াচাঁদপুর, জিরিবাম, ফেরজওল এবং কাংপোকপি জেলায় আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। উলেস্নখ্য, গত ১৬ নভেম্বর থেকেই মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে ওই জেলাগুলোতে।'
এ থেকে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, নভেম্বরে সে সংকট বা অশান্তি ডালপালা মেলেছিল তা এখনো শেষ হয়নি। ৭ নভেম্বর নতুন করে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে সেখানে। ১১ নভেম্বর কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের শিবিরে হামলা চালায় এক দল ব্যক্তি। সিআরপিএফ পাল্টাগুলি চালালে হামলাকারীদের ১১ জন নিহত হয়। এরপর কুকি আর মেইতেইয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ১৬ নভেম্বর থেকে শুরু হয় মেইতেইদের বিক্ষোভ। মেইতেই বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে এসে যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়। ইম্ফলে তিন মন্ত্রী ও ছয় বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পৈতৃক বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরদিনও বিক্ষোভ-সহিংসতা চলে। এদিন বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে দু'দিনের কারফিউ জারির আগে সরকার শান্তি নিশ্চিত এবং 'নারী ও শিশুদের হত্যাকারীদের' শাস্তি দিতে না পারলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিধায়কদের পদত্যাগের দাবি জানায়। ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির কয়েকজন বিধায়ক পদত্যাগ করতে পারেন বলেও খবর রয়েছে।
কলকাতার দৈনিক এই সময় অনলাইন জানাচ্ছে, এক বছর ধরে কুকি-মেইতেইগোষ্ঠী সংঘর্ষে জর্জরিত মণিপুরের জিরিবাম এলাকা। ৭ নভেম্বর অশান্তির সূত্রপাত। এই সংঘর্ষে এখনো পর্যন্ত কমপক্ষে ১৯ জনের মৃতু্য হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে ১০ কুকি। যাদের পুলিশ বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে উলেস্নখ করেছে। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জিরিবাম।' নেপথ্যে কী কারণ? সেই বিশ্লেষণে পত্রিকাটি বলছে, 'ইম্ফল থেকে ২২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জিরিবাম অসম সীমান্তে অবস্থিত। বিভিন্ন জনজাতির মানুষের বসবাস এখানে। ৭ নভেম্বর মণিপুরের জিরিবামের জইরন গ্রামে মার উপজাতির এক স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষণ করে পায়ে গুলি করা হয়। অভিযোগের আঙুল ওঠে মেইতেইদের ওপর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জিরিবাম। একাধিক ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় মেইতেইরা। বিক্ষোভকারীদের একাংশ চড়াও হয় ওই নির্যাতিতা সেই স্কুল শিক্ষিকার বাড়িতে। সে সময়ে তিনি বাড়িতেই ছিলেন। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তার বাড়ি। সেই ঘটনার 'বদলা' নিতেই সদ্যোজাত এক দু'বছরের শিশুপুত্র এবং আট বছরের শিশুকন্যাসহ মেইতেই পরিবারের ছ'জনকে অপহরণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে কুকিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। এর মাঝেই কুকিদের অন্য একটি অংশের সঙ্গে পুলিশের গুলির লড়াই শুরু হয় জিরিবামের। পুলিশের গুলিতে মারা যায় ১০ জন সশস্ত্র কুকি।'
অন্যদিকে, মেইতেই সম্প্র্রদায়ের নিহত ৬ জনের খুনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয় মণিপুর। মন্ত্রী ও বিধায়কদের বাড়ি লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোড়া হয়। রাস্তার মোড়ে মোড়ে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানান বিক্ষোভকারীরা। তার জেরে মণিপুর প্রশাসন রাজ্যের একাধিক জায়গায় কার্ফু জারি করে। বন্ধ করা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মণিপুরে শান্তি ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করে কংগ্রেসসহ বিরোধীদলগুলো। মণিপুরের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে দিলিস্নতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু বাস্তবতা কোনো কাজে আসেনি এ বৈঠক। আনন্দবাজার অনলাইনের খবর, 'সিআরপিএফের গুলিতে ১১ কুকি জঙ্গির মৃতু্যর পর কার্ফু জারি হয় জিরিবাম জেলায়। অন্যদিকে, ১১ জন 'গ্রাম স্বেচ্ছাসেবক'-এর মৃতু্যতে একাধিক জায়গায় বন্ধ ঘোষণা করে কুকি গোষ্ঠীগুলো।'
