শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

মহান বিপস্নবী ফিদেল ক্যাস্ট্রো

রোকন উদ্দীন আহমদ
  ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
মহান বিপস্নবী ফিদেল ক্যাস্ট্রো
মহান বিপস্নবী ফিদেল ক্যাস্ট্রো

বিংশ শতাব্দীতে যেসব সমাজতান্ত্রিক নেতা বিশ্ব রাজনীতিতে প্রবলভাবে আলোচিত ছিলেন, ফিদেল ক্যাস্ট্রো তাদের অগ্রগণ্য। তিনি ছিলেন ২০ শতকের কিংবদন্তি। ১৯৫৯ সালে ৩২ বছর বয়সি জি ফিদেল ক্যাস্ট্রোর নেতৃত্বে একটি বিদ্রোহী দল কিউবার জন সমর্থনহীন একনায়ক ফুল গেন্সিও বাতিস্তাকে উৎখাত করে। ফুল গেন্সিও ব্যতিস্তার একনায়কতন্ত্রে অতিষ্ঠ হাজার হাজার কিউবান এ সময় ক্যাস্ট্রোর নেতৃত্বাধীন বিপস্নবীদের অভিনন্দন জানান। ক্যাস্ট্রোকে কিউবার প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করা হয়। জনগণের প্রতি মমত্ববোধ থেকে কিউবাকে বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করেন ক্যাস্ট্রো। কিউবার বর্তমান শিক্ষিতের হার ৯৯.৮ শতাংশ। এই মহান নেতা ১৯২৬ সালের ১৩ আগস্ট এক স্প্যানিশ অভিবাসী ভূমি মালিক ও এক কিউবার মায়ের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

কিউবার সমাজতান্ত্রিক বিপস্নবে নেতৃত্ব দিয়ে সফল হওয়ার পর ফিদেল ক্যাস্ট্রো ৪৯ বছর দেশটির ক্ষমতায় ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সমাজতান্ত্রিক কিউবা প্রতিষ্ঠাকারী ফিদেল ক্যাস্ট্রো বিশ্বের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনকারীদের চোখে বীর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। যুক্তরাষ্ট্রের নাকের ডগায় বসে প্রায় অর্ধশতাব্দী সমাজতান্ত্রিক শাসন ধরে রাখেন ক্যাস্ট্রো। তাকে ক্ষমতাচু্যত করতে অনেক চেষ্টা হয়েছে। প্রাণহানির চেষ্টাও হয়েছে। তার ৪৯ বছরের ক্ষমতায় ১১ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউসে শপথ নিয়েছেন। ফিদেল ক্যাস্ট্রোকে সরাতে পারেননি কেউ। ক্যাস্ট্রোর অবসরের পরও কিউবা শাসন করেছেন তার প্রতিষ্ঠিত কমিউনিস্ট পার্টি। সমর্থকদের কাছে তিনি অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। বাংলাদেশসহ স্বাধীনতাকামী বহু দেশের পক্ষে দাঁড়িয়ে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকারীদের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন ক্যাস্ট্রো।

১৯৫২ সালে অভু্যত্থানের মাধ্যমে ফুল গেন্সিও বাতিস্তা কিউবার ক্ষমতা দখল করেন। বাতিস্তার সরকার ছিল যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত। এই সরকার ছিল জনসমর্থনহীন এবং একনায়ক। ফুল গোন্সিও বাতিস্তার নির্মম একনায়কতন্ত্রে কিউবার জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। এই অবস্থায় ফিদেল ক্যাস্ট্রো তরুণ বয়সে ফুল গেন্সিও বাতিস্তার সরকারের বিরুদ্ধে গেরিলা বাহিনী গঠন করেন। এ কারণে ক্যাস্ট্রোর ২ বছর কারাদন্ড হয়। এরপর তিনি স্বেচ্ছা নির্বাসনে যান। ১৯৫৬ সালের ২ ডিসেম্বর ক্যাস্ট্রো তার দল নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের সূচনা করেন। কিউবার জনগণ ক্যাস্ট্রোর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও বাতিস্তা সরকারের নির্যাতনের অবসান ঘটানোর প্রতিশ্রম্নতির ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেন। ২৫ মাস অজস্র প্রতিকূলতার মুখে তারা গেরিলা যুদ্ধ করে বাতিস্তাকে উৎখাত করেন। এভাবে ১৯৫৯ সালে ক্যাস্ট্রোর গেরিলা কাহিনী যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বাতিস্তার দুর্নীতিগস্ত একনায়কতন্ত্রের স্থলে কমিউনিস্ট শাসন প্রতিষ্ঠা করে যুক্তরাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করে। আমেরিকা ফুল গেন্সিও বাতিস্তা সরকারকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছিল। বাতিস্তা সরকার উৎখাত হলে আমেরিকা কিউবার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। ক্যাস্ট্রো ৪৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্যারিশমা ও ইস্পাত কঠিন ইচ্ছা শক্তি নিয়ে কিউবা শাসন করেন। তিনি কিউবায় একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা এবং ঠান্ডা লড়াইয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে আবির্ভূত হন। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ক্যাস্ট্রোকে বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরেন। কিন্তু তিনি বিশ্ব জুড়ে অনেক বামপন্থি বিশেষত লাতিন আমেরিকা ও আফ্রিকায় সমাজতান্ত্রিক বিপস্নবীদের প্রশংসাভাজন হন। তিনি কিউবাকে আমেরিকার খেলার মাঠ থেকে আমেরিকাবিরোধী প্রতিরোধের প্রতীকে পরিণত করেন।

১৯৫৯ সালের বিপস্নবের পূর্বে আমেরিকা কিউবার ওপর আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল। বিপস্নব কিউবার ওপর আমেরিকার দীর্ঘদিনের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়েছিল। ক্যাস্ট্রো ক্ষমতায় থাকাকালে আমেরিকায় ১১ জন প্রেসিডেন্ট শাসনকাল পার করেন। তাদের প্রত্যেকেই তার ওপর চাপ প্রয়োগ করে যান। কিউবা ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৬০ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিউবার সম্পের্কের আরও আবনতি ঘটে। ক্যাস্ট্রো সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক দ্রম্নত জোরদার করেন। সোভিয়েত ইউনিয়ন কিউবায় বড় অংকের ভর্তুকি পাঠাতে শুরু করে। এভাবে ক্যাস্ট্রো বৈরী মার্কিন নীতির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেন। এই নীতিতে বাণিজ্যিক অবরোধ আরোপ করে তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার চেষ্টা করা হয়। এই অবরোধ ১৯৬২ সালে শুরু হয়ে ক্যাস্ট্রোর জীবনব্যাপী বলবৎ থাকে। ১৯৬২ সালে কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র সংকট দেখা দিলে বিশ্বে পরমাণু যুদ্ধবাঁধার আশঙ্কা দেখা দেয়। রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ৯০ মাইল দূরে কিউবা দীপে পরমাণু অস্ত্রসজ্জিত ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে চাইলে সংকট দেখা দেয়। অবশেষে রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কিউবার ভূখন্ড থেকে দূরে মোতায়েনে রাজি হলে বিশ্বে শান্তি ফিরে আসে। চরম ঠান্ডা লড়াইয়ে ক্যাস্ট্রো এক কমিউনিস্ট বীর হিসেবে বিশ্ব মঞ্চে আসীন হন। তিনি ১৯৭৫ সালে অ্যাঙ্গোলায় সোভিয়েত সমর্থিত সৈন্যদের সহায়তায় ১৫ হাজার সৈন্য এবং ১৯৭৭ সালে ইথিওপিয়াতেও সৈন্য পাঠান।

কিউবার মার্কিন প্রতিরোধী নীতিতে যুক্তরাষ্ট্র ক্ষুব্ধ, বিব্রত ও আশঙ্কাগ্রস্ত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবরোধ সত্ত্বেও ক্যাস্ট্রো ক্ষমতায় ঠিকে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র হতাশ হয়। এই অবরোধ কিউবার সরকারবিরোধী বিপস্নব উস্কে দেবে বলে যুক্তরাষ্ট্র আশা করেছিল। ১৯৬০-এর দশকে ক্যাস্ট্রোকে হত্যা করতে সিআইএ ও ক্যাস্ট্রোবিরোধী প্রবাসী কিউবানদের অসংখ্য চেষ্টার মুখেও তিনি বেঁচে থাকেন। ১৯৬১ সালে বে অব পিগসে সিআইএ সমর্থিত প্রবাসী কিউবানদের আক্রমণ এবং অসংখ্য হত্যার চেষ্টা তিনি প্রতিহত করেন। তাকে হত্যার বিভিন্ন চেষ্টা এমনকি তার সিগারেটে বিস্ফোরক মেশানোর ষড়যন্ত্রও সফল হতে পারেনি।

