বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও শক্তিশালী ছিল না। ফলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারেনি। তাই জনগণের সরাসরি ভোটে সরকার গঠন হয়নি। গণতন্ত্রের মূল হচ্ছে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন করা। এজন্য একটি অবাধ, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
নির্বাচন কমিশন তিন সদস্য হওয়া উচিত। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি, সেনাবাহিনীর একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ও সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক। তারা পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যাদা পাবেন এবং সরাসরি রাষ্ট্রপতির কাছে জবাবদিহি করবেন। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে প্রতি চার বছর পরপর। কোনো প্রার্থী তিনবারের অধিক সংসদ সদস্য হতে পারবেন না এবং দুইবারের বেশি মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না।
অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন। অন্তর্বর্তী সরকার হবে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ। তাদের মেয়াদ হবে ছয় মাস। একজন প্রধান উপদেষ্টাসহ ৩০ জন উপদেষ্টা থাকবেন। উপদেষ্টাদের কেউ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না এবং তাদের কারো বিদেশি নাগরিকত্ব থাকা যাবে না। তাদের নিয়োগ দিবেন প্রধান বিচারপতি এবং শপথ পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি।
সকল নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। দলীয় প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দুইজন ভোটারের সমর্থন এবং জাতীয় পরিচয়পত্রসহ আবেদন ফরম গ্রহণ করা হবে। সংসদীয় আসন হবে ৪৫০টি। এর মধ্যে ৩০০টি সাধারণ আসন, ৭৫টি মহিলা সদস্য এবং ৭৫টি পেশাভিত্তিক সদস্য নির্বাচিত হবেন, তাদের মধ্যে ১০ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ১০ জন ইঞ্জিনিয়ার, ১০ জন ডাক্তার, ১০ জন অর্থনীতিবিদ, ১০ জন অবসরপ্রাপ্ত সচিব এবং ১০ জন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক অফিসার হবেন। সরাসরি ভোটের মাধ্যমে এই ৪৫০ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন।
ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদুল হাসান
ঢাকা