বর্তমান সময়ে এসে মানসিক চাপ জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যক্তিগত, পারিবারিক বা পেশাগত ক্ষেত্রে মানসিক চাপ আসা অস্বাভাবিক কিছু নয়। অনেক সময় আমরা মনে করি, মানসিক চাপকে এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু মানসিক চাপকে উপেক্ষা করা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। বরং তা দীর্ঘ মেয়াদে আমাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অনেকেই মনে করেন মানসিক চাপ এড়িয়ে চললেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, কিন্তু বাস্তবতা হলো চাপ জমতে জমতে আরও গুরুতর আকার ধারণ করে। মানসিক চাপের পরিস্থিতি ছোট বা বড় যাই হোক না কেন, তা সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। মানসিক চাপ আমাদের জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ হলেও তা সঠিকভাবে পরিচালিত না হয়, তবে তা আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে অত্যন্ত কঠিন করে তুলতে পারে। ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের দায়িত্বের বোঝা এবং ক্রমাগত মানসিক চাপে আমরা প্রায়ই নিজেদের যত্ন নিতে ভুলে যাই। এর ফলে দীর্ঘ মেয়াদে উদ্বেগ, হতাশা এবং অন্যান্য মানসিক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তাই চাপকে উপেক্ষা না করে এর প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা জরুরি। সমস্যা সমাধানের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হলো স্বীকার করা যে, মানসিক চাপ আছে এবং তা মোকাবিলা করা। সঠিক সময় ব্যবস্থাপনা, মানসিক সহায়তা, শারীরিক সুস্থতা এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখার মাধ্যমে চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। মনে রাখতে হবে, মানসিক চাপকে সাময়িকভাবে উপেক্ষা করা গেলেও তার প্রভাব সম্পূর্ণভাবে দূর করা যায় না। বরং যত দ্রম্নত আমরা চাপের কারণ শনাক্ত করে সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারব, ততই আমরা একটি সুস্থ, সুন্দর ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপন করতে সক্ষম হব।
হৃদয় পান্ডে
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