নিত্যপণ্যের বাজারে অস্বস্তি
নিয়ন্ত্রণে সঠিক পদক্ষেপ নিন
প্রকাশ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
অনলাইন ডেস্ক
এখনো স্বস্তি ফিরেনি নিত্যপণ্যের বাজারে। বেশ কটি পণ্যের মূল্য এখনো চড়া। দীর্ঘদিন পেঁয়াজের বাজার চড়া। দাম ওঠানামা করলেও ১০০ টাকার নিচে নামেনি। সবশেষ জুনের মাঝামাঝি সময়ে সাধারণ মানুষ ১০০ টাকার কমে পেঁয়াজ কিনতে পেরেছিল। যদিও অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই সেই পেঁয়াজের দাম আবার ১০০ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যেই গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম আবার প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দামের ওপর তাদের হাত নেই, পাইকাররা দাম কমালে তারাও কমাবে। অন্যদিকে, সাধারণ ক্রেতারা পেঁয়াজের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন। বাজারে আকার ও মান ভেদে ক্রস জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। এর মধ্যে ছোট পেঁয়াজ ১২০ টাকা ও বড় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। আর ভারতীয় পেঁয়াজ ১১৫ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকা করে। অর্থাৎ, সব ধরনের পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। এছাড়া আজকে আলুর দাম রয়েছে আগের মতোই। লাল আলু ৬০ টাকা, সাদা আলু ৬০ টাকা, বগুড়ার আলু ৭০ টাকা, দেশি রসুন ২০০-২২০ টাকা, চায়না রসুন ২১০ টাকা, চায়না আদা ২৬০ টাকা, ভারতীয় আদা মানভেদে ২৬০ দরে বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ, চায়না রসুনের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ টাকা।
প্রতিদিনই সবজির দাম কমছে-বাড়ছে। তবে দাম কমেও সবজির দাম সহনশীল বলা চলে না। সবজি এখনো উচ্চ স্তরেই অবস্থান করছে। লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ১০০ টাকা, কালো গোল বেগুন ১২০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, উচ্ছে ৭০ টাকা, করলস্না ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, পটল ৫০-৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, ঝিঙা ৭০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০-৯০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ৭০ টাকা, চাল কুমড়া ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা, হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা করে।
এছাড়া আজকে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০৫০ টাকা কেজি দরে। আর বিভিন্ন দোকানে মুরগির লাল ডিম ১৬০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি ১৬৫-১৭০ টাকা, কক মুরগি ২৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৯০-২৯৫ টাকা, কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে মূলত ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট দায়ী। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট যে ভাঙা সম্ভব হয়নি, এখন সেটা স্পষ্ট। আমরা আশা করেছিলাম, নতুন প্রশাসনের অধীন সিন্ডিকেট তাদের দৌরাত্ম্য বজায় রাখতে পারবে না। তাই দাম আরও কমে আসবে। কিন্তু বাজারের চিত্র প্রায় একই।
মনে রাখতে হবে, সরকার পরিবর্তন হলেও বাজার সিন্ডিকেট এখনো সক্রিয়। দেশের অসাধু ব্যবসায়ীদের লোভী মানসিকতার এখনো কোনো পরিবর্তন হয়নি। কীভাবে তারা সাধারণ জনগণের পকেট কাটবে, সে চিন্তায় ব্যস্ত থাকে। এদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে।