পাঠক মত
গ্রন্থাগার চাই
প্রকাশ | ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
মো. সবুজ মিয়া
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। একটি জাতির উন্নতি কিংবা অবনতি সম্পূর্ণ নির্ভর করে ওই জাতি কতখানি শিক্ষিত, এর ওপর। জ্ঞানার্জনের মাধ্যমেই গড়ে উঠে একটা শিক্ষিত জাতি। লাইব্রেরি হচ্ছে জ্ঞানার্জনের সেই প্রধান মাধ্যম। দেহের খোরাক মিটাতে যেমন খাদ্যের প্রয়োজন, তেমনি মনের খোরাক মেটানোর জন্য লাইব্রেরির প্রয়োজন।
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার সাতপাড়িয়া একটি জনবহুল ও বর্ধিষ্ণু গ্রাম। এই গ্রামে প্রায় সাত-আট হাজার মানুষের বসবাস। যার মধ্যে শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী এবং শিক্ষিত জনগণের সংখ্যা অনেক। সম্প্রতি গ্রামটিতে আধুনিক শিক্ষার হাওয়া লাগায়, এই গ্রামের অনেকেই দেশের শীর্ষস্থানীয় ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ব্রিটেনের অক্সফোর্ড, চীন এবং তাইওয়ানের মতো দেশে বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়ন করছে। গ্রামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, এই গ্রামে কোনো গ্রন্থাগার নেই। ফলে গ্রামের জ্ঞানপিপাসু ও শিক্ষার্থীদের ৪০ কিলোমিটার দূরে জেলা শহরে গিয়ে বই বা পত্র-পত্রিকা সংগ্রহ করতে হয়। অথচ গ্রামে একটি গ্রন্থাগার স্থাপন করলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীসহ সব পেশার মানুষ জ্ঞানার্জনের সুযোগ পেত। স্থানীয় বিদ্যোৎসাহীদের সম্পৃক্ত করে সাতপাড়িয়া গ্রামে একটি সাধারণ গ্রন্থাগার স্থাপনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করছি। আশা করি, উক্ত গ্রামে একটি গ্রান্থাগার স্থাপন করে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ও বিদ্যানুরাগীদের জ্ঞানপিপাসা মেটাতে এগিয়ে আসবেন।
মো. সবুজ মিয়া
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়