স্বাধীনতার সীমাবদ্ধতা
প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
সিদরাতুল মুনতাহা
১৯৭১ এরপর আবারও ২০২৪ সালে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্বাধীনতার স্বাদ পেল। বলা হয় স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। কথাটির সত্যতা সচক্ষে দেখা হলো ২০২৪-এর ছাত্রদের গণঅভু্যত্থানের মধ্য দিয়ে। আমরা ত্রিশ লাখ শহীদের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে যে স্বাধীনতা লাভ করেছিলাম যা যথাযথভাবে রক্ষা করতে না পারার ফল হিসেবে আবারও আমাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে হয়েছে। স্বৈরাচারের পতনের মধ্য দিয়ে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি। তবে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই এমন নানা ঘটনা দেশে ঘটে চলেছে যা স্বাধীনতার স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। স্বাধীনতা বলতে আমরা বুঝি স্বেচ্ছাধীন থাকা, কোনো বাধা বা সংযম ছাড়া নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কথা বলা, কাজ করা। তবে একজনের স্বাধীনভাবে করা কাজ যাতে অন্যের ক্ষতি না করে সেটা অবশ্যই উলেস্নখযোগ্য বিষয়। তবে দেখা যায়, স্বাধীনতার এই সঙ্গাটি আমরা অনেকেই যথাযথভাবে প্রয়োগ করি না যেটার ফলস্বরূপ সমাজে প্রতিনিয়ত নানা বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। একজনের স্বাধীনভাবে উপস্থাপন করা মতের বিরুদ্ধে অন্যজনের দ্বিমত ও শোনা যায় যা প্রকাশ করাকে আমরা স্বাধীনতারই বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করি। একটা মতের বিরুদ্ধে অন্য মত তৈরি হওয়া কিংবা সবার সহাবস্থান না থাকাটাই স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করে। আমাদের কথাবার্তা, কাজকর্ম থেকে শুরু করে সবকিছুর জন্য নির্দিষ্ট কিছু আইন রয়েছে যেটার প্রয়োগ আমাদের স্বাধীনভাবে চলাচলকে সীমাবদ্ধ করে তোলে। যতদিন নির্দিষ্ট মতাদর্শের বিপরীতে ভিন্নমত তৈরি হতে থাকবে ততদিন স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ থাকবে। আর স্বাধীনতার এই স্বীমাবদ্ধতাকে মাথায় রেখে আমাদের স্বাধীনতা ভোগ করতে হবে। অবাধ স্বাধীনতার প্রয়োগ যেন ব্যক্তি, সমাজ বা জাতির ক্ষতির কারণ হয়ে না দাঁড়িয়ে পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে যাতে আবার অর্জিত স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলতে না হয়।
সিদরাতুল মুনতাহা
শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা