নিত্যপণ্যের বাজার তদারকি বাড়াতে হবে
প্রকাশ | ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
অনলাইন ডেস্ক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ভিন্ন এক চিত্র দেখা গিয়েছিল দেশের কাঁচাবাজারে। তখন বেশকিছু পণ্যের দাম কমেছিল। পণ্য সরবরাহ বাড়ায় নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসতে শুরু করেছিল। মাছ-মাংস ও সব ধরনের সবজির দাম আগের চেয়ে কমেছিল। এখন আবার বর্ষা বন্যা ও সরবরাহ সংকটের দোহাই দিয়ে শাকসবজির দাম বাড়ানো হয়েছে। সোনালি ও ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমলেও কমেনি মাছের দাম। আলু পেঁয়াজ ও চালের দাম আগের অবস্থানে আছে। দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আলুর কেজি আগের মতোই ৬০ টাকা। রসুনের দামও ২০০ টাকা কেজির ওপর। বাজারে মাছের দাম আগের মতোই চড়া। পটোল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি, ঢঁ্যাড়শের কেজিও ৫০ থেকে ৬০ টাকা। তবে পেঁপের দাম কমেছে, বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজিতে- যা ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। এমনকি কাচামরিচের ঝাঁজও কমতে শুরু করেছে। কদিন আগেও এর দাম ছিল প্রতি কেজি ৩৮০ টাকার ওপরে, এখন ৩০০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি বেগুন যেখানে বাজারভেদে ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেখানে এখন এলাকাভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। তবে কাঁকরোল বরবটি করলা এখনো ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, আগের মতোই মিনিকেট ৭০-৭৫ টাকা, আটাশ চাল ৬০ টাকা, মোটা চাল ৫২ টাকা থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। বাংলা বাসমতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজিতে।
এ কথা কোনোভাবেই অস্বীকার করার উপায় নেই, পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে মূলত ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট দায়ী। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট যে ভাঙা সম্ভব হয়নি, এখন সেটা স্পষ্ট। আমরা আশা করেছিলাম, নতুন প্রশাসনের অধীন সিন্ডিকেট তাদের দৌরাত্ম্য বজায় রাখতে পারবে না। তাই দাম আরও কমে আসবে। কিন্তু বাজারের চিত্র প্রায় একই। সবার আগে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। আগে যারা চাঁদাবাজি করত তারা সামনে নেই। নতুন কেউ যেন আবার পরিবহণ থেকে চাঁদাবাজি শুরু করতে না পারে সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
আমরা মনে করি, দেশে উৎপন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত সব পর্যায়েই মনিটরিং থাকতে হবে- যাতে কেউ কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াতে না পারে। দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানার জন্য সরকারের দায়িত্বশীল যেসব সংস্থা আছে, সব সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে সরকার পরিবর্তন হলেও বাজার সিন্ডিকেট এখনো সক্রিয়। দেশের অসাধু ব্যবসায়ীদের লোভী মানসিকতার এখনো কোনো পরিবর্তন হয়নি। কীভাবে তারা সাধারণ জনগণের পকেট কাটবে, সে চিন্তায় ব্যস্ত থাকে। এদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে এবং এর কোনো বিকল্প নেই।