শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

বিএনপি নেতৃত্বের কাছে প্রত্যাশা

জিয়াউর রহমান অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত কৌশলে আমেরিকা, ইউরোপ, চীন বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি নিজস্ব অবস্থান সৃষ্টি করে নেন। তার এ অবস্থান বাংলাদেশে স্বাধীনতা উত্তরকালের অধিকতর শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতির বহিঃপ্রকাশ।
মো. খালেদ সাইফুলস্নাহ
  ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
বিএনপি নেতৃত্বের কাছে প্রত্যাশা

ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী অভু্যত্থানের মধ্য দিয়ে জন্ম নেওয়া নতুন বাংলাদেশে 'বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল' বিএনপির এটিই প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের দীর্ঘ শাসনামলে খুন, গুম, হামলা, মামলা, নির্যাতনে বিধ্বস্ত দল বিএনপির ভাগ্যাকাশে যে নতুন সূর্য উঁকি দিয়েছে রক্তাক্ত জুলাইয়ে, সেটিকে মাথায় রেখে রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা দলের জন্য ও দেশের জন্য সময়ের দাবি। তাই নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নতুন ধারার গুণগত পরিবর্তনের রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও প্রত্যাশার আলোচনা দলের করণীয় নির্ধারণে সহায়ক ও সময়োপযোগী।

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হওয়া বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৭৮ সালের এ দিনে ঢাকার রমনা রেস্তোরাঁয় এক সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিভিন্ন রাজনৈতিক পথ-মতের অনুসারীদের এক পস্ন্যাটফর্মে এনে এই দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। যদিও জিয়াউর রহমান একেবারেই ভিন্ন পটভূমিতে ৭ নভেম্বর ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসেন তার ধারাবাহিকতায় বিএনপির প্রতিষ্ঠা। প্রথমে তিনি ১৯ দফা অর্থনৈতিক কর্মসূচির ভিত্তিতে জাগদল নামে রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা করেন। সেই প্রক্রিয়ায় শেষ পর্যায়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল তথা বিএনপির জন্ম।

স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের পটপরিবর্তনের পর বিএনপির জন্ম। ফলে আওয়ামী লীগের সীমাবদ্ধতার জায়গাগুলোতেই একটা অবস্থান তুলে ধরার চেষ্টা ছিল বিএনপি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ভৌগোলিক ভিত্তিতে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের আওতায় এক লক্ষ সাতচলিস্নশ হাজার বর্গকিলোমিটার ভূখন্ডে জন্ম নেওয়া প্রতিটি মানুষকে ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে 'বাংলাদেশি নাগরিক' পরিচয়ের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার প্রয়াস চালিয়েছিলেন। বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সঙ্গে বিএনপির আরেকটা অবদান হচ্ছে ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের বিপরীতে ভৌগোলিক জাতীয়তাবাদের ধারণার মাধ্যমে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার একটি রূপরেখা প্রণয়ন। কিন্তু জিয়াউর রহমান পরবর্তী বিএনপি ক্ষমতায় আরোহণ করে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হয়নি।

জিয়াউর রহমান অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত কৌশলে আমেরিকা, ইউরোপ, চীন বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি নিজস্ব অবস্থান সৃষ্টি করে নেন। তার এ অবস্থান বাংলাদেশে স্বাধীনতা উত্তরকালের অধিকতর শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতির বহিঃপ্রকাশ।

রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি তার প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের যথাযথ ব্র্যান্ডিং করতে ব্যর্থ হয়েছে বলা যায়। কারণ জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ১৯ দফা কর্মসূচির তাৎপর্য অনুধাবন করতে এই দলটির নেতাকর্মীরা বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। প্রমাণ হিসেবে আমরা দেখতে পারি, বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ২০০৪ সালে বিবিসি বাংলা সেরা বাঙালি নির্বাচনের জরিপ। যেখানে জিয়াউর রহমান ১৯ নাম্বারে নির্বাচিত হন। তবে বর্তমানে বিএনপির প্রত্যাবর্তন লক্ষ্য করা যায় তাদের ইতিপূর্বে ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ২৭ দফা রূপরেখায়। সেখানে তারা জিয়াউর রহমান প্রদত্ত ১৯ দফা ও বেগম খালেদা জিয়া ঘোষিত ভিশন-৩০-কে ভিত্তি করে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ও মানুষের প্রত্যাশার সঙ্গে সমন্বয় রেখে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ২৭ দফা হাজির করেছিল- যা কার্যত কাঙ্ক্ষিত গুণগত রাজনৈতিক পরিবর্তনের অঙ্গীকার। এখন সময় এসেছে এ রাজনৈতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নের, সে পথেই দলকে এগিয়ে নিতে হবে।

এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বেগম জিয়ার আপসহীন অবস্থান তার পরবর্তী '৯১ থেকে '৯৬ সময়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সরকার, সেটা ছিল দলটির জন্য শ্রেষ্ঠ সময়। কারণ, এ সময়ের বিএনপি ছিল অনেক বেশি গণতান্ত্রিক। যদিও বলা যায় না যে, গণতন্ত্রের সব শর্তই দলটি পূরণ করছে। কারণ দলটির ভেতরেই পরিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক ও গঠনতান্ত্রিক চর্চা হয় না। কিন্তু খালেদা জিয়া অন্তত বহুদলীয় গণতন্ত্রের একটা সচল রূপ গ্রহণ করেছিলেন। নতুন বাংলাদেশে বিএনপিকে দল হিসেবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অভ্যন্তরীণ চর্চা ও বাহ্যিক দলীয় কর্মসূচি এবং কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে তার প্রকাশ ঘটাতে হবে। .

দীর্ঘ সতেরো বছরের বেশি সময় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে আছে বিএনপি। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দেড় লাখের বেশি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় বিএনপির ৩৫ থেকে ৩৬ লাখ কর্মী আসামি। এ ছাড়াও বিএনপির অনেক নেতাকর্মী গত এক দশকে গুম, হত্যা ও প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। এরপরও নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ছিল। শেখ হাসিনার পতনের পূর্বে বিএনপি শীর্ষ নেতৃত্বের অনুপস্থিতিতেও স্মরণকালের বৃহৎ বৃহৎ সমাবেশ করছে দলটি। এতে প্রমাণিত হচ্ছে, বিএনপি এসব হামলা মামলা, নির্যাতনে দমে যায়নি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিএনপির সামনে দারুণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের, দায়িত্ব নেওয়ার। তবে, একথা বলতেই হয় ছেচলিস্নশে এসে এক নতুন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়েছে বিএনপি। বিশেষ করে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপির রাজনীতির জন্য রীতিমতো এক অগ্নিপরীক্ষা। খোলামেলাভাবে বললে এ নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত দলীয় তৃণমূল থেকে শীর্ষ নেতৃত্ব পর্যন্ত সবার লাগাম টেনে ধরাই বড় চ্যালেঞ্জ। এর সঙ্গে বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনেকটাই যুক্ত বলা যায়। এ সময়কালে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভূমিকার ওপর নির্ভর করে এন্টি আওয়ামী সেন্টিমেন্টের ভোটের রাজনীতি।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের অর্থনীতি ও সমাজের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত পরিবর্তন ঈর্ষণীয়। কিন্তু বড় প্রশ্ন হলো, আমাদের দেশের রাজনীতিতে কি কোনো গুণগত পরিবর্তন হয়েছে? স্বৈরাচার সরকার গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে রাজনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে সত্য তবে এ প্রশ্নের উত্তরে বৃহৎ দল হিসেবে বিএনপিও দায় এড়াতে পারে না। এ বিষয়টি স্পষ্ট যে, রাজনীতিকদের হাতে জনগণ সবচেয়ে বেশি প্রতারিত হয়েছে। স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে তাই রাজনৈতিক সংস্কারের দাবি তারুণ্যের প্রত্যাশা। ছাত্র-জনতার বিপস্নবের পূর্ণতা পাবে রাষ্ট্র সংস্কারের মধ্য দিয়ে আর এ জন্য প্রয়োজন নতুন ধারার গুণগত পরিবর্তনের রাজনীতি। এ প্রত্যাশা পূরণে বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে অগ্রণী ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ময়দানে শোডাউন, মিছিল, মোটর শোভাযাত্রা, শক্তির মহড়া ইত্যাদি গতানুগতিক কর্মসূচি পুরনো হাতিয়ার। দলীয় আধিপত্য, কোরামের রাজনীতি, ব্যক্তিকেন্দ্রিক পদলেহন, সহমত ভাই ইত্যাদিই ছিল রাজনীতির সাধারণ চিত্র। বিএনপি কি সেই গতানুগতিক প্রচলিত রাজনীতি জারি রাখবে? নাকি তাদের থেকে নতুন ধারার জনবান্ধব, তারুণ্যনির্ভর, গুণগত পরিবর্তনের রাজনীতি দেখবে দেশের মানুষ? এ প্রশ্নের আড়ালে রয়েছে বিএনপির রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের প্রত্যাশা। আপাত মনে হচ্ছে, প্রথাগত রাজনীতির ছক থেকে বেরিয়ে আসছে বিএনপি। সর্বোচ্চ নেতা তারেক রহমানের বক্তব্য বিবৃতিতে তার প্রতিফলন ঘটেছে সাম্প্রতিক সময়ে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, মহাসচিব এবং স্থায়ী কমিটির নেতৃত্বের পরিবর্তিত চিন্তা ভাবনার প্রতিফলন তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়াই হোক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অঙ্গীকার।

মির্জা ফখরুল বলেছেন, 'বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সব সময় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। সরকার পতনের পর চেয়ারপারসনও বলেছেন, আমরা প্রতিশোধ, প্রতিহিংসার রাজনীতি কখনোই করতে চাই না। আমরা সৌহার্দ্য, ভালোবাসা এবং সুসম্পর্কের রাজনীতি করতে চাই। কিন্তু একই সময়ে জনগণের কাছে জবাবদিহি একটা বড় বিষয়। আমরা যে কাজগুলো করেছি জনগণ তো তার জন্য আমাদের বিচার করবে। আজকে আওয়ামী লীগকে তার গত ১৫ বছরের কর্মকান্ডের জন্য জবাবদিহি করতে হবে। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতিকে কীভাবে তারা ধ্বংস করেছে, তার জন্য তাদের তো জবাবদিহি করতে হবে। তারা জবাবদিহি করে গণতান্ত্রিকভাবে রাজনীতি করলে আমাদের তো কোনো আপত্তি নেই। আমরা বিশ্বাস করি, যে কোনো দলের যে কোনো ব্যক্তির রাজনীতি করার অধিকার আছে, সেভাবে করবে।' বাংলাদেশের মানুষের মনোজগতের পরিবর্তন না বুঝলে আগামী দিনে বিএনপির রাজনীতি কঠিন হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এই বার্তা দলের তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে। গত ১৪-১৫ দিনে বাংলাদেশের মানুষের মনোজগতের যে পরিবর্তন। বিএনপি যদি না বুঝে, আগামী দিনে বিএনপির রাজনীতি কঠিন হয়ে যাবে।

অভু্যত্থানের পরবর্তী অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের এ শাসনকালে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পালাক্রমিক দখলবাজির 'নিয়তি' থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার আশাবাদ তৈরি হয়েছে। কিন্তু দেশের কিছু জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হটিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের দখলবাজি ও চাঁদাবাজি সেই আশাবাদকে কিছুটা ফিকে করে দিচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, 'দলের নাম ভাঙিয়ে কিছু দুষ্কৃতকারী দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। বিএনপিতে কোনো দুষ্কৃতকারীর ঠাঁই নেই।' দলীয় চেইন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠা করে দলের দখলদার, সুবিধাবাদী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন অভিযুক্ত সদস্যদের বিরুদ্ধেও দলীয় একশান দৃশ্যমান হয়েছে- যা ইতিবাচক।

বিপস্নবপরবর্তী প্রতিটি বক্তব্যে প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহারের ঘোষণা দিয়েছেন তারেক রহমান। চলমান বন্যা পরিস্থিতির দলীয় শোডাউন এবং শক্তি প্রদর্শনের প্রতিযোগিতামূলক দলীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সব আয়োজন বাতিল করেছে দলটি। এখন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্য বিবৃতিতে গুণগত পরিবর্তন লক্ষণীয় হলেও তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠকদের দখলদারি মনোভাব আর গতানুগতিক রাজনৈতিক চিন্তা ভাবিয়ে তুলেছে। শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে তৃণমূল পর্যন্ত পরিবর্তনের অঙ্গীকার ও নতুন রাজনীতির ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আগামী দিনে বিএনপির গুণগত রাজনীতির প্রত্যাশা পূরণ সম্ভব। এ জন্য গঠনতান্ত্রিকভাবে দলের নিয়মিত কাউন্সিল, নেতৃত্বের বিকাশ ও দক্ষতার মূল্যায়ন এবং দলে গণতন্ত্র চর্চা বিএনপির রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে পারবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলটির কাছে প্রত্যাশা থাকবে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে বিএনপিও ফ্যাসিস্ট দলে পরিণত না হয় এবং তাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা, সহাবস্থান ও গুণগত পরিবর্তনের রাজনীতির অঙ্গীকার যেন পূরণ করে।

মো. খালেদ সাইফুলস্নাহ :কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে