পাঠক মত
বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস উৎসের স্থাপনাগুলোকে রক্ষা করুন
প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
খালিদ আহমেদ মাধাই খামার, লোহানিপাড়া, বদরগঞ্জ. রংপুর
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মাধ্যমে বাংলার মানুষ নতুন এক বাংলাদেশের মুখ দেখতে পাই। হা-শূন্য বাংলার মানুষ আবারও নতুুন করে এক স্বপ্নের বীজ বোনা শুরু করে। কিন্তু এই নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে কিছু কুচক্রী মহল মিশে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো লুটপাট ও ধ্বংস করতে থাকে। তারা লুটপাট ও ভাঙচুর করে সংসদ ও গণভবনের মতো রাষ্ট্রীয় স্থাপনাগুলোকে। আর এই ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগে বাদ পড়েনি রাজনৈতিক কবি নামে খ্যাত, বক্তৃতা ও নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্ব আলোড়ন সৃষ্টিকারী নেতা, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক ও মুক্তিযুদ্ধের মহান নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটা। যে বাড়িতে ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানার জন্য অসংখ্য অলিখিত উৎস। যে অলিখিত উৎসগুলো অনেক দরকারি ছিল দেশি-বিদেশি লেখক ও পর্যটকদের কাছে। ধ্বংস হওয়া রাষ্ট্রীয় অন্যান্য স্থাপনার মধ্যে ধানমন্ডি ৩২ এর বাড়িটার বিষয়টি আলাদাভাবে আলোচনা করতে হয় এ কারণে যে সংসদ ও গণভবনের লুট হওয়া মালামাল চাইলে টাকা খরচ করে ফিরে পাওয়া যাবে, কিন্তু ধানমন্ডি ৩২ এর পুড়ে যাওয়া মালামাল চাইলেই টাকা খরচ করে ফিরে পাওয়া যাবে না। ৩২ নম্বরের বাড়িটাতে মালামাল ছিল বললে তা ভুল হয়ে দাঁড়াবে; সেখানে ছিল বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সম্পর্কে জানার জন্য অসংখ্য অলিখিত অদ্বিতীয় উৎস, যে উৎসগুলো চাইলেও আর ফিরে পাওয়া যাবে না। যদি রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব কলহের কারণে এভাবে ইতিহাসের জীবন্ত উৎসগুলো বিলীন হতে থাকে, তাহলে ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের অভাব হয়ে পড়বে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পড়তে হবে বিকৃত করা ইতিহাস। তাই বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকের উচিত ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির মতো বাংলাদেশের যতগুলো তথ্যবহুল স্থাপনা আছে সেগুলো প্রাণপণে রক্ষা করা। বর্তমান দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি রইল পুড়ে যাওয়া ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটার যতটুকু অবশিষ্টাংশ পড়ে আছে, সেই অবশিষ্টাংশটুকু অতিসত্বর সংরক্ষণ করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিন। এ ছাড়া বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে যেসব স্থাপনা জড়িত আছে সেগুলোকেও সংরক্ষণ করার জন্য অতিসত্বর ব্যবস্থা নিন।
শেখ আব্দুলস্নাহ
শিক্ষার্থী
ঢাকা কলেজ, ঢাকা
মায়েরা অল্প সময়ের জন্য তাদের সন্তানদের হাত ধরে রাখে, কিন্তু তাদের হৃদয় চিরকালের জন্য।
খালিদ আহমেদ
মাধাই খামার, লোহানিপাড়া, বদরগঞ্জ. রংপুর