নতুন কারিকুলাম এবং বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর দেশের আমজনতা প্রায় সবাই নাখোশ এবং বিরক্ত! সুতরাং এক কথায় শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ফিরিয়ে আনতে যা যা পরিবর্তন করা দরকার তার সব করতে হবে। পাশাপাশি বলতে চাই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সারা বছর জুড়ে এমনিতেই অনেক ছুটি থাকে। গ্রীষ্মকালীন ছুটি, বিভিন্ন উৎসবে ছুটি এবং দিবসে ছুটি। এছাড়াও আবহাওয়া বিপর্যয় এবং জরুরি অবস্থায়ও ছুটি ঘোষণা করা হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে স্থানীয় সমস্যার কারণে এবং প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনেও মাঝে মাঝে ছুটি দেওয়া হয়। খেলাধুলা এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতার সময় ক্লাস স্থগিত থাকে। লেখাপড়া একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। অথচ এত ছুটির পরেও একটি মহল মনে প্রাণে চায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি আরও বাড়ুক! শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়লে বা বন্ধ থাকলে কাদের লাভ! কী লাভ? মাথায় আসে না। কিছু শিক্ষক তো ছুটি পেলেই খুশি। ইদানীং সামাজিকমাধ্যম পর্যালোচনা করে দেখা গেল, যেন সপ্তাহে একদিন খোলা রাখলেই হলো তারা খুশি!
দেশের অন্যান্য জরুরি প্রতিষ্ঠান যেমন, হাসপাতাল, থানা ইত্যাদিতে ছুটি কম বা নেই বললেই চলে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কী তাহলে জরুরি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পড়ে না? এইভাবে শিক্ষা ব্যবস্থার ধসের পিছনে এই বেশি বেশি ছুটি থাকাও একটি কারণ বলে মনে করি। পরিশেষে বলতে চাই, নতুন কারিকুলাম বাতিলসহ ছুটি কমানো হউক এবং শনিবারের ছুটি স্থায়ীভাবে বাতিল করা হউক!
কাজী সুলতানুল আরেফিন
ছাগলনাইয়া, ফেনী