ফিদেল ক্যাস্ট্রো ১৯৬২ সালে বলেন, আমি কখনো মৃতু্যর ভয়ে ভীত হইনি। মৃতু্য নিয়ে কখনো উদ্বিগ্ন হইনি। ১৯৬১ সালের মে দিবসের প্যারেডে তিনি এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। তার ভাষণের অংশ বিশেষ পাঠ করা যাক, 'আজ আমরা শোষণের সেই দিনগুলো পেছনে ফেলে এসেছি। যখন শাসন ব্যবস্থা দারিদ্র্যের জন্য ছিল না। ছিল না শ্রমিক, চাষি অথবা সেসব অবহেলিত মানুষের জন্য যারা আমাদেরই অংশ। সেসব শোষকরা কিছুই করেনি স্বদেশের নিরন্ন দরিদ্র, বঞ্চিত মানুষের জন্য যারা এই কিউবার সন্তান। আজ আর শ্রমজীবী মানুষকে কিছু বোবা নির্বাহী বিচার ব্যবস্থার সামনে হাঁটুগেড়ে করুণা ভিক্ষা করতে হয় না। শ্রমজীবী মানুষ আজ বিশ্বাস করে এটি সেই রাষ্ট্র- যা একটি আদর্শ সামনে রেখে পরিচালিত হয়। সেই লক্ষ্যটি হলো শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের কল্যাণ। আজ স্বদেশের মানুষ তাদের জীবন ও কর্মের অর্থ খুঁজে পেয়েছে।

এই সেই মাতৃভূমি আমাদের, যেখানে আমরা রক্তের বিনিময়ে অর্জন করেছি নিজেদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের স্বাধীনতা। আমরা শিখেছি নিজেদের শ্রমে ভাগ্য গড়তে। এই মাতৃভূমি হবে আমাদের অনাগত প্রজন্মের সবার কল্যাণের জন্য কেবল মুষ্টিমেয়ের জন্য নয়। এ কেমন নৈতিকতা। কোন কারণে, কোন অধিকারে তারা কালো মানুষকে ঠেলে দেয় নির্দয় শ্রমের যান্ত্রিক চাকার নিচে। যা কেবল ধনীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে। আজ পরিবর্তনের হওয়া বলছে এমন এক জাতি নির্মাণের কথা। যেখানে সবাই সবার জন্য- সম্পদ, সুযোগ ও আনন্দে সবার সমান অধিকার।

আমেরিকা আজ শক্তির ভাষায় কথা বলে। যে ভাষায় হিটলার কথা বলতেন। আমরা একটি মার্কিন পরিবার বা নাগরিকের জন্যও তো হুমকি নই। আমরা বিশ্বাস করি, বিপস্নব মানে রাষ্ট্রকে প্রতিদিন নাগরিক ইচ্ছার সামনে নির্বাচনের পরীক্ষা দেওয়া। প্রতি চার বছরে একবার নির্বাচন হয়। বিপস্নব মানে প্রতিনিয়ত জনমতকে ধারণ করা। আমরা ভাগ্য গড়ছি, আমাদের পথে। আমরা সমবায় গড়ে তুলছি। নির্মাণ করছি স্কুল, খামার, গৃহ, হাসপাতাল, আমরা আমাদের সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনছি। উচ্চশিক্ষায় বৃত্তি প্রদান করছি। সর্বোপরি আমরা আমাদের সার্বিক উৎপাদন বৃদ্ধিতে রত- যা আমাদের নাগরিকদের দেবে একটি উন্নত ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা।

বলতে চাই, একটি রাষ্ট্র অপরটির চেয়ে বড় হতেই পারে। আমরা যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের সরকার পদ্ধতি নিয়ে নির্দেশনা দেওয়ার ইচ্ছা রাখি না, ঠিক তেমনি আমরা কোন পথ বেছে নেব কিংবা আমাদের সরকার নিয়ে কেনেডির পরামর্শের প্রয়োজন বোধ করি না। আজ আমার সামনে উপস্থিত উৎসাহে আলোকিত মুখগুলোতে বিগত দিনে ছিল হতাশার ছায়া। এর কারণ হলো এই, গতকাল তারা শ্রম দিয়েছে পরের জন্য আর আজ শ্রম দিচ্ছে নিজ এবং আগামী প্রজন্মের ভাগ্য নির্মাণে।

মনে রেখ ব্যর্থ বিপস্নবের চেয়ে করুণ কিছু হতে পারে না। তাই এই জমায়েতের হাসি আমি নিবেদন করছি শহীদের বেদিতে পুষ্প হিসেবে। যে রক্ত এই পবিত্র ভূমিতে ঝরেছে তা দরিদ্র মেহনতি মানুষের রক্ত। কোনো ধনী সাম্রাজ্যবাদের দালালের নয়। এই রক্ত তাদের নয়, যারা কেবল নিজের সম্পদ রক্ষায় লড়েছে। পরের উপার্জনে জীবন নির্বাহ করেছে। ক্ষমতাবান সাম্রাজ্যবাদের কাছে আত্মা বিকিয়ে দেওয়া শোষকের রক্ত নয়। গতকালের শোষিতের দেওয়া রক্ত আজ তাকে দিয়েছে স্বাধীনতা। এই রক্ত সেসব মানুষের যারা বিপস্নবের বেদিতে জীবন উৎসর্গ করতে এসেছিল হৃদয়ে আদর্শ নিয়ে। এ রক্ত শহীদের, যার প্রতিটা বিন্দু পবিত্র।

বিপস্নবী নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রো বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে হিমালয়ের সঙ্গে তুলনা করে ঐতিহাসিক মন্তব্যের জন্য বাংলাদেশে স্মরণীয় হয়ে আছেন। ১৯৭৩ সালে ফিদেল ক্যাস্ট্রো বলেন, 'আমি হিমালয় দেখিনি, তবে আমি শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব ও সাহসিহকতায় তিনি হিমালয়তুল্য। আমি তার মধ্যে হিমালয় দেখার অভিজ্ঞতা প্রত্যক্ষ করেছি।' আল-জিরিয়ার রাজধানী আল জিয়ার্সে ১৯৭৩ সালে জোট নিরপক্ষে সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলিঙ্গন করে তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুরাগী ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতি ফিদেল ক্যাস্টো এবং তার দল অকণ্ঠ সমর্থন দিয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে তিনি আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থন ও সহযোগিতা করেছেন। বাংলাদেশের জনগণ তা চিরদিন কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১৩ সালে তাকে 'মুক্তিযুদ্ধে মৈত্রী' সম্মাননায় ভূষিত করে। এই কিংবদন্তি নেতা ২০১৬ সালের ২৫ নভেম্বর মারা যান। ক্যাস্ট্রোর ইচ্ছানুযায়ী তাকে দাহ করা হয়। ফিদেল ক্যাস্ট্রো বিশ্বের নিপীড়িত, নির্যাতিত, মুক্তিকামী মানুষের মুক্তির লড়াইয়ে বেঁচে থাকবেন। তিনি পৃথিবীর ভাগ্যহত মানুষের উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখিয়েছেন।

বিপস্নবীর মৃতু্য হয়, বিপস্নবের মৃতু্য নেই। এমন কথা ফিদেল ক্যাস্ট্রোর বেলায় প্রযোজ্য। জাগতিক নিয়মে ক্যাস্ট্রোকে বিদায় নিতে হয়েছে, এটা সত্যি। কিন্তু তিনি এবং তার আদর্শ চিরঞ্জীব। আমাদের এই বিচিত্র গ্রহটি যখন নিরাময় অযোগ্য ব্যাধিতে ভুগছে তখন বঞ্চিত লাঞ্ছিত দলিত নিপীড়িত মানুষের মুক্তির স্বপ্ন, সংগ্রাম ও আকাঙ্ক্ষায় ফিদেল ক্যাস্ট্রো হতে পারেন চির সবুজ এক মহা প্রেরণা।

রোকন উদ্দীন আহমদ :গবেষক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে