খালেদা জিয়া

গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অগ্রদূত

প্রকাশ | ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

এম. সাইফুর রহমান
একটি জাতি যখন বহুমাত্রিক সমস্যা-প্রোপীড়িত হয়ে অন্ধকার সুড়ঙ্গে পথ হারায় কিংবা হারানোর উপক্রম হয় তখন স্রষ্টা ওই জাতিকে উদ্ধার করে আলোর পথে নিয়ে আসার জন্য এমন কাউকে পাঠান যিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে মৃতু্য বিভীষিকাকে পদদলিত করে ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ উত্তাল মহাসমুদ্র পাড়ি দিয়ে কিংবা ধূলিধূসরিত কণ্টকিত পথ মাড়িয়ে জাতিকে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়ে স্বজাতির ইতিহাসের পাতায় প্রদ্যোতিত হয়ে থাকেন। আজ আমি এমনই একজন ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে দু'চারটি কথা লিখতে যাচ্ছি। আর যিনি এই মহৎ ব্যক্তিত্বের অধিকারী তিনি হলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার অতন্দ্র প্রহরী, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অগ্রদূত, আপসহীন নেত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এই মহীয়সী রমণী, মা-মাটি ও মানুষের নেত্রীকে দূর থেকে বহুবার দেখলেও সর্ব প্রথম সামনা-সামনি দেখার ও কথা বলার সৌভাগ্য হয়েছিল ১৬ ফেব্রম্নয়ারি, ২০১২। আমার রচিত দু'টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে। খুবই কাছ থেকে দেখলাম এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ববোধসম্পন্ন নারীকে- যার দৃষ্টিজুড়ে কেবল এ দেশের মানচিত্র ও দেশের আপামর জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের এক প্রতিচ্ছবি। বর্তমান বিশ্বে বাংলা ভাষাভাষীর সংখ্যা প্রায় ৩০ কোটির মতো হলেও বাঙালিদের বসবাসকারী সার্বভৌম ভাষাভিত্তিক একমাত্র স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ। আর এই মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং গণমানসে দীর্ঘ লালিত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে বেগম জিয়ার রয়েছে অনুপম আত্মবিসর্জন। পরিতাপের বিষয়, গণতন্ত্রের বেদীতে দাঁড়িয়েই শেখ মুজিব আঁতুড়ঘরে গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করে পরিণত হলেন একনায়কে। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫-এ এক বিয়োগান্তক রক্তাক্ত নৃশংসতার মধ্য দিয়ে মুজিবের স্বেচ্ছাচারী-বাকশালী শাসন ব্যবস্থার পতন হলো। কালক্রমে ০৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার বিপস্নবের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার গুরুভার দায়িত্ব অর্পিত হয় জিয়াউর রহমানের স্কন্ধে। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার নিয়েই তিনি জনগণের দীর্ঘ কাঙ্ক্ষিত বহুদলীয় গণতন্ত্রকে ফিরায়ে আনেন। কিন্তু তার শাহাদাতের পর দেশ এক গভীর রাজনৈতিক নেতৃত্বের সংকটে পতিত হয়। এমতাবস্থায় দেশ ও জাতির প্রয়োজনে এবং জনসাধারণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ০৩ জানুয়ারি, ১৯৮২-এ অতি সাধারণ গৃহবধূ থেকে খালেদা জিয়া বিএনপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন। রাজনীতিতে তার হাতেখড়ি হতে না হতেই ২৪ মার্চ জেনারেল এরশাদ এক রক্তপাতহীন সামরিক কু্য'র মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলেন। গণতান্ত্রিক কক্ষচু্যত হয়ে রাষ্ট্র আবার অন্ধকার সুড়ঙ্গে পথ হারালো। এমতাবস্থায় রাজনীতিতে নবীন খালেদা জিয়া স্বামীর দেখানো পথ ধরেই সামাজিক নেতৃত্ব গড়ে তুলতে উদ্যোগী হন। হাঁটতে থাকেন মাইলের পর মাইল, গ্রামের পর গ্রাম। মানুষকে কাছে টেনে নেন জাদুকরী নেতৃত্বের পরশে। এভাবে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া নিরলস সাংগঠনিক সফরের মাধ্যমে সুদৃঢ় সামাজিক নেতৃত্ব গড়ে তুলে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনকে চূড়ান্ত রূপদানের মধ্য দিয়ে এরশাদ সরকারের পতন ঘটান। এরপর ১৯৯১-এর সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করে পুনরায় দেশে গণতান্ত্রিক ধারা ফিরায়ে আনেন। এভাবেই তিনি হয়ে ওঠেন আপসহীন গণতান্ত্রিক নেত্রী। কিন্তু গণতন্ত্রের চলার পথ কখনো মসৃণ হয়নি। এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী