সূক্ষ্ণ সংস্কারে সংক্ষিপ্ত সময়
তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে স্বায়ত্তশাসনের সংস্কার। প্রতিটি স্বায়ত্তশাসিত কাঠামো তাদের লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে লক্ষ্য স্থিরকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে শুরু করে নীতিমালা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন ও প্রয়োগ সবই তারা করবে। এখানে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান তাদের কর্ম-পরিকল্পনার অনুমতি ও অর্থ সহযোগিতা সরকার থেকে পাস করিয়ে নেবে এবং তাদের কাজের ফলাফল সরকার কোনো তৃতীয় পক্ষ দিয়ে তদন্ত করিয়ে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেবে।
প্রকাশ | ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
মো. তবিউর রহমান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যৌক্তিক সব স্স্নোগান, পোস্টার, ফেস্টুন ইত্যাদির মধ্যে চোখ না এড়ানোর মতো একটি কথা ছিল- রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ চলছে, সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত। আন্দোলন সম্পর্কিত সমস্ত কথা ও কাজকে সমন্বিত করে আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ফুটিয়ে তুলতে সংস্কারের কথাটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। রাষ্ট্রের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ এ সংস্কারের কাজে একটু-আধটু অসুবিধা হতেই পারে। কারণ রাষ্ট্র সংস্কারের ক্ষেত্রে সযতনে তুলে রাখা কোনো জিনিস ডাস্টবিনে যেতে পারে আবার ডাস্টবিনের অন্ধকারে রাখা পরিত্যক্ত জিনিসও রাষ্ট্রের প্রয়োজনে সংরক্ষিত হতে পারে। অর্থাৎ ডাস্টবিনের মতো নিম্ন স্তরের বিষয় থেকে শুরু করে সোনায় বাঁধানো সর্বোচ্চ স্তরের বিষয়ে পর্যন্ত হাত দেয়া লাগতে পারে রাষ্ট্র সংস্কারের স্বার্থে। প্রয়োজনীয় এ সংস্কারের জন্য প্রয়োজন বিরতিহীন সময় ও সহযোগিতা। দেশের টেকশই উন্নয়নে রাষ্ট্র সংস্কারের বিরতিহীন যাত্রায় বিরক্ত না হয়ে তাই ধৈর্য ধরতে হবে, পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে।
সংস্কার কেন দরকার তা স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হয়ে উঠছে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের পালিয়ে যাওয়া, ধরা দেয়া এবং গ্রেপ্তার হওয়ার মধ্য দিয়ে। এ অবস্থায় রাষ্ট্রের কোথায় কি সংস্কার দরকার সে তালিকা করতেই হয়ত কয়েক মাস লেগে যাবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। উপদেষ্টারা 'আলাদ্দীনের আশ্চর্য প্রদীপ' গল্পের প্রদীপ পেয়ে যাননি যে, প্রদীপে ঘষা দিতেই সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। দেশ যখন সমস্যায় জর্জরিত তখন সব সমস্যাতে একসঙ্গে হাত দেয়াই ঠিক না যদিও তা সংস্কারের সুযোগ থাকে। কারণ স্বার্থে আঘাত এলে স্বার্থবাদীরা একসঙ্গে বিপরীতমুখী আচরণ শুরু করতে পারে। তাই প্রাধান্যতার ভিত্তিতে সতর্কতার সঙ্গে সংস্কার করা দরকার। নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) একটি পথভ্রষ্ট জাতিকে কীভাবে সঠিক পথে এনেছেন তা থেকে শিক্ষা নেয়া যায়। যেমন মদ্যপ অবস্থায় নামাজের ধারে কাছে আসতে নিষেধ করেছেন সবার আগে, এরপর কেনাবেচা নিষেধ করেছেন, তারপর সম্পূর্ণরূপে হারাম করেছেন। মদের মতো একটা হারাম জিনিসকেও তিনি একবাক্যে হারাম করেননি বরং ধীরে ধীরে সহনীয় পর্যায়ে এনে তারপর হারাম করেছেন- ঠিক