পাঠক মত

প্রকাশ | ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই মৌলিক অধিকার বিবেচনায় প্রায় প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই চিকিৎসাকেন্দ্র রয়েছে। বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েরও রয়েছে একটি মেডিকেল সেন্টার, যেখানে প্রতিদিন শতাধিক শিক্ষার্থী ও কর্মচারী স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসেন। তবে এই সেন্টারের সেবার মান নিয়ে শিক্ষার্থীদের রয়েছে অসন্তোষ। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর সংকট, জরুরি সেবার অভাব এবং পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহের অভাবে এটি কেবল নাপা সেন্টারেই পরিণত হচ্ছে। যেকোনো ধরনের অসুখেই নাপা, ট্রাইজিন ও খাবার স্যালাইন যেন সর্বরোগের মহৌষধ। রাজশাহীর পানিতে সমস্যার কারণে প্রতিনিয়তই পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হন শিক্ষার্থীরা, কিন্তু দুঃখের বিষয় মেডিকেল সেন্টারে একজনও চর্মরোগের চিকিৎসক নেই। কোনো একটি যন্ত্র অকেজো হলেই তা যেন ঠিক করার কেউ নেই। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় চিকিৎসক ও কর্মচারীদের দ্বারা যৌন হয়রানি ও দুর্ব্যবহারের শিকারের মতো ঘটনাও ঘটে এই মেডিকেল সেন্টারে। সঠিক চিকিৎসাসেবা না পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়, যা শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয়সাপেক্ষ হয়ে দাঁড়ায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাসেবার মূল কেন্দ্র হওয়া সত্ত্বেও সেবার মান প্রয়োজনের তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে। রাবি মেডিকেল সেন্টারের সেবার মান বাড়ানো শুধু সময়ের দাবি নয়, বরং এটি শিক্ষার্থীদের নিরাপদ, সুরক্ষিত ও স্বাস্থ্যসম্মত শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করার জন্য একটি মৌলিক প্রয়োজন। তাই প্রশাসনের উচিত, শিক্ষার্থীদের সুস্বাস্থ্য এবং সুষ্ঠু শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিত করতে মেডিকেল সেন্টারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা। তুহিন চাকমা শিক্ষার্থী কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। দ্রম্নত সমাধান চাই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মহাসড়কে দূরপালস্নার বিভিন্ন বাস-ট্রাকের বেপরোয়া গতিতে চলতে দেখা যায়, নেই কোনো নিয়মশৃঙ্খলা। এর ফলাফলস্বরূপ সম্প্রতি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মাইশা ফউজিয়া মিম মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ওই স্থানে সাম্প্রতিককালে ৬টি দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে তিনজন নিহত হন। বাউফল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ইউনুস বিশ্বাস দুর্ঘটনায় নিহত হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে যে গতিরোধক আছে, এর বেহাল অবস্থা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জনবহুল স্থানে গাড়ির গতি এমন হওয়া উচিত, যেন চালক সহজেই ব্রেক করতে পারে। আর কত প্রাণ ঝড়ে গেলে আমরা একটা নিরাপদ সড়ক পাবো? সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, ভোলা রোডে গতিরোধক সংস্কার ও সতর্কতামূলক সাইনবোর্ডের ব্যবস্থা করুন। আমরা আর দুর্ঘটনার সাক্ষী হতে চাই না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরবে- এ জন্য কেউ উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেনি। এই সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান চাই। জাফরিন সুলতানা শিক্ষার্থী পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহণ ব্যবস্থায় অগ্রগতি চাই বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির শতকরা আশি শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে হয়ে থাকে। জনসংখ্যা, আয়তন ও বাণিজ্যের দিক থেকে দেশের সেরা শহরগুলোর অন্যতম একটি চট্টগ্রাম শহর হলেও এই শহরের পরিবহণব্যবস্থা ভয়ংকর রকমের খারাপ। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পর্যাপ্ত ভালো বাস সার্ভিস পাওয়া যায় না। যেতে হয় সিএনজির মতো বিলাসবহুল প্রাইভেটে। এ ধরনের প্রাইভেট সার্ভিসে ভাড়াও অনেক, যা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষজনের পক্ষে কষ্টকর। এই শহরে যত্রতত্র লেগুনা সার্ভিস দেখা যায়। তবে এই লেগুনাগুলোর ভাড়াও অনিয়ন্ত্রিত। ন্যায্য ভাড়ার চেয়েও অধিক। মেট্রো প্রভাতী, সোনার বাংলা প্রভৃতি বাস ছাড়া অধিকাংশ বাস সার্ভিস খুবই খারাপ। বিশেষ করে শহরের ২ নম্বর এবং ৩ নম্বর বাস। এই বাসগুলোতে যাত্রীদের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। এত বেশি সংখ্যক যাত্রী উঠানো হয়, দাঁড়ানোর মতো জায়গা পাওয়া দুষ্কর হয়ে যায়। বাসগুলো একটু পর পর থেমে যায়। এতে চোর-পকেটমার সুযোগ পায়। প্রতিনিয়ত এ দু'টি বাস থেকে যাত্রীদের মোবাইল, মানিব্যাগ এবং গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র চুরি হয়ে যায়। এসব বিষয়ে অহরহ অভিযোগের পরও কর্তৃপক্ষের কোনো নজরদারি চোখে পড়ে না। খুবই বেহালদশা এ শহরের পরিবহণব্যবস্থার। চট্টগ্রাম শহরের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য পরিবহণব্যবস্থার সুন্দর পরিবেশ আনয়ন করা অতীব জরুরি। মুহাম্মাদ রিয়াদ উদ্দিন শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়