দালাল ও তাদের বিদেশি প্রভুদের বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে গণতন্ত্র তার গতিশীল বলয় থেকে ছিটকে পড়ছে বারবার। বিগত চার দশকেরও অধিককাল ধরে খালেদা জিয়া বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নিরলস নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আজ গণতন্ত্রের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন। রাজনৈতিক জীবনের নানান চড়াই-উতরাই উত্তরণে তিনি কখনো প্রতিবেশী বা কোনো পরাশক্তির সঙ্গে আপস করেননি। তাই বাংলাদেশের আপামর জনগণ তাকে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক বলেই বিশ্বাস করে। আর এ দুটো কারণেই খালেদা জিয়াকে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের বেশি ভয়। তাই যে করেই হোক বেগম জিয়াকে রাজনীতির অঙ্গন থেকে বিতাড়িত করতে হবে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বাঁধে কায়েমী স্বার্থের যতসব প্রতিনিধি। তাদের ষড়যন্ত্রের পথ ধরেই ২০০৭-এ আবির্ভাব ঘটে এক-এগারোর তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামক সামরিক সরকার। ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৭-এ এই সরকার তাকে গ্রেপ্তার করে সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত বিশেষ কারাগারে পাঠাল। দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য চালানো হলো ব্যাপক মানসিক নির্যাতন। কিন্তু তিনি দেশ ও দেশের জনগণকে ছেড়ে যাওয়ার প্রশ্নে বিন্দু মাত্র সহমত প্রকাশ করেননি। তিনি বলেছিলেন, 'বিদেশে আমার কোনো স্থান নেই। আমি এ দেশেই জন্মেছি, এ দেশেই মরবো।' উলেস্নখ্য, ওই সময় অনুরূপ কারগারে ছিলেন শেখ হাসিনাও। পরে তিনি এক-এগারোর অবৈধ সরকারের সঙ্গে গোপন আঁতাতের মাধ্যমে কারাগার থেকে শর্তসাপেক্ষে মুক্ত হয়ে বিদেশ চলে যান। পরবর্তী সময়ে তারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের আপস করতে না পেরে শেখ হাসিনার সঙ্গে স্বার্থ সুরক্ষার দফারফা করে এক সূক্ষ্ণ কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাসীন করে। গণতন্ত্রের স্বার্থে তিনি সেই নির্বাচনকে মেনে নিয়ে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের জন্য নির্বাচিত সরকারকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন। কিন্তু সরকার সেই সুযোগকে কাজে না লাগিয়ে প্রতিহিংসা চরিতার্থকরণের রাজনীতি শুরু করল। বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার হীন মানসিকতা নিয়ে আঁটতে থাকলো নানান ষড়যন্ত্রের ফাঁদ। সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক দুরভিসন্ধির বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পেতে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহকে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের বাহিরে রেখে ০৫ জানুয়ারি, ২০১৪-এ শেখ হাসিনার সরকার এক প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করে গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেকটি ঢুকিয়ে দিলেন। গণতন্ত্রহীন সমাজে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াই-সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন বেগম জিয়া। তখন তাকে দাবিয়ে রাখার জন্য ০৫ জানুয়ারি, ২০১৫-এ তার গুলশান কার্যালয়ের দুই পাশে বালু বোঝাই ট্রাক রেখে কার্যত ৯৩ দিন গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। বিস্ময়ের ব্যাপার এই বয়সে তিনি হায়েনা রূপী এই দানবীয় শক্তির শত নির্যাতন-নিপীড়নে মাথা নত না করে অনড়, সুদৃঢ় ও পর্বতের মতো অটল থেকে সংশপ্তকের ন্যায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও দেশ রক্ষার আন্দোলন-সংগ্রামের উত্তাল তরঙ্গমালা জনগণের দোরগোড়ে পৌঁছে দেন। সংবিধান অনুযায়ী ২০১৮ ছিল নির্বাচনের বছর। তাই তার এই দুর্দমনীয় অগ্রযাত্রাকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিয়ে তাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য বিনাভোটের অবৈধ সরকার এক প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে ০৮ ফেব্রম্নয়ারি, ২০১৮-এ তাকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় মোট ১৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেছিল। তিনি নিজে পায়ে হেঁটে হেঁটে নিজেকে জেলে সমর্পণ করেছিলেন। তাকে কারাগারে প্রেরণ ছিল সরকারের একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি। তিনি তা পূর্ব থেকেই আঁচ করতে পেরেছিলেন। তাইতো বিচার পূর্ববর্তী সন্ধ্যায় এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছিলেন, 'আমি যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছি। আমাকে জেল বা সাজার ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না। আমি মাথানত করব না। জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবি থেকে পিছু হটব না। আপনাদের খালেদা জিয়া কোনো অন্যায় করেনি। ন্যায়বিচার হলে আমার কিছুই হবে না। আর যদি ক্ষমতাসীন মহলকে তুষ্ট করার জন্য রায় হয়, তা কলঙ্কের ইতিহাস হয়ে থাকবে। দেশবাসীকে ছেড়ে যাব না। আমি আপনাদের সঙ্গেই আছি, আপনাদের সঙ্গেই থাকব।' তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে স্বজাতি, স্বদেশের প্রতি যে সীমাহীন দরদ এবং অসাধারণ দেশপ্রেম রয়েছে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। তাইতো কোলরিজ (ঐধৎঃষবু ঈড়ষবৎরফমব) যথার্থ বলেছেন, 'ঞযব ংড়ঁষ ড়ভ সধহ রং ষধৎমবৎ :যধহ ংশু, উববঢ়বৎ :যধহ ঙপবধহ, ড়ৎ :যব ধনুংসধষ ফধৎশ ড়ভ :যব ঁহভধঃযড়সবফ পবহঃবৎ.' মানুষের আত্মা হলো আকাশ থেকেও বৃহত্তর। মহাসমুদ্র অথবা অন্তহীন অন্ধকার গভীর কেন্দ্র থেকেও গভীরতর। তাই উদারতায় মানুষ এত পারঙ্গম। সৃজনশীলতায় এত কৃতবিদ্য। সিদ্ধান্ত গ্রহণে এত দক্ষ। মনুষ্যত্বের ধর্মই এই। মনোজ সৃষ্টি তাই আকাশের মতো উদার হয়। সর্বকল্যাণের উপযোগী হতে তাই এত গভীর হয়। এ কারণেই যোগ্য নেতৃত্বের মানুষ হয় আকাশের মতো প্রসারিত। এজন্যই যোগ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত হয় যুগান্তকারী, সদর্থক, কল্যাণময়। বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হতে থাকলে ২৫ মার্চ, ২০২০-এ ০২ বছর ০১ মাস ১৭ দিন কারাভোগের পর বেগম জিয়াকে 'মানবিক বিবেচনায়' সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে প্রথমে ০৬ মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হলো। ধাপে ধাপে মুক্তির মেয়াদও বাড়ল। কার্যত মুক্তির শুরু থেকেই তিনি ফিরোজাতে 'গৃহবন্দি' অবস্থায় ছিলেন। কথিত রয়েছে, জেলে থাকাবস্থায় খাবারের সঙ্গে তাকে স্স্নো পয়জনিং করা হয়েছিল। তাইতো তার শারীরিক অবস্থা আজ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের এই অগ্রদূতকে মৃতু্যর কোলে ঠেলে দিয়ে শেখ হাসিনা নীত-নৈতিকতা, আদর্শ-বিবেক প্রোজ্ঝিত হয়ে ২০২৪-এ এক তামাশার নির্বাচনের আয়োজন করে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির সৎকার সম্পন্ন করে দাম্ভিকতার লেলিহান শিখা দাবানলের মতো ছড়িয়ে দিয়ে দেশকে অস্থিশীলতার নীলাভ অনলকুন্ডে পরিণত করে ফেললেন। ছাত্র-জনতার রক্তে প্রজ্বলিত অগ্নিশিখা দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে মুহূর্তের মধ্যে শেখ হাসিনার পনেরো বছরেরও অধিকালের ক্ষমতার মসনদকে পুড়িয়ে ছারখার করে ফেলল। ০৫ আগস্ট, ২০২৪-এ দলীয় মন্ত্রী-এমপি ও নেতাকর্মীদের মৃতু্যর অনলকুন্ডে ফেলে দিয়ে তিনি ভারতে পালিয়ে যান। এরপর দেশ শাসনের দায়িত্বভার অর্পিত হয় নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর। দেশের আমজনতার বিশ্বাস এই সরকার দ্রম্নততম সময়ের ব্যবধানে একটি জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করে সাধারণ মানুষকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃজনের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। তাদের আরও বিশ্বাস- তাদের প্রাণ প্রিয় নেত্রী অচিরেই পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রহীন এই সমাজে আবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যে সব মা তাদের প্রিয় সন্তানকে হারিয়েছেন, যে সব স্ত্রী তাদের স্বামীকে হারিয়ে বিধবা হয়েছেন, যে সব সন্তান তাদের পিতাকে হারিয়ে এতিম হয়েছেন খালেদা জিয়া আবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে তাদের জীবনে এনে দেবেন সৌষ্ঠব, মলিন ঠোঁটে ফোটাবেন লাবণ্য হাসি। এই প্রত্যাশা আজ সমগ্র জাতির। এম. সাইফুর রহমান : সাহিত্যিক, গবেষক ও কলামিস্ট