অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রত্যাশা

বাংলাদেশের মানুষের হাড় জ্বলে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন সম্পূর্ণ নতুন নেতৃত্ব চায়, ভালো বিকল্প চায়। তারা পুরনোকে আর নতুন করে আঁকড়ে ধরতে চায় না। চোরকে খেদিয়ে নতুন করে কোনো ডাকাতকে আমন্ত্রণ জানানো ঠিক হবে না।

প্রকাশ | ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

মোস্তফা আবু রায়হান
গণমাধ্যমে একটি লেখা চোখে পড়ল, 'বাংলাদেশ এমন একটি দেশ- যা বারবার স্বাধীন হয়, এটি ভবিষ্যতে আবারও স্বাধীন হবে'। কথাটিতে প্রথমে কৌতুক খুঁজে পেলেও একটু পরেই কৌতুকের আড়ালে এক শিরশিরে ভয়াবহতা আঘাত করল মস্তিষ্কের গভীরে। অর্থাৎ ভবিষ্যতে আবারও এমন কোনো স্বৈরাচারী শাসক অথবা রাজতন্ত্রীয় পরিবারতান্ত্রিক শাসক অথবা চামচা-দালালতান্ত্রিক শাসক বাংলাদেশের ক্ষমতার মসনদে জেঁকে বসবে এবং এই রকম মরণকামড় দিয়ে ছাত্র-জনতার রক্ত খাবে। স্বাধীন দেশে ভিনদেশি শত্রম্নশক্তির মতো নাগরিকদের ওপর গণহত্যা চালাবে। তখন আবার ছাত্র-জনতাকে তার কবল থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য 'এক দফা' স্বাধীনতার ডাক দিতে হবে। রক্তগঙ্গায় ভেসে যাবে সহস্র লাশ। বাংলাদেশে ৫ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। তারপর কোনো একদিন একটি 'অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ' নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তারপর বলাবাহুল্য, বাংলাদেশের মানুষ- আবেগী, হুজুগে, ধর্মপ্রবণ, ধর্মান্ধ, মূর্খ, বিশেষ করে সাম্প্র্রতিক পরিস্থিতিতে হাসিনাবিদ্বেষী গণভোটাররা হয়তো গণস্রোতে, গত ১৮ বছর ধরে অভুক্ত কোনো ইসলামিক 'চেতনা' বা পরিবারতান্ত্রিক 'চেতনা'কে নির্বাচিত করবে। তারপর? তারপর কী হবে? তারপর কি রাষ্ট্রের কেন্দ্র থেকে প্রান্ত পর্যন্ত আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে? লেজুড়বৃত্তিক শিক্ষক-ছাত্ররাজনীতির অবসান হবে? সর্বগ্রাসী লুটপাট, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি বন্ধ হবে? রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় স্বজনতোষী পুঁজিবাদ কায়েম, টাকা পাচার, ঋণের নামে ব্যাংক সাবাড়, ঋণখেলাপি ধারা বন্ধ হবে? ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগার লুণ্ঠন বন্ধ হবে? প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানে অমুকপন্থি-তমুকপন্থির অসুস্থ দলবাজি কি বন্ধ হবে? পেশাজীবীদের মধ্যে চামচামি-দালালির দলবাজি সংগঠন কি বন্ধ হবে? দেশের নাগরিক-জনতার সবর্স্তরে এবং সরকারি পেশাজীবীদের স্তরে স্তরে সরকারি দল কর্তৃক 'আদর্শের সৈনিক' তথা দালাল ও গুন্ডাবাহিনী পোষা এবং তাদের হাতে অস্ত্র সরবরাহ করা কি বন্ধ হবে? রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করা কি বন্ধ হবে? পুলিশ ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো কি বন্ধ হবে? দেশের সর্বস্তরে সর্বক্ষেত্রে চামচামি-দালালি, তেলবাজি ও 'ব্যক্তি-পূজা'র সংস্কৃতি কি বন্ধ হবে? 