পাঠক মত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সংস্কার চাই
প্রকাশ | ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
অনলাইন ডেস্ক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ গ্রন্থাগারগুলোর একটি। এখানে রয়েছে কয়েক চার লক্ষাধিক বই। কিন্তু দুখের বিষয় হলো সেসব বইয়ের অধিকাংশ ধুলোবালিতে আস্তরিত ও অন্ধকারে নিমজ্জিত। গ্রন্থাগারে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় বইগুলো খুঁজে পাওয়া সোনার হরিণের মতো। কেননা বইগুলোর নেই সুনির্দিষ্ট কোনো ডাটাবেজ। কথিত সাইবার সেন্টার ত্রম্নটিপূর্ণ, দুষ্প্রাপ্য সেকশনে যাওয়ার অনুমতি পেতে লাগে কয়েকমাস। বই নিয়ে প্রবেশ করে পড়ার সুযোগ নেই। ওয়াশরুমগুলো নোংরা, জীবাণুতে পরিপূর্ণ। চারদিকে সঁ্যাতসঁ্যাতে পরিবেশ। সন্ধ্যার সঙ্গে সঙ্গে গ্রন্থাগারটি বন্ধ হয়ে যায়। এসব কারণে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৯৮% শিক্ষার্থী এ গ্রন্থাগার বিমুখ। অথচ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও অগ্রগতি বজায় রাখতে গ্রন্থাগার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ, শিগগিরই গ্রন্থাগারটির প্রয়োজনীয় সংস্কার করুন।
মুহাম্মাদ রিয়াদ উদ্দিন
শিক্ষার্থী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
বন্যা ও পুনর্বাসন
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যার যে ভয়ানক থাবা আঘাত এনেছে তা সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে দেশবাসী। কিন্তু বন্যাকে নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও ধ্বংসযোগ্য হয়ে আছে হাজার হাজার বানভাসি মানুষের বসতবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। বন্যার পরবর্তীর সময়টা তাই দেশবাসীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সরকাররের পাশাপাশি সব নাগরিকেরই এখন মৌলিক দায়িত্ব হলো ভিটেহারা মানুষের পাশে দাঁড়ানো। বিভিন্ন এনজিও, সরকার-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর যৌথ প্রচেষ্টায় বন্যাকবলিত মানুষগুলোকে মানবিক সাহায্য করা সম্ভব। যতদিন পর্যন্ত নিজ বাসভূমিতে না ফিরতে পারছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিত্তবান শ্রেণির মানুষ আশ্রয় দিতে পারেন। সরকার বেসরকারি এনজিও, ব্যাংকগুলো এককালীন সুদবিহীন অর্থঋণ প্রদান করতে পারে গৃহহারা মানুষকে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যাদের ক্ষতি হয়েছে তাদের স্বল্প মুনাফা ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি কৃষকদের বিনামূল্যে চাষাবাদের সামগ্রী উপহার দেওয়া হতে পারে বন্যাকবলিত মানুষের জন্য সাধারণ দেশবাসীর পক্ষ থেকে উপহার। এ ক্ষেত্রে বরাবরের মতোই ছাত্রসমাজের ভূমিকা এই কাজগুলোকে সহজ করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
তানজিলা আক্তার
ইডেন মহিলা কলেজ
ঢাকা