আনন্দবাজার পত্রিকা আরও জানাচ্ছে, 'মণিপুরের পরিস্থিতি প্রতিবেশী রাজ্য আসামের ওপরেও প্রভাব ফেলতে পারে। রোববার এমনটাই জানিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এ জন্য বরাক উপত্যকায় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে- যাতে সহিংসতা-বিধ্বস্ত মণিপুরের কোনো প্রভাব আসামে না পড়ে। উলেস্নখ্য, আসামের কাছাড় জেলার বরাক উপত্যকা মণিপুরের জিরিবাম জেলার লাগোয়া। আর সম্প্র্রতি জিরিবাম জেলাকে ঘিরেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মণিপুরে।' (আনন্দবাজার পত্রিকা, ২ ডিসেম্বর)।
নভেম্বরে নতুন করে কারফিউ জারির খবরই বলে দিয়েছে ঘটনাটির গভীরতা কতখানি। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকেই দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে।
যেভাবে সঙ্ঘাতের সূচনা : ৩ মে, ২০২৩ মণিপুরের চন্দ্রচূড় জেলায় হাইকোর্টের একটি আদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় রাজ্যের আদিবাসী ছাত্রদের ইউনিয়ন 'অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন' (এটিএসইউএম)। মিছিলে নাগা ও কুকি সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় মেইতেই বা মণিপুরীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ দাঙ্গায় রূপ নেয়। মণিপুরের ৩৬ লাখ জনগোষ্ঠীর ৫৩ শতাংশ মেইতেই। এরা 'শিডিউলড ট্রাইব' (তফসিলি জাতিগোষ্ঠী) হিসেবে গণ্য হয় না। সরকারি চাকরি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থায় সংরক্ষণ সুবিধার-সুযোগ থেকে তারা বঞ্চিত। সংখ্যালঘুদের সমান সুযোগ দিতে ভারতের সংবিধানে 'শিডিউলড ট্রাইব' স্বীকৃতির বিধান রাখা হয়েছে। সংবিধানে 'শিডিউলড কাস্ট' ও 'শিডিউলড ট্রাইব' ভারতের রাজনীতিতে দীর্ঘ দিনের আলোচনার বিষয়বস্তু। ভারতে আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী হিসেবে পরিগণিত হলেও মণিপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় মেইতেইদের 'শিডিউলড ট্রাইব' হিসেবে স্বীকৃতি দিলে অন্য সংখ্যালঘু আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোর জন্য ওই রাজ্যে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাবে- এই আশঙ্কা থেকে মেইতেইদের 'শিডিউলড ট্রাইব' হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিরোধিতা করছে রাজ্যের অন্য আদিবাসী সংখ্যালঘুরা, যাদের একটি বড় অংশ ধর্মীয়ভাবে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। ভারতের কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপিও মেইতেইদের দাবির পক্ষে সহানুভূতিশীল। তাদের দাবি সমর্থন করেই ২০২২ সালে মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে বিজেপি। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন সরগরম হওয়ার মধ্যেই গত বছর এপ্রিল মাসে মণিপুর হাইকোর্ট রাজ্যসরকারকে মেইতেইদের দাবি বিবেচনার নির্দেশ দেয়।
দ্বন্দ্ব কোথায় : মনিপুরে মেইতেই এবং অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদটি রাজনৈতিক ও ভৌগোলিকভাবে স্পষ্ট। দাঙ্গায় এই বিভেদের চিত্রটি সামনে এলেও দুই পক্ষের মধ্যকার উত্তেজনা দীর্ঘদিনের এবং ভূমি অধিকার, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই দূরত্ব ও বিভেদ চলছে। রাজ্য সরকার এবং প্রশাসনের বিভিন্ন পদে মেইতেইদের আধিপত্য চোখে পড়ার মতো এবং সেখানে অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নতির সুবিধা অন্য আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোর তুলনায় তারাই বেশি ভোগ করে। মণিপুরের সংখ্যাগুরু মেইতেই সম্প্র্রদায়কে তফসিলি উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখতে হাইকোর্ট একটি সুপারিশ করার পর থেকে সহিংসতা চলছে।
নাগা ও কুকিদের অভিযোগ, অবৈধ অভিবাসী উচ্ছেদের মাধ্যমে মূলত তাদের ভূমি থেকে সরানো হচ্ছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে থেমে থেমে চলা এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। বাস্তুচু্যত হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। মণিপুরের কেন্দ্রে অবস্থিত ইম্ফল উপত্যকা রাজ্যটির প্রায় ১০ শতাংশ ভূমি নিয়ে গঠিত। মূলত মেইতেইরা এই ১০ শতাংশ ভূমিতে বাস করে। তাদের বড় অংশই হিন্দু। তবে মুসলমান ও বৌদ্ধও আছে। মেইতেইরা মণিপুরের মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ। রাজ্যের বিধানসভায় মেইতেইদের ক্ষমতা অন্যদের চেয়ে বেশি। অন্যদিকে ইম্ফল উপত্যকার আশপাশের পাহাড়ে বাস করে নৃতাত্ত্বিক বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ। পাহাড়ি এলাকার দক্ষিণে বাস করে কুকি ও উত্তর-পূর্বে বাস করে নাগারা। খ্রিষ্টধর্মের অনুসারী কুকি ও নাগারা মণিপুরের ৩৫ লাখ মানুষের প্রায় ৪০ শতাংশ। তারা পাহাড়ে সংরক্ষিত এলাকায় বাস করে। এই পাহাড়ি অঞ্চল মণিপুর ভূখন্ডের ৯০ শতাংশ। মণিপুরের ভূমি সংস্কার আইন অনুযায়ী, স্থানীয় জেলা পরিষদের অনুমতি ছাড়া পাহাড়ি এলাকায় বসবাসের অনুমতি ছিল না মেইতেইদের। অন্যদিকে, কুকি ও নাগা জাতিগোষ্ঠীর মানুষের উপত্যকা এলাকায় বসবাসের ক্ষেত্রে কোনো বিধি-নিষেধ ছিল না। কিন্তু বিজেপি সরকার মেইতেইদের শিডিউল ট্রাইব বা তফসিলি গোত্র ঘোষণা দেওয়ায় তাদেরও এখন পাহাড়ি বনাঞ্চলে বসবাসের সুযোগ দেওয়া হতে পারে। আর এ নিয়েই শুরু হয় এই জাতিগত সংঘাত- সে কথা আগেই বলেছি।
মোট কথা দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে মণিপুরে জাতিগত উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং কয়েকমাস পরপরই সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ সেপ্টেম্বরে রাজ্যের হিন্দু- মেইতেইদের সঙ্গে খ্রিষ্টান নাগা-কুকিদের সহিংসতা হয়। গত বছরের মে মাসে মণিপুর রাজ্যের বড় জাতিগোষ্ঠী মেইতেইদেরও 'শিডিউল ট্রাইব' সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। তার প্রতিবাদ জানাতে গেলেই মেইতেইদের সঙ্গে নাগা ও কুকি এবং জো জাতির অন্যদের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয়। ওই ঘোষণার পর মণিপুর রাজ্য সরকার সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে অবৈধ অভিবাসী উচ্ছেদের উদ্যোগ নিলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই ও রাজ্যের কেন্দ্রস্থল ইম্ফল উপত্যকার চারদিকে পাহাড়ি এলাকায় বাস করা নাগা ও কুকিদের মধ্যে জাতিগত সংঘাতের সৃষ্টি হয়।
বর্তমান জাতিগত সহিংসতা বিষয়ে যা জানা যাচ্ছে তা হলো, বিজেপি সরকারই সংকটের মূলে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি করা হলেও মণিপুরে অস্থিতিশীলতার দেড় বছর পার হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি জটিলই রয়ে গেছে।
প্রান্তিক এই জনপদে দশকের পর দশক ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, সহিংসতা ও প্রান্তিকীকরণের রাজনীতি সেখানকার মূল সংকট হয়েই থেকে গেছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, সংকটের বীজ যেখানে লুক্কায়িত সে বিষয়টি সামনে এনে সুরাহা করতে চাইলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার ভালো করবে।
আহমদ মতিউর রহমান : কলাম লেখক