সম্প্রতি দেশে বেশ কয়েকটি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় কতিপয় উন্মত্ত জনতার হাতে বেদম পিটুনির শিকার হয়ে কিছু অসহায় বনি আদম অকালে এই ধরাধাম ত্যাগ করেছে।
সবচেয়ে নিষ্ঠুর ও হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে বুধবার দিবাগত রাতে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামের একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরে টাইপের ব্যক্তিকে কিছু শিক্ষার্থী পিটিয়ে হত্যা করে। তাকে কয়েক ঘণ্টা ধরে নির্মমভাবে পেটানো হয়। এই দীর্ঘ সময়ে কেউ তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেননি। তাকে পেটানোর ক্ষেত্রে যে নির্দয়তা দেখানো হয় তাতে অনেকে ২০১৯ সালে বুয়েটের একটি হলে শিবির সন্দেহে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের কর্মীদের পটিয়ে হত্যার ঘটনার ছায়া দেখতে পায়। দেখা গেছে, এখানেও যারা তোফাজ্জলকে হত্যায় নেতৃত্ব দেয় তারা এক সময়কার ছাত্রলীগ কর্মী, যারা পরবর্তী সময়ে ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেয়।
পিটিয়ে হত্যার দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে একইদিন সন্ধ্যার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানে শামীম মোলস্না নামের ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তা কার্যালয়ের প্রটেকশনের চেষ্টা অগ্রাহ্য করে কিছু ছাত্র কয়েক দফায় পেটায়। সে বিভিন্ন মামলার কারণে পুলিশের কাছে একজন ওয়ান্টেড পারসন ছিল। রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার পর আশুলিয়া থানায় নেওয়ার পথে একপর্যায়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তাকে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ৯টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়কও ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
তৃতীয় ঘটনাটি ঘটে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে। ওখানে বুধবার ভোর রাতে মামুন নামের এক ব্যক্তিকে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করে কিছু ব্যক্তি। এই ঘটনার প্রতিবাদে এলাকায় কিছু লোক মিছিল সমাবেশের আয়োজন করে- যা পরবর্তী সময়ে আরও সহিংসতার জন্ম দেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিবদমান দুই পক্ষের সহিংসতা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপের ফলে ওই এলাকায় বেশ কিছু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশে গণপিটুনি এবং এ ধরনের পিটুনিতে হতাহতের ঘটনা নতুন কিছু নয়। চোর, ডাকাত, পকেটমার কিংবা ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনি এবং তাতে ঘোরতর আহত বা নিহত হওয়ার ঘটনা বিভিন্ন সময়ে পত্রিকার হেডলাইন হয়েছে। এর সঙ্গে ভিন্ন ধাঁচের যে ঘটনাগুলো মাঝে মধ্যেই সাধারণের দৃষ্টি কেড়েছে সেগুলো হলো, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিপক্ষ দলের কর্মী/ সমর্থকদের সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের পিটিয়ে আহত বা হত্যার ঘটনা। পিটিয়ে হত্যার যেসব ঘটনা সর্বমহলে বিশেষ হৈচৈ ফেলে তার মধ্যে রয়েছে ২০১৯ সালে তাসলিমা নামে এক মহিলা তার সন্তানের ভর্তির ব্যাপারে একটি স্কুলে যোগাযোগ করতে গেলে তাকে ছেলেধরা সন্দেহে কিছু লোক পিটিয়ে হত্যা, ২০১১ সালে শবেবরাতের রাতে আমিন বাজারে ঘুরতে যাওয়া কিছু ছাত্রকে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা এবং ২০১৯ সালে আবরার ফাহাদ নামের এক বুয়েট ছাত্রকে শিবির কর্মী সন্দেহে বুয়েটের এক হলে ছাত্রলীগ কর্মীদের সারারাত ধরে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে হত্যা।
আপনি কি কখনো সরাসরি এ ধরনের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন, যেখানে পকেটমার, চোর, ডাকাত বা ছেলেধরা সন্দেহে কাউকে পিটুনি দেয়া হচ্ছে? কিছু ক্ষেত্রে যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে হাতেনাতে ধরা হয় না তা কিন্তু নয়। কিন্তু, যখন একদল উন্মত্ত জনতা তার ওপর নির্বিচারে হামলে পড়ে, যে যার মতো তার ওপর ফ্রি স্টাইলে চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষির প্র্যাকটিস চালায়, তখন ওখানে খুব লোকের নিশ্চিত ভাবে জানার উপায় থাকে, এই ব্যক্তি আসলেই অপরাধী কিনা। দু'একজন শুরু করে। এরপর, আরও ১০ জন জড়ো হয়ে তার ওপর নির্বিচারে কিল-ঘুষির বৃষ্টি বর্ষণ করতে থাকে। কেউ ঘটনাটি তলিয়ে দেখবে সেরকম পরিবেশ তো থাকেই না, কেউ যে এখানে বাধা দেবে সেটাও হয়ে উঠে না.... হয় সাহসে কুলায় না, নয়ত যারা আঘাত করছে তাদের সঙ্গে পেরে ওঠে না। অনেকেই আবার ঝামেলায় না জড়াবার জন্য পাশ কাটিয়ে চলে যায়।
গণপিটুনির সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হলো, এতে একজন সম্পূর্ণ নিরপরাধ লোক ভিক্টিম হতে পারে। এই লেখার শুরুতে যে ক'টা ঘটনা উলেস্নখ করা হলো এগুলো তার কয়েকটি দুর্ভাগ্যজনক উদাহরণ। এবার, ধরুন, আপনি তাকে হাতেনাতেই ধরেছেন এবং আপনার হাতে তাকে অপরাধী প্রমাণের মতো যথেষ্ট প্রমাণ আছে। তাহলেও কি আপনি তার গায়ে হাত তুলতে পারেন? আইনত যে পারেন না তা অল্প-স্বল্প পড়ালেখা যাদের আছে তারাও বুঝেন। তবে, সমস্যার গভীরতা অনেক। আপনি হয়তো ভাবছেন দু' চারটে চড়-থাপ্পড় দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে একটু শায়েস্তা করবেন, কিন্তু একবার শুরু হলে কোথায় গিয়ে থামবে তা তো আপনি জানেন না। উন্মত্ত জনতা তাকে গুরুতর আহত করতে পারে, এমনকি তার ভবের লীলাও সাঙ্গ করে ছাড়তে পারে। এই একটি ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় আরও পাঁচটি বড়ো ঘটনা ঘটতে পারে। আজকের খাগড়াছড়ির ঘটনাপ্রবাহ তা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।
আরেকটি দুর্ভাগ্যজনক দিক হলো, গণপিটুনির ঘটনা আমাদের কেবল তখনই খুব একটা স্পর্শ করে, যখন আমরা দেখি যে ভিক্টিম নিরপরাধ। এ ধরনের ক্ষেত্রে চারিদিকে হৈচৈ পড়ে যায়। আর যদি দেখা যায় যে, যাকে পিটুনি দেয়া হলো সে আসলেই অপরাধী, তাহলে এটা নিয়ে আর তেমন কেউ উচ্চবাচ্য করে না। ভাবটা এমন যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যদি প্রকৃতই অপরাধী হয়, তাহলে তাকে দু'চার ঘা দেয়া যেতেই পারে। গণপিটুনির যে কালচার এ দেশে গড়ে উঠেছে তার মূলে রয়েছে আমাদের এই ধরনের মানসিকতা। যতদিন না আমরা এই উপলব্ধি আমাদের জনগণের মধ্যে সৃষ্টি করতে পারছি যে, কোনো অবস্থাতেই আমরা আইন আমাদের নিজেদের হাতে তুলে নিতে পারি না, ততদিন গণপিটুনির ঘটনা ঘটতেই থাকবে। তারপরও কথা থাকে। আপনি দেখে থাকবেন, এসব জেনে বুঝেই অনেকে আইন নিজ হাতে তুলে নেয়। কেন? কারণ, মানুষ থানা-পুলিশ করতে চায় না। আপনি যদি পুলিশকে জনগণের বন্ধু রূপে গড়ে তুলতে না পারেন, বিচারালয়ে জাস্টিস প্রতিষ্ঠা করতে না পারেন, মানুষের আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা রোধ করা স্বপ্নই থেকে যাবে।
এবার, আসুন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসমূহে রাজনৈতিক কারণে যেসব পিটুনি বা গণপিটুনির ঘটনা ঘটে সেগুলোর দিকে একটু নজর বুলানো যাক। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসমূহে মারামারি-কাটাকাটি একটি সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয় এবং এর ফলশ্রম্নতিতে অনেক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। দেখা গেছে, ক্যাম্পাসে প্রভাব বিস্তারকারী ছাত্র সংগঠনসমূহের কর্মীরা নিজেদের মধ্যে কলহে লিপ্ত হয়ে কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্র সংগঠনসমূহকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বা শায়েস্তা করতে এসব হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। সাম্প্রতিক দশকসমূহে এক্ষেত্রে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের তৎপরতা এক জঘন্য আকার ধারণ করে। দেখা গেছে, প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রসংগঠনসমূহের কোন কোনটির তৎপরতার ওপর তারা একরকম অলিখিত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এবং মাঝে মধ্যেই এসব সংগঠনের কর্মী সন্দেহে একে ওকে ধরে এনে তাদের ওপর অমানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাচ্ছে। অনেক সময় সাধারণ ছাত্রদেরও সময়ে অসময়ে 'ম্যানার' শেখানোর নামে তারা এভাবে নির্যাতন করত বলে অভিযোগ রয়েছে।
২০১৯ সালে বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যাকান্ডের পর প্রথমবারের মতো ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের এ ধরনের নির্যাতন চালানোর বিষয়টি সর্বসাধারণের নজরে আসে। একজন ছাত্রকে এরকম নির্দয়ভাবে পিটিয়ে মারার ঘটনায় পুরো দেশ শিউরে উঠে। কিন্তু, যে বিষয়টি অনেকের তখনো জানা বাকি ছিল তা হলো, এভাবে প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠনের সদস্য কিংবা সাধারণ ছাত্রদের ধরে পেটানো ছিল তাদের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে নিজ থেকে চেপে যাওয়া কিংবা প্রেসের সেল্ফ সেন্সরশিপ/ পক্ষপাতের কারণে এসব ঘটনা খুব কমই আমাদের নজরে আসত। সেদিন যদি আবরার প্রাণে মারা না পড়ত তাহলেও হয়ত বা এসবের বিন্দু-বিসর্গও আমাদের গোচরে আসত না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে শুধু বুয়েট নয়, সারাদেশেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে বহু বছর ধরে এই কালচার প্র্যাকটিস হয়ে আসছিল, যার ছিটেফোঁটা হয়ত বড় আকারের কোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই কেবল আমাদের নজরে আসত। আজকের এই দিনে সবাই যখন মন খুলে কথা বলছে তখন যদি যারা বিভিন্ন সময়ে এ ধরনের ঘটনার ভিক্টিম হয়েছে তাদের মুখ খুলতে বলা হয়, তাহলে এমন শত শত ঘটনা বেরিয়ে আসবে- যা আপনার মন-মগজকে অবশ করে দিতে পারে।
প্রশ্ন হলো, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ক্ষমতাধর ছাত্র সংগঠনসমূহের কিছু কর্মীর মধ্যে এ ধরনের ভয়াবহ উন্মত্ততা কীভাবে তৈরি হয় বা হত? যে ছেলেটা প্রথম বর্ষে ভর্তির সময় রীতিমতো কম্পমান থাকত, সে হঠাৎ বছর না ঘুরতেই এরকম দানব হয়ে উঠত কীভাবে? বিষয়টি কি এমন যে, জেনেটিক্যালি তার মধ্যে এ ধরনের অপরাধ প্রবণতা থাকে? নাকি পরিবেশ তার মধ্যে এ ধরনের দানবীয় চরিত্র সৃষ্টি করে? হয়ত বা দুটোই। তবে, একটি কারণ সম্ভবত এই যে, এই ছেলেগুলোর মধ্যে ক্ষমতা ও নেতৃত্বের প্রতি বিশেষ মোহ কাজ করে। তারা যখন দেখে যে, এ ধরনের নিষ্ঠুরতা তাদের উপরে উঠতে সহায়তা করবে, তখন তারা পারফরম্যান্স দেখাতে মরিয়া হয়ে ওঠে এবং কালক্রমে তাদের স্বাভাবিক হৃদয়বৃত্তি হারিয়ে যায়। অন্যভাবে, বলা চলে, এসব সন্ত্রাসী সংগঠনের সিনিয়র লিডাররা জুনিয়রদের মধ্য থেকে ভবিষ্যৎ নেতা বাছাইয়ের লক্ষ্যে যেসব কর্মকান্ডের মাধ্যমে তাদের পরখ করত তার মধ্যে এটি একটি। এই পরীক্ষায় ভালো গ্রেড নিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য হবু নেতারা প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের পেটানোর কাজে তাদের সর্বোচ্চ সক্ষমতা দেখানোর চেষ্টা করত। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে তার একটি কারণ ছিল সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনসমূহের এ ধরনের নিষ্ঠুরতা।
\হপ্রশ্ন দেখা দিয়েছে, সে যুগের ত অবসান হয়েছে। নতুন করে আমাদের ফের একই রকমের নিষ্ঠুরতা প্রত্যক্ষ করতে হবে কেন? এসব বাস্তবতার নিরিখে দাবি উঠেছে শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি নিষিদ্ধের। অনেকেই আবার বিভিন্ন ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ছাত্র রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা স্মরণ করে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের বিরুদ্ধে মতামত দিচ্ছেন।
অন্যদিকে, যেহেতু উপরে উলিস্নখিত সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসমূহের জন্য মূলত সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন কিংবা ক্যাম্পাসের প্রভাবশালী ছাত্র সংগঠনসমূহকে দায়ী করা হয়ে থাকে, স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য সংগঠনসমূহ বলতে পারে, এখানে আমাদের দোষ কোথায়। তবে, সরকারদলীয় সংগঠনের তৎপরতা বন্ধ হলেই যে এসব থেমে যাবে, অন্য কোনো সংগঠন প্রভাবশালী হয়ে উঠলে তারাও যে একই পথে হাঁটবে না তা বলার জো নেই। কাজেই, ছাত্ররাজনীতি থাক বা না থাক, আমাদের সামগ্রিক কালচারের উন্নতি করতে হবে, যেন আমাদের শিক্ষার্থীরা অধিকতর পরমতসহিষ্ণুতা হয়ে গড়ে উঠে। এজন্য নৈতিক শিক্ষার ওপর জোর দেয়া দরকার। প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব পর্যায়ে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার ওপর এক বা একাধিক কোর্স রাখা এবং শিক্ষার্থীদের নৈতিকভাবে উজ্জীবিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের এক্সটা-একডেমিক কার্যক্রম জোরদার করার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
ড. মুহম্মদ দিদারে আলম মুহসিন : অধ্যাপক ফার্মেসি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়