যেমন আজকের মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রগুলো করে থাকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে। আমাদের চলমান সমস্যাগুলোও এভাবে প্রাধান্যতার ভিত্তিতে বিজ্ঞানসম্মভাবে সংস্কার করতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজন সময়- যা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দিতে হবে। নির্বাচিত সরকার এসে সংস্কার করবে আশা করার আগে ইতিহাস দেখে বুঝতে হবে যে, সে সরকাররা কোন স্বার্থে কী সংস্কার করেছে।
রাষ্ট্র সংস্কারের প্রধান জায়গাগুলো হচ্ছে- দেশের সংবিধান, রাজনৈতিক আচরণ, স্বায়ত্তশাসন, বিচার ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা ও জনগণের অধিকার। দেশের টেকশই উন্নয়নে এ ছয়টি বিষয় সংস্কার করে নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। প্রথমত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন 'সংবিধান' সংশোধন করার ক্ষমতা কেন সংসদ সদস্যদের হাতে থাকবে? নির্বাচনই যখন অবৈধ বা কারচুপির অভিযোগে প্রশ্নবিদ্ধ তখন সে নির্বাচনের সাংসদদের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন হয় কীভাবে? আবার বৈধভাবে নির্বাচন হলেও যারা নির্বাচিত হন তাদের কতজন সংবিধান বোঝেন এবং সংশাধনের যোগ্যতা রাখেন? সংসদে দাঁড়িয়ে যে সদস্য লিখে দেয়া কথাগুলো ঠিকমতো রিডিং পড়তে পারে না, যাত্রাপালা/সার্কাসের মতো বিষয়ের উন্নয়নের কথা বলে ভোট পেয়ে যারা নির্বাচিত হয় অথবা বিড়ি, চা, চানাচুর নগদ টাকা বা অন্য কোনো প্রলোভন দেখিয়ে যারা ভোট ক্রয় করে নির্বাচিত হয় সেই সব সদস্যের হঁ্যা চিৎকারের আওয়াজ শুনে বা মাথা গুনে একটি দেশের সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ আইন সংস্কার হওয়া খুবই দুঃখজনক। দেশের প্রয়োজনে সংবিধান পরিবর্তন হতেই পারে কিন্তু কারা করবে তাদের কোয়ালিফিকেশন ঠিক করা দরকার। সংস্কারের বিষয় সংবিধানে যেভাবেই থাক না এখন তা সংস্কার করে এমনভাবে লক করা দরকার যাতে রাজনৈতিক কোনো দল তাদের স্বার্থে কোনোভাবেই পুনরায় সংস্কার করতে না পারে।
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, রাজনৈতিক আচরণের সংস্কার। যারা নির্বাচিত হয়ে দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তাদের কেন ক্ষমতাসীন দল বলা হয়? দেশ ও মেহনতি মানুষের সেবা করার সুযোগ করে দেয়ার আবেদনে যারা ভোট চায়, নির্বাচিত হয়ে তারা হবে দেশ ও মানুষের সেবক, ক্ষমতাধর নয়। ক্ষমতার বিচার করতে সাধারণত পেশি শক্তি বোঝায়- যা হিংস্র পশু আর মানুষের ক্ষেত্রে ডাকাতদের থাকে। সেবকদের ক্ষমতাসীন হিসেবে দেখার কারণে তাদের অনেকে নিজেদের বিশাল ক্ষমতাবান মনে করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে হিংস্র পশু বা ডাকাতের মতো আচরণ করে। আবার শাসক বা শাসন ক্ষমতার অধিকারী বলেও অভিহিত করা হয় তাদের। আচ্ছা, দেশের মানুষ কি সব চোর-ডাকাত যে, শাসন করার জন্য এরকম শাসক দরকার? দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে কী জন্য? দেশ ও মানুষের দেখভালের দায়িত্ব আমরা দিয়েছি- তাই তারা বড়জোর দেশ ও মানুষের সেবক হতে পারে। তাদের মন-মস্তিস্কে এটাই সেট করাতে হবে যে তার ক্ষমতাসীন নয়, শাসকও নয় বরং তারা সেবক। তাদের মন্ত্রণালয়গুলোর নাম সংস্কার করে রাখা দরকার সেবা মন্ত্রণালয়। যেমন যুব ও ক্রীড়া সেবা মন্ত্রণালয় এবং এর মন্ত্রীর পদবি হওয়া উচিত যুব ও ক্রীড়া সেবকমন্ত্রী। একইভাবে শিক্ষা সেবা মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রীর পদবি হওয়া উচিত শিক্ষা সেবক মন্ত্রী।
তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে স্বায়ত্তশাসনের সংস্কার। প্রতিটি স্বায়ত্তশাসিত কাঠামো তাদের লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে লক্ষ্য স্থিরকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে শুরু করে নীতিমালা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন ও প্রয়োগ সবই তারা করবে। এখানে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান তাদের কর্ম-পরিকল্পনার অনুমতি ও অর্থ সহযোগিতা সরকার থেকে পাস করিয়ে নেবে এবং তাদের কাজের ফলাফল সরকার কোনো তৃতীয় পক্ষ দিয়ে তদন্ত করিয়ে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেবে।
স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানটি ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলেই কেবল সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এর বাইরে সরকারের যে কোনো প্রকার জবরদস্তিমূলক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা প্রয়োজন- যাতে স্বায়ত্তশাসিত কোনো প্রতিষ্ঠানে সরকার তার নিজেস্ব কোনো দখলদারি খবরদারি করতে না পারে এবং লেজুড়বৃত্তির লোকও নিয়োগ দিতে না পারে। আর এভাবে পুলিশ প্রশাসনসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব প্রতিষ্ঠানকে স্বায়ত্তশাসিত করে নীতিমালা করা প্রয়োজন- যা পরবর্তী সময়ে যে কোনো সরকার মেনে চলতে বাধ্য হয়।
চতুর্থ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, বিচার ব্যবস্থার সংস্কার। দেশের আইন ও বিচার ঠিক তো সব ঠিক। আইনের সমস্ত ফাঁকফোকর বন্ধ করে আইন প্রয়োগের মধ্যে স্বচ্ছতা আনতে হবে। অপরাধ অনুযায়ী উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত হতে হবে। ভেজাল খাবারের ব্যবসা করে যে লোক দেশের অনেক মানুষকে ক্যানসারের ঝুঁকিতে ফেলে দিল আর যে লোক রাস্তায় একজনকে এক্সিডেন্ট করে আহত করে ক্যানসারের ঝুঁকিতে ফেলে দিল উভয়ের শাস্তির ব্যবধান কতটুকু হওয়া দরকার? অবশ্যই ভেজাল ব্যবসায়ীর শাস্তি অনেক বেশি হওয়া উচিত কিন্তু হয় তার উল্টাটা। ভেজাল ব্যবসায়ীর অল্প জরিমানায় মাফ কিন্তু এক্সিডেন্টকারীর জেল জরিমানা সব। এরকম অবিচারই শুধু নয়, বিচারের দীর্ঘসূত্রিতাও দূর করতে হবে। বিভিন্ন সময় সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা ওঠে কিন্তু সময়মতো ও যথাযথ বিচার না হওয়ায় এ ধরনের হামলা নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। দেশে এ পর্যন্ত যত সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়েছে তার উপযুক্ত বিচার হওয়ার এখনই সময়। প্রয়োজনে বিশেষ ট্রাইবু্যনাল দিয়ে বিচারের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। এভাবে সুবিচারের মাধ্যমে সর্বত্র আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়োজনীয় সংস্কার করা দরকার।
পঞ্চম, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার। উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিদের উচ্চাভিলাষের বলি 'শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড' কথাটি। কারণ বড় বড় ডিগ্রিধারীর মেরুদন্ডতেই সমস্যা বেশি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের পদত্যাগ ও পালায়নের লাইন আর উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তির জালিয়াতি/দুর্নীতির পক্ষে অনেকের ওকালতিমূলক বিবৃতিই প্রমাণ করে যে, অর্জিত উচ্চশিক্ষা তাদের মেরুদন্ডকে সোজা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। আসলে শিক্ষা ক্ষেত্রের নিম্নস্তর থেকে শুরু করে উচ্চস্তর পর্যন্ত আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় বস্তুর ব্যবহার নিয়ে যতটা পড়ানো ও বোঝানো হয় ব্যক্তির নিজের ব্যবহার নিয়ে তার সামান্যও হয় না যে, হে মানুষ! তুমি তোমাকে এভাবে ব্যবহার করবে যাতে অন্যের ক্ষতিসাধন না হয়। স্বাধীনতার এত বছর পরে এসেও কি আমরা বুঝতে পারলাম না যে আমাদের শিক্ষার্থীদের কোন বয়সে কী শেখাতে হবে যে বছর বছর বই চেঞ্জ করতে হয়? এই অনৈতিক ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। যে শিক্ষকরা অনৈতিক কাজ থেকে বিরত রাখতে ছাত্রদের তালিম দেবে সে শিক্ষকদের অনেকেই অনৈতিকভাবে অপরের ক্ষতি করতে ব্যস্ত। এর জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি বিশেষভাবে দায়ী। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এই শিক্ষক রাজনীতি ও ছাত্ররাজনীতি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় শিক্ষা ব্যবস্থায় যত সংস্কারই হোক না কেন, তা টেকশই হবে না- যদি শিক্ষা গ্রহণের উপযুক্ত পরিবেশ ক্যাম্পাসে বজায় না থাকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের রাজনীতির কারণে।
ষষ্ঠ, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে নাগরিক অধিকারের সংস্কার। দেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার, ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার, নায্যমূল্যে পণ্য পাওয়ার অধিকার এবং সরকারিসহ বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সেবা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কেউ কাউকে উপকার করবে এটা তার দায়িত্ব মনে না করলেও তার দ্বারা যেন কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে উপযুক্ত বিচারের মাধ্যমে তার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা থাকতে হবে। 'তোমার দ্বারা কারো কোনো উপকার না হলেও কোনো প্রকার ক্ষতি যেন না হয়' রাসূল (স.) এই একটি কথা মেনে চললেই মানুষের অধিকার রক্ষার আর কোনো মন্ত্র লাগে না। অধিকারের স্বাধীনতায় আবার যে যা ইচ্ছা বলতে বা করতে যাতে না পারে তারও সীমাবদ্ধতা থাকা জরুরি।
সংস্কার শব্দটি শুনতে খুব ছোট মনে হলেও দেশের এ অবস্থায় সংস্কার করা অনেক কঠিন ও সময় সাপেক্ষ কাজ। আর এ সংস্কার যদি হয় আপাদমস্তক তবে কত কঠিন ও সময়সাপেক্ষ সে কাজ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই অন্তর্বর্তীকালীন এ সরকরকে যথেষ্ট সময় দিতে হবে সহযোগিতা করতে হবে- কারণ আমরা চাই, ফাঁকফোকরবিহীন সূক্ষ্ণ সংস্কার। সূক্ষ্ণ সংস্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত সময় যথেষ্ট নয়। তবে সংস্কারের নামে সময় দীর্ঘায়িত করাও কাম্য নয়। অন্যথায়, আজ যারা যাকে শত্রম্ন মনে করছে তারাই আবার হাতে হাত মিলিয়ে আন্দোলনে নেমে যেতে পারে, দেশে আবার অস্থিতিশীল পরিবেশ চলে আসতে পারে। মানুষ আস্থা হারাতে পারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর থেকে। তাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকারকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়াও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গুরু দায়িত্ব।
মো. তবিউর রহমান :কলাম লেখক