রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

ভারতীয় আগ্রাসন নয়, সম্পর্কের উন্নতিই কাম্য

যেহেতু, ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য বাংলাদেশ ও ভারত পারস্পরিক একে অপরের ওপর নির্ভরশীল তাই দু'টি দেশের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কোনো বিকল্প নেই।
ভূঁইয়া শফি
  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ভারতীয় আগ্রাসন নয়, সম্পর্কের উন্নতিই কাম্য

বাংলাদেশ ও ভারত দক্ষিণ এশিয়ার শান্তিপূর্ণ দু'টি দেশ। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে, দেশ দু'টি যোগাযোগ, ব্যবসাবাণিজ্য, অর্থনীতি একটি দেশ অপর দেশের ওপর নির্ভরশীল। এছাড়াও দেশ দু'টির মাঝে ইতিহাস, ভাষা, ঐতিহ্য এবং শিল্পকলা সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে মিল রয়েছে। বাংলাদেশের তিন দিন থেকে ঘিরে আছে ভারত সীমান্ত, শুধু দক্ষিণের সামান্য বর্ডার মায়ানমারের সঙ্গে ভাগ করেছে বাংলাদেশ। বাকি অংশ পুরাটাই বঙ্গোপসাগর। বাংলাদেশ ও ভারত শুধু ভৌগোলিক সীমান্ত সম্পর্কেই আবদ্ধ নয়, বরং দুই দেশ অর্থনীতি, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যবসাবাণিজ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানা ক্ষেত্রে পরস্পর এক দেশ অপর দেশের ওপর নির্ভর করে। ভারতের মিত্র সরকার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বর্তমান সময়ে দেশ দু'টির মাঝে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। এতে দেশ দু'টির মাঝে বন্ধুত্বের সম্পর্কে ফাটল ধরার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ইতোমধ্যেই।

১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের সূচনা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া ২য় দেশ ভারত। শুধু স্বীকৃতি নয়! স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ জন্মের সম্পূর্ণ কৃতিত্বের সবচেয়ে বড় অংশীদার ভারত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কয়েকটি বিদেশি রাষ্ট্র এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। এর মধ্যে ভারত অন্যতম। পাকবাহিনীর অত্যাচারে প্রায় এক কোটি বাঙালি ভারতে আশ্রয় নেয়। ভারত সরকার এ সব উদ্বাস্তুদের খাদ্য, বস্ত্র, ওষুধ দিয়ে সাহায্য করে। বাংলাদেশকে সহযোগিতার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী পাকবাহিনীর নির্যাতন-হত্যার বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টিতে বেশ জোরালো ভূমিকা পালন করে ভারত। যুদ্ধকালীন সময়ে ভারত মুক্তিবাহিনীকে ট্রেনিং, অস্ত্র, খাবার দিয়ে সহযোগিতা করে। যুদ্ধের প্রথম দিক থেকেই ভারত বাংলাদেশকে সবোর্চ্চ সহযোগিতা দিয়ে আসছিল। এরপর ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ও ভারত সরকার একটি যৌথবাহিনী গঠন করে। ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনী যৌথভাবে হানাদারদের বিরুদ্ধে লড়তে শুরু করে। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে পূর্ব বাংলার বিভিন্ন এলাকা শত্রম্নমুক্ত হয়। ১৪ ডিসেম্বর যৌথবাহিনী ঢাকার মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থান নেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে ১৬ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনীর অধিনায়ক লে. জেনারেল নিয়াজী তার ৯৪ হাজার সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র গোলাবারুদসহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আত্মসমর্পণ করে। আর এভাবেই ভারতের সহযোগিতায় স্বাধীন বাংলাদেশের অভু্যদয় ঘটে।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের মাঝে সুসম্পর্ক বিদ্যামান। ব্যবসাবাণিজ্য, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিসহ বিভিন্নভাবে ভারত, বাংলাদেশ একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার প্রতিবেশী দেশ ভারত। ভারত থেকে বাংলাদেশ তুলা, জ্বালানি তেল, বিটুমিন ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ; রেল ও ইঞ্জিনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ এবং পারমাণবিক বিদু্যৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতি সবচেয়ে বেশি আমদানি করে। খাদ্য উৎপাদনের মধ্যে পেঁয়াজ, ডাল জাতীয় খাদ্যশস্য, চিনি ও চিনির কাঁচামাল ইত্যাদি আমদানি করে। এছাড়াও লোহা ও লৌহজাত কাঁচামাল আমদানি করে বাংলাদেশ। শুধু আমদানিই নয়, ভারতের সঙ্গে রপ্তানি বাণিজ্যও করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক (ওভেন ও নিট), সুতা ও অন্যান্য টেক্সটাইল পণ্য, খাদ্যসামগ্রী- ফল ও বাদাম, উদ্ভিজ্য ও প্রাণিজ চর্বি, দুধ, আটা-ময়দা ইত্যাদি রপ্তানি করে থাকে। এছাড়াও বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ ভারতে বেশ চাহিদা রয়েছে। পূজা-পার্বণসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ইলিশ ছাড়া যেন চলেই না ভারতে বসবাসরত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের।

ভারতকে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ। এতে বিশেষ করে উত্তরপূর্ব ভারতের বাণিজ্যিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ ভারতকে দেশের মধ্যে দিয়ে যেতে অনুমতি দিয়েছে। বর্তমানে একটি দেশের বাস ও ট্রেন অপর দেশের মধ্যে চলাচল করছে। দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে যাওয়ার জন্য ভারতকে শিলিগুড়ি ঘুরে আসাম হয়ে উত্তরপূর্বের ৭ রাজ্যে যেতে হতো। বাংলাদেশ অনুমতি দেওয়ায় সেই যোগাযোগ ব্যবস্থা আমূল পরিবর্তন হয়েছে, সমৃদ্ধ ও উন্নত হয়েছে ভারতের অর্থনীতি।

এদিকে বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবা উন্নয়ন হলেও এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসার জন্য ভারতে যায়। লেখাপড়ার জন্য বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা ভারতে যান অনেক সময়।

বাংলাদেশিরা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদানকে গভীরভাবে স্মরণ করলেও ভারতের আগ্রাসনের অভিযোগ তুলেছেন দীর্ঘ দিন ধরে। বাংলাদেশের মানুষের অভিযোগ, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে ভারত। ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বিভিন্ন সময় প্রভাবিত করেছে। বাংলাদেশের ক্রাইসিস মুহূর্তে সংকটে পড়া পণ্য ভারত রপ্তানি করা বন্ধ করে দিয়েছে। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। বাজারে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা।

এছাড়াও ভারত অভিন্ন ৫৪টি নদীর মধ্যে ৪৭টি নদীর গতিপথে ছোট-বড় ৫ শতাধিক বাঁধ নির্মাণ করেছে। ভারতের দেওয়া বাঁধের কারণে নদীর প্রবাহ চরমভাবে ব্যাহত হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের নদনদী, খাল-বিল শুকিয়ে যাচ্ছে, আবার বর্ষা মৌসুমে পানি ছেড়ে দেওয়ায় উজানী ঢলে বাংলাদেশে বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে প্রাকৃতিক ও মৎস্য সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বারবার এসব নদীতে বাঁধ নির্মাণের সময় এতে ক্ষয়ক্ষতি এবং হতাহতের কারণ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভারত সরকার এসবের কর্ণপাত করেনি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির কারণ ভারতের ফারাক্কা বাঁধ। ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশ দুইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রথমত, শুকনো মৌসুমে বাংলাদেশ যথেষ্ট পরিমাণে পানি পায় না। আবার বন্যার মৌসুমে ভারত অন্যায়ভাবে বাঁধ খুলে দেয়। এই পানিতে নদীর ভাঙন বেড়ে যায়; ফলে গ্রামের পর গ্রাম নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। হাজার হাজার একর কৃষি জমি নষ্ট হয়ে যায়।

এদিকে, বিভিন্ন সময় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশিরা প্রাণ হারায়। তাছাড়া ভারত একতরফাভাবে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকানোর কথা তারা বেশি বলছে। অথচ ভারতের মানুষও দেদারছে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। কাঁটাতারের বেড়ার এই পাশে থাকলেও তারা বাংলাদেশিদের হত্যা করতে পিছপা হচ্ছে না। একের পর এক গুলি ছুড়ে কাঁটাতারের এ পাশের কৃষক ও রাখালদের হত্যা করছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

অন্যদিকে, বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলগুলো ভারতে দেখানো নিষিদ্ধ। কিন্তু তার বিপরীতে বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেলগুলো অবাধে চলছে। ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলোর সিরিয়ালের প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, পোশাক পরিচ্ছন্ন, পারিবারিক মূল্যবোধের ওপর।

ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশিদের ক্ষোভ থাকলেও শেখ হাসিনা সরকার থাকাকালীন সময়ে কেউ কথা বলতে পারেনি। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের মানুষ। ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে চায় বাংলাদেশ। এ কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা বেশ টানাপোড়েন চলছে। এভাবে চলতে থাকলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে।

বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অবনতি ঘটলে দুই দেশের অর্থনীতিতে তা বেশ প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে ভারতের বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। এতে তুলা, জ্বালানি তেল, ট্রেন ইঞ্জিন সামগ্রী, কফি, চা, অটোমোবাইল পণ্য এবং ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম, ধাতব পণ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকে ভারতের আমদানি কয়েকটি খাতে। উদাহরণস্বরূপ ২০২৩ সালে ভারতীয় আমদানির ৫৯ শতাংশেরও বেশি টেক্সটাইল এবং পোশাক পণ্য নিয়ে গঠিত। আমদানির অন্যান্য আইটেমের মধ্যে রয়েছে- ইলিশ মাছ, চামড়াজাত পণ্য এবং জুতা। বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য রপ্তানির একটি উলেস্নখযোগ্য অনুপাত শ্রমনির্ভর পণ্য নিয়ে গঠিত। সে কারণে তাদের চাহিদার ওপর বিরূপ প্রভাব শুধু রপ্তানি আয়ের ক্ষতিই নয় বরং ভারতীয় শ্রমিকদের চাকরির বাজারেও প্রভাব ফেলবে। দুই দেশের অনেক শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে। যে শিল্প সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তা হলো টেক্সটাইল এবং পোশাক- যা বাংলাদেশে ভারতের মোট পণ্য রপ্তানির প্রায় ২৪ শতাংশ। তাই দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি দুই দেশের অর্থনীতিতে শক্তিশালী আঘাত হানবে।

ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের প্রতিবেশী সব দেশের সঙ্গে ভারতের শত্রম্নতা রয়েছে। শুধু বাংলাদেশ ও ভুটান বাদে। ভারতের বিরোধ রয়েছে প্রতিবেশী দেশ শ্রীলংকার সঙ্গে, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সীমান্তে যুদ্ধ যুদ্ধ পরিবেশ থাকে সব সময়, নেপালের সঙ্গেও খুব একটা ভালো সম্পর্ক না ভারতের। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারতের বাংলাদেশ ও ভুটানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। যদি কখনো বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়! তাহলে ভৌগোলিক অবস্থানের বিবেচনায় ভারত বেশ চাপে পড়ে যাবে। সেই সঙ্গে সবগুলো প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে শত্রম্নতা থাকার সুযোগে এবং বাংলাদেশের ভেতরে দিয়ে দ্রম্নত সময়ে উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যাহত হওয়ার কারণে সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। নানামুখী চাপে ভারত ওই সব রাজ্যগুলো নিজেদের মানচিত্র থেকে হারিয়ে ফেলতে পারে। তাই বাংলাদেশের যেমন প্রয়োজন ভারতকে তেমনি ভারতেও প্রয়োজন বাংলাদেশকে।

যেহেতু, ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য বাংলাদেশ ও ভারত পারস্পরিক একে অপরের ওপর নির্ভরশীল তাই দু'টি দেশের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কোনো বিকল্প নেই।

সাম্যতা ও দু'টি দেশের স্বার্থকে সমানভাবে প্রাধান্য দিয়ে নতুন করে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ব্যবসাবাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। দুই দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুযায়ী নদীর পানি বণ্টন করতে হবে। সীমান্তে বিএসএফের নিরীহ বাংলাদেশিদের ওপর গুলিবর্ষণ বন্ধ করতে হবে। একটি দেশ অপরটি দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। দু'টি দেশের সরকারের ও সাধারণ মানুষের ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নতিই চাওয়ায় কাম্য হোক।

ভূঁইয়া শফি : কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে