পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ জরুরি

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
পণ্যমূল্যের দাম অসহনীয় বা ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে না থাকলে তা কতটা উদ্বেগজনক বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ে। এছাড়া এ কথাও বলা দরকার, বিভিন্ন সময়েই কারসাজি, বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যসহ বিভিন্ন কারণে নিত্যপণ্যের মূল্য অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাওয়ার অভিযোগ আছে। ফলে, এই বিষয়গুলো এড়ানো যাবে না। প্রসঙ্গত, কিছু কিছু পণ্যের মূল্য কিছুটা কমলেও বাজারে এখনো উত্তাপ আছে এমন খবর সাম্প্রতিক সময়ে উঠে এসেছে। আবার কোনো কোনো পণ্যের দাম কমলেও খুচরা পর্যায়ে তার প্রভাব পড়েনি বলেও জানা যাচ্ছে। সঙ্গত কারণেই সার্বিকভাবে বাজার পরিস্থিতি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি বলেই প্রতীয়মান হয়। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের বিষয়টি উৎপাদন ও সরবরাহের সঙ্গে সম্পর্কিত। দেশে কোনো পণ্যের উৎপাদন কম হলে যতটা সম্ভব আমদানি করতে হবে। সাধারণ মানুষ যেন চাপে না পড়ে, তা নিশ্চিত করা হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়ে কী কী করা দরকার, সরকার সে বিষয়ে সজাগ আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আমরা মনে করি, এটি ইতিবাচক। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কর্তব্য হওয়া দরকার, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে করণীয় নির্ধারণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। এছাড়া, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে সরকারি কর্মচারীরা রেশন চাইলে কী করা হবে এবং এ ক্ষেত্রে বেসরকারি চাকরিজীবীদের কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছেন, তার কাছে সবাই সমান। সবাই যেন শোভনভাবে জীবনযাপন করতে পারেন, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে। আমদানির বিষয়ে বলেছেন, মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে বলা হয়, অনেক ক্ষেত্রে তা আমদানিবাহিত। এ বিষয়ে সরকার সচেতন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন। আমরা বলতে চাই, বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হলে স্বল্প আয়ের মানুষের দুর্ভোগ চরমে ওঠে এবং বিপর্যস্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। ফলে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে পণ্যের মূল্য নির্ধারণে সচেষ্ট হতে হবে। নানা সময়ে নানা ধরনের অভিযোগ অনিয়ম সামনে এসেছে। বিশেষ করে বাজার সিন্ডিকেটসহ বিভিন্ন নানা চক্রের দৌরত্ম্য সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়েছে। নানারকম কারসাজি করে পণ্যের মূল্য বাড়ানোর অভিযোগও উঠেছে বিভিন্ন সময়ে। সঙ্গত কারণেই এসব বিষয়গুলো আমলে নিয়ে ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে। কোনো চক্র বা অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন ইচ্ছামতো মূল্য বাড়াতে না পারে, ক্রেতাদের জিম্মি করতে না পারে- এ জন্য প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বলা দরকার, প্রকাশিত খবরে জানা যাচ্ছে যে, বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরও কিছুটা সময় দেওয়ার কথা বলছেন ক্রেতারা। তারা বলছেন, এখনো পণ্যের দাম আগের মতোই। কয়েকটি সবজির দাম কমলেও বেশিরভাগ সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। চাল, ডালের দাম আগের মতোই আছে। আবার ক্রেতাদের কেউ কেউ বলছেন, গেল কয়েক বছরে বাজার যেভাবে নিয়ন্ত্রণহীন, মাত্র কয়েক দিনেই সেই বাজারে পণ্যের দাম নাগালে আসবে এমনটি ভাবা ঠিক নয়। গত শুক্রবারে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম দুই থেকে পাঁচ টাকা কমেছে বলে জানা যায়, তবে এর কোনো প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। অপরিবর্তিত আছে আলু, আদার দাম। বেড়েছে কাঁচা মরিচের দামও এমন আলোচনা উঠে এসেছে। ফলে, সার্বিক পরিস্থিতি আমলে নেওয়া জরুরি। সর্বোপরি আমরা বলতে চাই, অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছেন, সাধারণ মানুষ যেন চাপে না পড়ে, তা নিশ্চিত করা হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়ে কী কী করা দরকার, সরকার সে বিষয়ে সজাগ আছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক বলেই আমরা মনে করি। একইসঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে। কোনো অসাধু চক্র বা অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন ক্রেতাদের জিম্মি করতে না পারেন সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। সার্বিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত হবে এমনটি কাম্য।