অপরিকল্পিত চিকিৎসা ব্যবস্থার দিকে সরকারের মনোযোগী হওয়া দরকার

দেশের মানুষের সব চিকিৎসা দেশেই হলে কষ্ট লাঘব হবে, কম টাকায় চিকিৎসা পাবে ও দুঃসময়ে আপনজন কাছে থাকবে, এতে করে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা আরও বেড়ে যাবে।

প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

এম এ কাদের
গত ১ সেপ্টেম্বর শনিবার ঢাকা মেডিকেলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডাক্তারদের ওপর হামলা এবং দুই গ্রম্নপের সংঘাতে ১ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার সারাদেশে সরকারি হাসপাতালে 'কমপিস্নট শাটডাউনের' ডাক দেন চিকিৎসকরা। এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা শুধু ঢাকা মেডিকেলই নয়, দেশের অনেক হাসপাতালেই অহরহ ঘটে থাকে। গত কয়েকদিন আগে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪১ জন চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করায় তারা গত ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার কর্মস্থলে যোগদান করেননি। এর মধ্যে ১৭ জনই ছিলেন বহির্বিভাগের চিকিৎসক। এতে জরুরি চিকিৎসাসহ সমগ্র চিকিৎসা ব্যবস্থা সাংঘাতিকভাবে ব্যাহত হয়। এ রকম অবস্থা কারোরই কাম্য নয়। একটি দেশের অবকাঠামো নির্মাণে সবচেয়ে গুরুত্ব বহন করে চিকিৎসা এবং শিক্ষা। স্পর্শকাতর এ দুটি বিষয়কে কোনোভাবেই অবহেলা করার সুযোগ নেই, কিন্তু দুর্নীতি অদক্ষতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে এই দুটি বিষয়ে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চিকিৎসা খাতে বাজেট ছিল ৩৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা। এবার ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪১ হাজার ৪ শত ৭ কোটি টাকা। মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা অধিক গুরুত্ব বহন করে। প্রতিটি মানুষের সঠিক চিকিৎসা পাওয়া তার মৌলিক অধিকার। দেশের প্রতিটি নাগরিককে সঠিক চিকিৎসা সেবা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। এক্ষেত্রে গড়িমসি করার কোনো সুযোগ নেই। চিকিৎসা ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনার কারণে মানুষের জীবন পর্যন্ত বিপন্ন হতে পারে। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারানোর কারণে এবং অব্যবস্থাপনা বিস্তার লাভ করায় মানুষ জীবন বাঁচানোর তাগিদে, অনেক কষ্টদায়ক ও ব্যয়বহুল হলেও সঠিক চিকিৎসা নিতে ভারতসহ অন্য দেশে যেতে বাধ্য হচ্ছে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, আমাদের দেশ থেকে প্রতিদিন শুধু ভারতেই ৮ থেকে ১০ হাজার লোক যাচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষই চিকিৎসার জন্যই ভারতে যেয়ে থাকে। এছাড়া ধনী, উচ্চবিত্তরা পৃথিবীর উন্নত দেশে যেমন সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, ইংল্যান্ড, আমেরিকায়, চিকিৎসা ও শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য যেয়ে থাকে। ভারতের চিকিৎসা করতে যাওয়া এ সমস্ত রোগীর সঙ্গে আলাপে জানা যায়, দেশে সঠিক রোগ নির্ণয় না হওয়া, ভুল চিকিৎসায় আস্থা হারানোর কারণে, জীবন বাঁচানোর জন্য ভারতে যাচ্ছেন। এতে করে প্রতিদিন হাজার হাজার রোগী চিকিৎসার জন্য কোটি কোটি টাকা ভারতে নিয়ে যাচ্ছেন। রোগীরা আরও বলেন, দেশের চিকিৎসকরা রোগী দেখার ক্ষেত্রে অমনোযোগী, দুর্ব্যবহার, কম সময় দেওয়া, রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে অহেতুক অধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেওয়া। ডাক্তারের মনোনীত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো, দালালের দৌরাত্ম্য- এসব নানা কারণে দেশে চিকিৎসার ওপর আস্থা না থাকায় রোগীরা অধিক হারে বিদেশে সঠিক চিকিৎসার জন্য যেতে বাধ্য হচ্ছেন। আমাদের দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর আস্থার অভাব শুধু সাধারণ রোগীদেরই নয়, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সরকারি আমলা ছাড়াও এমপি-মন্ত্রীদের এ অনাস্থার কারণেই তারা বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেয়ে থাকেন। দেশের চিকিৎসা অব্যবস্থার কারণ সম্পর্কে আরও জানা যায়, সব বিষয়ে প্রয়োজনীয় দক্ষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি না হওয়া, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্বল্পতা, মেধাবী চিকিৎসকদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করা, প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে অযোগ্য