'মহান নেতা'র নামে 'আদর্শের-সৈনিক'দের অসহ্য বিরক্তিকর ঘেউ ঘেউ ও জুলুম-নির্যাতন কি বন্ধ হবে? দেশের সব নাগরিক দলমত নির্বিশেষে সর্ব অবস্থায় নির্ভয়ে কি মুখ খুলতে পারবে? ন্যায্য দাবি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে পারবে? আক্ষেপ-বিক্ষোভ প্রকাশ করতে পারবে? চামচামি-দালালিবিহীন স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও জনমুখী শক্তিশালী সংবাদমাধ্যম-গণমাধ্যম কি প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে? রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও সরকার কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘন কি বন্ধ হবে? সরকারি নিয়ন্ত্রণে ফ্যাসিবাদী চক্রান্তে র??্যাব-ডিজিএফআই ধরনের বিভিন্ন স্পেশাল বাহিনী ব্যবহার করে 'আয়না-ঘর' টাইপে ভিন্নমতের বা অপছন্দের লোককে ধরে নিয়ে গোপনে অজ্ঞাত স্থানে নৃশংসভাবে গুম-খুন-হত্যা কি বন্ধ হবে? রাজনৈতিক বিবেচনায় ও ক্ষমতার মদদে ব্যবসায়িক-মজুতদারি, সিন্ডিকেট-কারসাজি, দলীয় লোকদের বহুস্তরী চাঁদাবাজি, চুরি-ডাকাতির-অভয়ারণ্য নির্মূল হয়ে ন্যায় ও আইনি ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠিত হবে? অর্থনীতিতে ও বাজার-ব্যবস্থায় নৈরাজ্য, অস্থিরতা ও ভারসাম্যহীনতা কি বন্ধ হবে? দেড় যুগ ধরে বঞ্চিত-উপোসী কাউকে দেশের ক্ষমতায় নির্বাচিত করে, রাজতন্ত্রের আদলে রাজনৈতিক-পরিবারতন্ত্র পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করে বাংলাদেশের মানুষের ওপরের চাওয়াগুলো পূরণ হওয়া সম্ভব নয় বলেই আমরা মনে করি। আমরা একচ্ছত্র কর্তৃত্বের পরিবারতন্ত্রের বিলোপ চাই। আমরা বাংলাদেশের সাধারণ জনতা- স্বৈরতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র, ব্যক্তি-পূজা-তন্ত্র, ইয়েস-স্যার-তন্ত্র, চামচামি-দালালি-তন্ত্র, তেল-তন্ত্র, তথাকথিত-আদর্শ-তন্ত্র- এসবের বিকল্প চাই। এবং সেকারণেই, 'দ্রম্নত রাজনৈতিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর' বাংলাদেশের সংকট-সমস্যা সমাধান করবে না বরং আরও ঘনীভূত করবে। যারা দ্রম্নত 'নির্বাচিত' রাজনৈতিক সরকার চাচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্য খুব সাধু নয়। তাছাড়া তথাকথিত 'গণতন্ত্র' বাংলাদেশের মানুষের জন্য কতখানি কল্যাণ ও সুফল বয়ে এনেছে তা তো আমরা দেখেছি। বাংলাদেশে রাজনৈতিক সরকার মানেই দেশব্যাপী চামচার চাঁদাবাজি, দালালের দখলবাজি, 'আদর্শের সৈনিক'দের লুটপাট। এদেশে রাজনীতি দখলবাজিকে চালায় নাকি দখলবাজি রাজনীতিকে চালায়- তা এক দুর্জ্ঞেয় রহস্য। সেই রহস্য মোচনের সময় আজ এসেছে বলে মনে হয়। বাংলাদেশের মানুষ যেন এক শকুনের নখর থেকে আরেক শকুনের নখরে বিদ্ধ হতে না পারে, এক গর্ত থেকে ওঠে আরেক গর্তে পড়ে না যায়। এক গণতন্ত্রবেশী-স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত হয়ে আরেক গণতন্ত্রবেশী-স্বৈরাচারের হাতে না পড়ে। বাংলাদেশের মানুষের হাড় জ্বলে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন সম্পূর্ণ নতুন নেতৃত্ব চায়, ভালো বিকল্প চায়। তারা পুরনোকে আর নতুন করে আঁকড়ে ধরতে চায় না। চোরকে খেদিয়ে নতুন করে কোনো ডাকাতকে আমন্ত্রণ জানানো ঠিক হবে না। তাছাড়া, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বাংলাদেশবিরোধীরা কেউ বাংলাদেশের পরিচালনায় আসুক, ধর্মীয় মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীরা আমার দেশ কব্জায় নিয়ে সব কিছু জিম্মি করুক; সচেতন, প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক ছাত্রসমাজ তা কোনো দিন-ই চাইবে না। বাংলাদেশের সবর্স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে চামচামি-দালালির লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র-শিক্ষক-রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে। শিক্ষকেরা তাদের আসল কাজ বাদ দিয়ে লাল-নীল-সাদা রাজনীতিতে আর যেন রঙিন হয়ে না উঠতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলগুলো আর যেন ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের খোঁয়াড়ে পরিণত না হয়, নির্যাতনকেন্দ্রে পরিণত না হয়। প্রয়োজনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত ছাত্রসংসদ থাকতে পারবে। তবে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন' যেন জেগে থাকে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে। দেশের সর্বস্তরের গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারগুলো রাজনৈতিক দলের দালাল ও তেলবাজ আর যেন দখল না করে। রাষ্ট্রের সর্বস্তরের পেশাজীবীদের মধ্যে রাজনৈতিক দলের লেজভিত্তিক চামচামি-দালালির রাজনৈতিক সংগঠন আইন করে বন্ধ করতে হবে। জনপ্রশাসন, পুলিশপ্রশাসন ও আদালত যেন সরকারদলীয় চামচামি-দালালি বাদ দিয়ে স্বাধীনভাবে জনগণের জন্য কাজ করতে পারে। রাষ্ট্রের আদালত বা কোর্ট যেন আর কোনো দিন কারও কথিত 'পেটিকোটে' পরিণত না হয়। পদ্মাসেতু-মেট্রোরেল-টানেল-স্যাটেলাইট টাইপের 'উন্নয়ন' হওয়া যেমন জরুরি তার চেয়েও অধিক জরুরি বাজারব্যবস্থা স্থিতিশীল হওয়া। যাতে সাধারণ মানুষ খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে। সীমাহীন দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ হলে সেটি অসম্ভব নয় বলে আমরা মনে করি। মনে রাখতে হবে, বাজারে তৃণমূল পর্যায়ের সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে পারাই উন্নয়নের বড় এবং গ্রহণযোগ্য নির্দেশক। সক্ষমতার চেয়ে বেশি কিছু করতে গেলেই অর্থনীতি ও বাজারব্যবস্থায় ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়। ১০০ টাকা আয় করা ব্যক্তি ১০০০ টাকার ভঙ্গি দেখাতে গেলে তার সংসারে ভারসাম্যহীনতা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে এটিই বাস্তব- একটি রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও তাই। কোনো কথিত মহান নেতার তথাকথিত 'আদর্শের সৈনিক' দেশ জুড়ে আর যেন কিলবিল না করে। আমরা যেমন 'রাজাকার-মুক্তিযোদ্ধা' বিতর্ক নির্ভর রাজনীতির বিলোপ চাই, তেমনি স্বাধীনতার 'জনক-ঘোষক' বিতর্ক নির্ভর রাজনীতি থেকে বের হতে চাই। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক দলের চামচা-দালালেরা চর দখলের মতো দখলদারিতে ন্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই দখলদারি ও চাঁদাবাজির রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন চাই আমরা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, কথিত বিভিন্ন 'ইসলামী' দলের বা দীর্ঘমেয়াদে 'অভুক্ত' বিশেষ চেতনাবাজ দলের লোকদের ভাবভঙ্গি ও গতিবিধি দেখে মনে হচ্ছে, তারা যেন ইতোমধ্যে ক্ষমতায় বসে গেছেন। তাছাড়া, অচিন দেশের 'রাজপুত্র'কে নিয়ে যেভাবে স্স্নোগান শুরু হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে 'রাজপুত্র' তাদের 'রাজতান্ত্রিক পরিবারতন্ত্রের' সিংহাসনে বসেই গেছেন। আর সত্যিই বসে গেলে কী হতে পারে তা নিয়ে আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। 'ইসলামী' দলের লোকজনের উত্তেজনা-উচ্ছ্বাস ও নানান কর্মকান্ডে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশে রাতারাতি 'ইসলাম কায়েম' হয়ে গেছে, বে-ইসলামির কোনো স্থান নেই এখানে। নতুন কোনো গণতন্ত্রবেশী স্বৈরাচার, কর্তৃত্ববাদী, দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারী লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্তে অর্জিত এই বাংলার মসনদে জেঁকে বসুক, তা বাংলার ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ আর চায় না। তাই বাংলাদেশে কোনো রাজতান্ত্রিক 'পরিবারতন্ত্র' অথবা দীর্ঘমেয়াদে অভুক্ত 'খাই খাইতন্ত্র' পুনরায় কায়েম হতে দেওয়া যাবে না। তাছাড়া, ধর্মীয় মৌলবাদী ধর্মবাদী সাম্প্র্রদায়িক সরকারব্যবস্থার বিরুদ্ধেও দাঁড়াতে হবে এদেশের ছাত্রসমাজ ও সর্বস্তরের জনতাকে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এবং জুলাই-২৪ এর নতুন মুক্তির চেতনায় বাংলাদেশ একটি স্বৈরাচারবিরোধী, বৈষম্যহীন, অসাম্প্র্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ কল্যাণরাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হোক। বাংলাদেশ বাঙালি-অবাঙালি, ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠী-বৃহৎনৃগোষ্ঠী, হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান, ইহুদি-নাসারা, জৈন-শিখ, মুচি-মেথর, চামার-চন্ডাল, পৌত্তলিক-নিরাকারবাদী, নিরীশ্বরবাদী-বহুঈশ্বরবাদী, আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে যেন সবার হয়। তাই যদি করা সম্ভব না হয়, তাহলে বাংলাদেশের জুলাই-গণহত্যার অজস্র লাশ ও অজস্র আহত-পঙ্গু মানুষের প্রতি চরম অন্যায় করা হবে। হতাশায় নিমজ্জিত হবে স্বৈরাচারবিরোধী, ফ্যাসিবাদবিরোধী, বৈষম্যবিরোধী, নিপীড়নবিরোধী, দাসত্ববিরোধী, মুক্তিকামী এই অসহায় জাতি। শিক্ষার্থী ও খেটে খাওয়া সাধারণ জনতার এত লাশ, এত রক্তপাত, এত আত্মত্যাগ সব অর্থহীন হয়ে যাবে। বাংলাদেশের গতি আর যাতে বিপথে না যায়, সে-ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনকে ও সাধারণ জনতাকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে এবং সম্মিলিতভাবে দেশ সংস্কারের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। স্বাধীন দেশে নিজের টাকায় কেনা গুলি বুকে নিয়ে আবু সাঈদেরা, মীর মুগ্ধরা মরল তাদের ন্যায্য অধিকার দাবি করে। সব হত্যার যেন বিচার হয়, খুনীরা যেন শাস্তি পায়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার-প্রধানের প্রতি দাবি থাকবে- রাষ্ট্রের আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগসহ সার্বিক রাজনীতি এবং সার্বিকভাবে গোটা দেশটার আমূল সংস্কার যেন করা হয়। শাসনব্যবস্থার গোটা কাঠামো ও সিস্টেমের পরিবর্তন করে এবং সর্বপ্রকারের জঞ্জাল সাফ করে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, জবাবদিহিমূলক, দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার উপযোগী রাষ্ট্রকাঠামো ও পরিবেশ যেন সৃষ্টি হয়। তাতে যতদিন সময় লাগুক বাংলার ছাত্র-জনতা আপনাদের সঙ্গে আছে। মোস্তফা আবু রায়হান :কবি ও সংস্কৃতিকর্মী