১৯৬৯ সালের কথা, তখন ঔপনিবেশিক শাসনামল। স্বৈরশাসক আইয়ুব তখন দুর্দন্ড প্রতাপে শাসনকার্য পরিচালনা করে যাচ্ছেন। সে সময়ের গণ-আন্দোলনে তৎকালীন ছাত্র সমাজের ভূমিকায় দেশে উত্তাল গণজাগরণের সৃষ্টি হয়েছিল। ৫৫ বছর পরে ইতিহাসের যেন এক পুনরাবৃত্তি ঘটল। ইতিহাস যেন ছাইচাপা আগুন হয়ে সঠিক সময়ে তার কৃত্যাদি সম্পন্ন করার অপেক্ষায় প্রহর গুনছিল। পরিবেশ পরিস্থিতি সেই বিস্ফোরণের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ নির্ণায়কের ভূমিকা পালন করে থাকে মাত্র। এই লেখার প্রাক্কথনে আমার মনের কোণে পুঞ্জীভূত অসংখ্য কথার সারাংশ হিসেবে কিছু ঘটনার কথামালা সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরার প্রয়াস নিলাম। আমি সরকারি চাকরি শেষ করে ২০১৮ সাল থেকে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতা এবং একটি মাসিক পত্রিকার সম্পাদনা ও প্রকাশনার কাজ করে আসছি। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের ইংরেজি ও বাংলা কাগজে ৫০০ অধিক ইস্যুভিত্তিক কলাম মতামত ও ফিচার লিখেছি- যা সম্পাদকীয়, উপ-সম্পাদকীয় পাতায় জায়গা করে নিয়েছে। একে তো সরকারি চাকরিতে চাকরি করার কারণে এবং অন্যদিকে, মিডিয়া লাইনের ওপরে সরকারের চাপ ও হুমকিতে অনেক ক্ষেত্রেই সত্যকে প্রকাশ করা কষ্ট হতো। তবে যৌক্তিক বিশ্লেষণ থেকে কখনোই পিছপা হইনি। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের প্রবর্তনসহ বিভিন্ন কালা-কানুনে সাংবাদিকতা জগতে কালো মেঘ নেমে এসেছিল। জাতির দায়মুক্তি বা জনগণকে জাগাতে কলম যতটা ভূমিকা রেখেছে সেজন্য কলমকে অশেষ ধন্যবাদ।
প্রসঙ্গত উলেস্নখ্য যে, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহেবকে আমি ব্যক্তিগতভাবে জানতাম সরকারি চাকরির সুবাদে এবং অন্য এক বিশেষ কারণে। তার কাছে আমার সহজ প্রবেশাধিকার থাকার কারণে একবার তার কক্ষে বসে তৎকালীন আইজিপি বেনজীর সম্পর্কে একটি ধারণা দিতে ভুল করিনি। আমি তাকে অবগত করেছিলাম যে, নিয়োগকৃত নতুন আইজিপি একজন ধুরন্ধর ও দুষ্ট প্রকৃতির মানুষ। একজন প্রাইভেট ওয়াচার হিসেবে তার কর্মকান্ডের নেতিবাচক চিত্র আমার কাছে আছে। তার প্রতি আপনার একটা বিশেষ নজর রাখতে অনুরোধ করেছিলাম। তিনি রাষ্ট্রের ভালো সেবকের ভূমিকা পালন করবেন না। আমার এই ভবিষ্যৎ বাণী সেদিন ফলে ছিল। মন্ত্রী মহোদয় আমার এ কথাকে গুরুত্ব দেননি। তিনি এটাকে খুবই হালকাভাবে নিলেন। প্রকারান্তরে তিনি নাখোশই হয়েছিলেন। এক বছরের মাথায় আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে তার ওপর সেংশন ও ভিসা-নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। এ সেংশনের পরও তার ব্যাপারে কোনো বোধোদয় ঘটেছিল বলে আমার মনে হয় না। তার কর্তৃত্ব, ক্ষমতা ও দাম্ভিকতায় রাষ্ট্রের অনেক অপঘাত ঘটেছিল। তিনি দুর্নীতিকে শুধু প্রাতিষ্ঠানিকতাই দেননি, তার কর্মকান্ডে গোটা পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তির ওপরে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। একই কথা জেনারেল আজিজ সাহেবের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য ছিল। বেনজির-আজিজ এবং তাদের কার্যক্রম বিষয়ে ওই সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে দৈনিক বাংলা ও ইংরজি পত্রিকায় বেনজীর-আজিজ ইস্যু এবং পিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং দুর্নীতি প্রসঙ্গে কলামে আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছিল। আমার এই আর্টিকেল-এর মেসেজ গণ-অভু্যত্থানে কিছুটা হলেও ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া বিগত সরকারের