শিক্ষার্থীদের চিকিৎসক হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা। এছাড়াও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে জরুরি রোগী দেখানোর ক্ষেত্রে অধিক সিরিয়াল, রোগ নির্ণয় ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতির অভাব, টেকনিশিয়ানের অভাব, প্রয়োজনীয় ডাক্তারের স্বল্পতা, ডাক্তারদের বাসা ও চেম্বারের অভাব, নিরাপত্তার অভাব। এছাড়া প্রভাবশালীদের প্রভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে অনেক পিছিয়ে রেখেছে। দেশে প্রতি বছর ৩৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে ৪ হাজার ৬৮ জন ও প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ থেকে ৬ হাজার ২৩৩ জন অর্থাৎ কমবেশি ১০ হাজার ২৯৯ জন ডাক্তার বেরিয়ে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে প্রায় প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ডাক্তার সংকটে চিকিৎসাব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে। জানা যায়, অধিকাংশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ২০ জন ডাক্তারের পোস্ট থাকলেও বর্তমানে ৫/৬ জনের বেশি ডাক্তার নেই। এই ৫/৬ জন ডাক্তারের মধ্যে ছুটি ও ইমারজেন্সি সামাল দিতেই বহির্বিভাগে রোগী দেখার আর সুযোগ থাকে না। এতে করে প্রতিটি উপজেলায় ৩/৪ লাখ মানুষের চিকিৎসা ব্যবস্থা ডাক্তারের স্বল্পতায় একেবারেই ভেঙে পড়েছে। অথচ পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো চিকিৎসার ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। গ্রিসে ২২৮ জনে ১ জন ডাক্তার, স্পেনে ২০০ জনে ১ জন ডাক্তার, অস্ট্রেলিয়ায় ২৯৫ জনে ১ জন ডাক্তার, ফ্রান্সে ২৯৬ জনে ১ জন ডাক্তার, আমেরিকায় ২৭৮ জনে ১ জন ডাক্তার সেবা দিয়ে থাকেন। সেখানে আমাদের দেশে ২০১৮ সালের হিসাব অনুযায়ী শুধু সরকারি কর্মরত ডাক্তারের হিসাবে ৬৫৭৯ জনে ১ জন ডাক্তার নিয়োজিত আছে। দেশে মোট ডাক্তারের হিসাবে ১৮৪৭ জনে ১ জন ডাক্তার নিয়োজিত আছে। বর্তমানে আরও নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে এই ২০ জন ডাক্তারের বসার জায়গার ও আবাসিক (থাকার জায়গা) সংকট রয়েছে। সমাজের মেধাবী শিক্ষার্থীরাই ডাক্তারির মতো এই মহৎ পেশায় মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য নিযুক্ত থাকেন, কিন্তু এদের নূ্যনতম নিরাপত্তা নেই। অনেক সময় গ্রামের অশিক্ষিত মূর্খ সন্ত্রাসী যেনতেন কারণে গায়ে হাত পর্যন্ত তুলতে দ্বিধাবোধ করে না। জেলা শহর হাসপাতালগুলোতে এর থেকেও আরও নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। এছাড়াও হাসপাতালগুলোতে বিভিন্ন অনিয়মে রোগীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছায়। বেশিরভাগ হাসপাতালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে অপরিষ্কার এবং দুর্গন্ধে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। হাসপাতালগুলো নিজেরাই রোগী হয়ে আছে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে। কিছু কিছু যন্ত্রপাতি থাকলেও সেগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। টেন্ডারে যন্ত্রপাতি ক্রয় করার ক্ষেত্রে আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহের কথা থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে অথবা ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে কমদামি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়- যা অল্পদিনেই নষ্ট হয়ে যায়। দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অনেক অভাব রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সংকট সম্পর্কে জানা যায়, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ডিগ্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে আসন একেবারেই কম। তাছাড়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করার কারণে বেশিরভাগ চিকিৎসক দেশের বাইরে চলে যায়। ফলে, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় চিকিৎসকের স্বল্পতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। উপজেলা শহরগুলোতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পোস্ট থাকলেও অধিকাংশ হাসপাতালগুলোতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই বললেই চলে। রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালগুলোতে যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে, আবার অনেক হাসপাতালে যন্ত্রপাতি থাকলেও টেকনিশিয়ানের অভাব আছে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীর রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ডাক্তারদের সঙ্গে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একটা বড় কমিশন বাণিজ্য রয়েছে। দেশের গরিব রোগীদের রোগ নির্ণয়ের জন্য যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়, অনেক ক্ষেত্রে রিপোর্টের ফলাফল এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে অন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে মিল থাকে না। তাছাড়া ডাক্তারের নির্ধারিত ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে রিপোর্ট না করলে গ্রহণ করতে চান না। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য গরিব রোগীর কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া হয়, তার থেকে ৩০% থেকে ৪০% টাকা বেশিরভাগ ডাক্তাররা কমিশন নিয়ে থাকেন। এ কারণেও এ দেশের চিকিৎসার প্রতি অনেক রোগীর আস্থা নষ্ট হচ্ছে। নির্ভুল রোগ নির্ণয় এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য বেশিরভাগ রোগীরা ভারতে চলে যাচ্ছে। ইদানীং অনেক নিম্নমানের ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ভোক্তা অধিকারের নজরদারিতে ধরা পড়ছে। এ সব কারণেও দেশের চিকিৎসার ওপর মানুষের আস্থা হারাচ্ছে। এছাড়াও ভুল রোগ নির্ণয়, ভুল অপারেশন ও ওষুধের দাম অধিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় রোগীরা দেশের চিকিৎসার ওপর বিমুখ হচ্ছে। স্বল্পহারে উন্নত চিকিৎসার জন্য আধুনিক নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, জাতীয় হার্ট ফাউন্ডেশন, শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটসহ বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে হাসপাতাল তৈরি হওয়ায় আমরা তার সুফল ভোগ করছি। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে যোগ্য ডাক্তারদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে মেধাবী ডাক্তার বিদেশে যাওয়া বন্ধ করতে হবে। এতে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার অনেক উন্নয়ন ঘটবে। আধুনিক ও উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক নয়, পুরাতন জেলা শহর পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে হবে। বর্তমানে দেশে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে গেছে, প্রচুর মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে, সময়মতো সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় বেশিরভাগ রোগী মারা যাচ্ছে। অন্তত প্রতিটি মেডিকেল কলেজে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সি.সি.ইউ) চালু থাকলে বেশিরভাগ রোগী বাঁচানো সম্ভব হবে। হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার সরবরাহের ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। কোনো সময় ২০ জন, আবার কোনো সময় ৪ জন থাকলে চিকিৎসার বিঘ্ন ঘটবে। এতে মানুষের আস্থা হারাবে। উপজেলা শহরগুলোতে ডাক্তারের পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব বন্ধ রেখে নিরপেক্ষতার সঙ্গে পোস্টিং দিতে হবে। ডাক্তারদের ডিউটির ক্ষেত্রে সেবামূলক মনোভাব ও আন্তরিকতা থাকতে হবে। ডাক্তারদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক ও উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল, যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসকের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে করে দেশ উন্নয়নের দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে। তাছাড়া দেশে সঠিক চিকিৎসা পেলে অধিক ব্যয়ে, অনেক কষ্টে দুঃসময়ে আপনজন ছাড়া বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়া মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। দেশে নির্ভরযোগ্য চিকিৎসায় বিশ্বাস সৃষ্টি হলে আশপাশের দেশ থেকে অধিকহারে মেডিকেল শিক্ষা গ্রহণ ও চিকিৎসার জন্য ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, পাকিস্তান থেকে প্রচুর শিক্ষার্থী ও রোগী দেশে আসবে। এতে করে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে, বেকার সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে ও অধিক হারে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হবে। দেশের মানুষের সব চিকিৎসা দেশেই হলে কষ্ট লাঘব হবে, কম টাকায় চিকিৎসা পাবে ও দুঃসময়ে আপনজন কাছে থাকবে, এতে করে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা আরও বেড়ে যাবে। এম এ কাদের : কলাম লেখক