তিন দফায় আমার পরিচিত এক সচিবকে তার অবসর সময়ের পরেও তিনবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। আবাসন, গৃহায়ণ, গণপূর্ত দপ্তরের ঘুষবাণিজ্য, অনিয়ম ও দুর্নীতি কেলেঙ্কারি খুবই ব্যাপকতা লাভ করেছিল। গণমাধ্যমে তা প্রকাশ হওয়ার পরিস্থিতি হলে সচিব খুব কৌশলে তাকে ঠেকিয়ে দেন। সূত্রের মাধ্যমে জানা যায় যে, তিনি তিন মেয়াদের চুক্তিবদ্ধ চাকরির জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানাকে দফায় দফায় শতের হিসেবে নয় বরং সহস্রের হিসেবে কোটি টাকার অঙ্ক প্রদান করেছিলেন। আর তিনি কতটা বাগিয়েছিলেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমান সরকার এগুলো আমলে নিয়ে বিচারের ব্যবস্থা করবেন আশা করছি। ১৯৯৪ সালের শেষে হঠাৎ করে বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর মধ্যে বৈষম্যের প্রশ্নে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। তারা রাজপথে নেমে আসে। সে সময় এটাকে আনসার বিদ্রোহ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল। এই বিদ্রোহে নিরহ আন্দোলনকারী আনসারদের দমনপীড়নের মাধ্যমে তাদের অনেকেই হতাহত হয়েছিল। এ ঘটনায় ২৫০০ জন ব্যাটালিয়ন আনসারকে চাকরিচুু্যত করা হয়। বর্তমানে তারা খুবই মানবতার জীবনযাপন করছে। তাদের ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার কথা পরবর্তী কোনো সরকারই বিবেচনা করিনি। সব সরকারই এই বাহিনীকে অবহেলা ও তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখেছে। অধিকার ও প্রাপ্য থেকে তাদের বঞ্চিত করেছে। তাদের সব সময় ব্যবহার করা হচ্ছে নব্য ঔপনিবেশিক দৃষ্টিতে। আর এসব অন্যায়ের অবসানের জন্যই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন।
এক নজরে আধুনিক বাংলাদেশ গঠনের প্রস্তাবনা :
ভূমিকা
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। আমরা ভৌগোলিক স্বাধীনতা পেলেও আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি আসেনি। স্বাধীনতার ৫৩ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। আমরা যে তিমিরে সেই তিমিরেই আবদ্ধ হয়ে আছি। জুলাই মাস ছিল বাঙালি জাতির এক ঐতিহাসিক পটপরিবর্তনের মাস। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফসল হিসেবে দীর্ঘদিনের নিপীড়ন ও দুর্নীতি মুক্ত এক নতুন বাংলাদেশের যেন অভু্যদয় ঘটল। একে অনেকটা দ্বিতীয় স্বাধীনতা প্রাপ্তির আখ্যান হিসেবে অখ্যায়িত করলেও ভুল হবে না। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ছিল এক ঐতিহাসিক আন্দোলন। এই আন্দোলনে স্বৈরাচারী শাসকের শোষণ, পীড়ন ও জুলুমের অবসান ঘটেছে বটে কিন্তু দেশ-জাতি কি এখনো ষড়যন্ত্র বা চক্রান্ত মুক্ত হয়েছে। সাধারণ জনগণের স্বস্তি, শান্তি আসবে কি? যাহোক অবশেষে বরফ গলেছে। স্বৈরাচারী শাসনের জগদ্দল পাথর চাপা থেকে আপাতত মুক্তি এসেছে। কিন্তু মুক্তির এই জাগরণকে বুকে ধারণ করে দেশপ্রেমিক হয়ে দেশ মাতৃকার সেবা ও তার পুনর্গঠনের মনোযোগ নিবদ্ধ করার সময় এসেছে। বিগত ০৮/০৮/২০২৪ইং তারিখে ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এক অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে এবং তাকেই সরকার পরিচালনার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। তিনি যথার্থই একজন অভিজ্ঞ ও বিদগ্ধ মানুষ। তিনি আধুনিক ধারণায় সমৃদ্ধ একজন জ্ঞানী মানুষ। তার বিভিন্নমুখী ধারণা থেকে সংকলনকৃত একটি ধারণা নিম্নে তুলে ধরা হলো :
'ঔড়ন রং ধ ৎিড়হম রফবধ. উড়হ্থঃ বাবৎ ষড়ড়শ ভড়ৎ ধ লড়ন, ধষধিুং :বষষ ুড়ঁৎংবষভ :যধঃ ও্থস ধ লড়ন পৎবধঃড়ৎ, ও্থস হড়ঃ ধ লড়ন ংববশবৎ.'
ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের এই ঐতিহাসিক বাণীকে অনুসরণ করে অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও জাতিকে এগিয়ে যেতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারকে সুষ্ঠু পরিকল্পনায় সংস্কার ও বাস্তবভিত্তিক কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে জাতি গঠনমূলক কাজের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে সমতা সামাজিক উন্নয়ন ও কল্যাণ সমিতি এবং মাসিক বিশ্বায়ন পরিবার একটি আদর্শ জাতি রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে বাস্তব কর্মসূচিভিত্তিক নিম্নোক্ত প্রস্তাবনার সুপারিশ করছে।
প্রস্তাবনাসমূহ :
১। স্থানীয় সরকারের পুনর্গঠন ও সংস্কার। এ কর্মসূচির আওতায়
ক) প্রথমেই একটি জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠনের করা যেতে পারে।
খ) প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসক (উরংঃৎরপঃ এড়াবৎহড়ৎ) নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। জেলা প্রশাসনে ক্যাডার ভিত্তিক বিভিন্ন পদে পদায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করা যেতে পারে। অর্থাৎ জেলা প্রশাসনে সব কর্মকর্তাকে প্রশাসন ক্যাডার থেকে যাতে পদায়ন না করা হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। ডেপুটি কমিশনার পদটিকে বছর বছর চক্রাকারে অন্য ক্যাডারের যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মকর্তা নিযুক্তি দিতে হবে। একই কথা উপজেলার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য- যাকে প্রশাসনিক সংস্কার হিসেবে গণ্য করা যাবে।
২। স্থানীয় সরকারের বিন্যাস হিসেবে গ্রামকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে- যার নাম হবে পলস্নী পঞ্চায়েত ব্যবস্থাপনা। এখানে প্রতিটি গ্রামের কমিটিতে সৎ, নিষ্ঠা ও আর্দশবান মানুষকে কমিটিভুক্ত করতে হবে। বিভিন্ন কমিটি হিসেবে উলেস্নখযোগ্য হচ্ছে গ্রাম নিরাপত্তা পরিষদ, পরিবেশ পরিষদ, গ্রাম শিক্ষা পরিষদ, গ্রাম স্বাস্থ্য পরিষদ, পলস্নী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক পরিষদ। জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল এসব পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রমের পরিচালনা, দেখাশুনা ও মনিটরিংয়ের দায়িত্ব পালন করবে।
৩। জনপ্রশাসনকে আমলানির্ভরতা কমাতে হবে। আমলা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। আমলাদের পদায়ন হবে প্রতিযোগিতামূলক পদোন্নতি পরীক্ষার মাধ্যমে।
৪। একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে। প্রাথমিকভাবে সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজের বিদ্যমান কমিটিকে ভেঙে দিয়ে উপজেলা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে স্কুল-কলেজের পরিচালনা বোর্ড গঠনের দায়িত্ব পালন করতে হবে। যা প্রকারান্তরে বৈষম্যমুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।
৫। জাতীয় প্রশিক্ষণ নীতিমালা তৈরি করে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিল গঠন করতে হবে।
৬। জাতীয় স্বাস্থ্য ও জনস্বাস্থ্যবিষয়ক কমিশন গঠন করে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে।
৭। বিভিন্ন সাংবিধানিক কমিশনের পুনর্গঠন ও সংস্কার আবশ্যক। যেমন দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন, নির্বাচন কমিশন ইত্যাদি।
৮। পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিশন গঠন ও সংস্কার আবশ্যক।
৯। জাতীয় ক্রীড়া ও যুব উন্নয়ন কমিশন আবশ্যক। ক্রীড়া ও যুব উন্নয়নের ক্ষেত্রে ট্যালেন্ট হান্টিং কর্মপরিকল্পনার জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া, বিদ্যমান সব ক্রীড়া পরিষদের কাঠামো ভেঙে সংস্কারের পদক্ষেপ করতে হবে।
১০। জাতীয় আইন ও বিচার কমিশনসহ বিভিন্ন কমিশনকে ঢেলে সাজাতে হবে। যেমন: এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন, জাতীয় তথ্য কমিশন এবং মানবাধিকার কমিশন ইত্যাদি।
১১। জাতীয় বোর্ড অব রেভিনিউ পুনর্গঠন ও সংস্কার আবশ্যক।
১২। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিকতা প্রদানের লক্ষ্যে নিবিড় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১৩। শিল্পকলকারখানাসমূহকে জাতীয়করণ করতে হবে। শিল্প বোর্ডের সংস্কার আবশ্যক।
১৪। জাতীয় ব্যবসাবাণিজ্য কমিশন গঠন আবশ্যক। বিনিয়োগ বোর্ডকে পুনর্গঠন ও নতুন করে সাজাতে হবে।
১৫। বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নে বিভাগওয়ারী বিভিন্ন করপোরেশনকে ঢেলে সাজাতে হবে। যেমন : কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, শিল্প উন্নয়ন করপোরেশন ইত্যাদি।
১৬। জাতীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের পুনর্গঠন ও সংস্কার আবশ্যক। জাতীয় নদী কমিশনকে ঢেলে সাজাতে হবে।
১৭। ব্যাংকের স্বচ্ছতার জন্য বিভিন্ন কমিটি ও বোর্ডের পুনর্গঠন ও সংস্কার আবশ্যক।
১৮। ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচিকে ঢেলে সাজাতে হবে।
১৯। সমবায়ের মাধ্যমে উৎপাদনমুখী কর্মসংস্থান ও এন্টারপ্রেনারশিপের বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
২০। পরিবেশবান্ধব সময়োপোযোগী কর্ম-পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
২১। সমুদ্র সম্পদ আহরণের বিষয়ে গঠনমূলক ও গবেষণা সমৃদ্ধ পকিল্পনা ও কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
প্রস্তাবিত ভিশন (ারংরড়হ) ২০৫০-এর আলোকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মিশন (সরংংরড়হ) হোক- 'সম্মান, স্বনির্ভরতা ও সমৃদ্ধি অর্জন'- যা তিন- স বা থ্রি- এস (৩-ঝ) হিসেবে পরিচিত হবে। আসুন, এই ভিশন ও মিশন অর্জনে মানবতা, দেশপ্রেম ও ভালোবাসার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ওপরে বর্ণিত প্রস্তাবিত ২১টি সুপারিশের বাস্তবায়নপূর্বক একটি সুন্দর ও আধুনিক বাংলাদেশ গঠনে ব্রতী হই। বাংলাদেশ গঠন ও জেনারেশন-জি (এবহবৎধঃরড়হ-ত)-এর স্বপ্ন পূরণকল্পে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার মডেল ২০৫০-এর প্রস্তাবনাকে গাইডলাইন হিসেবে বিবেচনায় রেখে জাতি গঠনের ভূমিকায় অঙ্গীকারাবদ্ধ হবে।
ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ :সাবেক উপ-মহাপরিচালক, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, কলামিস্ট ও গবেষক