বিপস্নব-পরবর্তী রাষ্ট্রীয় সংস্কার

সংস্কার একটি চলমান ও ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, এর চলমানতা বজায় রাখতে হবে। কারণ রাষ্ট্র ও সমাজের সামগ্রিক পরিবর্তন সময়সাপেক্ষ। তড়িগড়ি রাজনৈতিক কাঠামোর পরিবর্তন সাধন করা গেলেও মানুষের মন ও দৃষ্টিভঙ্গি এবং সেই সঙ্গে মূল্যবোধের পরিবর্তন হয় না। যার ফলে, রাজনৈতিক বিপস্নবের সুফলগুলো সাময়িক আকার ধারণ করে অর্থাৎ দীর্ঘ মেয়াদি সুফল পাওয়া যায় না।

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

অমল বড়ুয়া
রাষ্ট্রহীন মানুষ প্রথমে সংগ্রাম করেছিল খাদ্যসংগ্রহ ও হিংস্র জীবজন্তু আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আত্মরক্ষার্থে। কারণ, তখনো মানবজীবন ছিল অসহায় ও দীনহীন। আর ১০ লাখ বছর আগে হোমো ইরেক্টাসদের আগুন আবিষ্কার মানুষকে সাহসী ও প্রত্যয়ী করেছিল- যা মানবসভ্যতাকে আধুনিকতার দিকে এগিয়ে নিতে বড় ভূমিকা রেখেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় প্রায় দুই লাখ বছর আগে আফ্রিকায় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে হোমো স্যাপিয়েন্সরা আর পঞ্চাশ হাজার বছর আগে থেকে আচরণগত আধুনিকতার প্রমাণ দিতে শুরু করে তারা। এক সময়ের এই যাযাবর মানুষ উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হয়ে গড়ে তোলে সমাজব্যবস্থা। খ্রিষ্টপূর্ব ১৩ হাজার অব্দে নিওলিথিক বিপস্নবের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় উৎপাদনমুখী পশুপালন ও কৃষি উৎপাদন। তারও কিছু পরে খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০ অব্দে মিশরে গড়ে ওঠে রাষ্ট্র ব্যবস্থা। ভারত-উপমহাদেশে রাষ্ট্র উদ্ভবের প্রাক-পর্ব ধরা হয় খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ থেকে ৬০০ অব্দের বৈদিক যুগকে। অর্থাৎ রাষ্ট্রের আদি রূপের আবির্ভাব ঘটে পরবর্তী বৈদিক যুগে। এটি হলো পূর্ণ রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রাক-পর্ব বা রাষ্ট্রপ্রতিম রাজনৈতিক পরিস্থিতি বা প্রায়-রাষ্ট্র (চৎড়ঃড়-ংঃধঃব) পর্ব। রাষ্ট্রের আবির্ভাব ঘটল আরও পরে দ্বিতীয় নগরায়ণের পর্বে খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০-৪০০ অব্দে। রাষ্ট্র ছিল তখন রাজার হস্তগত, তার ইচ্ছা-অনিচ্ছাই ছিল শেষ কথা। রাজা স্বৈরচারী হলে প্রজারা বিদ্রোহ করত, অধিকার আদায়ে বিপস্নব করত। তাই বলা যায়, বিপস্নব মানব ইতিহাসজুড়ে ঘটেছে। এর ফলে, মানুষের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক বিকাশ ও অগ্রগতিতে বিশাল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। আধুনিক সভ্যতায় তখনই বিপস্নব সংঘটিত হয় যখন জনসাধারণ চলমান শাসক বা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ক্ষমতা বা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে মৌলিক পরিবর্তন, পরিমার্জন সাধনের জন্য বিদ্রোহ করে। কার্ল মার্কস ও ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস সামাজিক সম্পর্কসমূহের গুণগত পরিবর্তনকেই বিপস্নব আখ্যা দিয়েছেন। বাংলা 'বিপস্নব' কথাটার মানে 'বিপরীত দিকে গমন করা'। বিপস্নব শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে গৃহীত- যার মূল অর্থ বিপরীত দিকে লাফ দেওয়া। বিপস্নবের সঙ্গে বিকল্পের রয়েছে দারুণ মিথস্ক্রিয়া। এরিস্টটলের কথায় সেই বিকল্পের সন্ধান পাই। এরিস্টটল দুই ধরনের রাজনৈতিক বিপস্নবের কথা বলেছেন- প্রথমত, এক সংবিধান থেকে অন্য সংবিধানে পূর্ণাঙ্গ পরিবর্তন এবং দ্বিতীয়ত, একটি বিরাজমান সংবিধানের সংস্কার। সাংবিধানিক সংস্কারের জন্য বিপস্নবের প্রথম সূত্রপাত ঘটে ১২১৫ সালে ব্রিটেনে রাজা বা রানির ক্ষমতা সীমিত করার জন্য- যা 'ম্যাগনা কার্টা' নামে পরিচিত। ১৬৮৮ সালের নভেম্বর মাসে ইংল্যান্ডে ঘটে আরেকটি বিপস্নব, যার নাম 'গেস্নারিয়াস রেভুলু্যশন'। রাজা তৃতীয় জেমস পদত্যাগ করলে তার মেয়ে দ্বিতীয় মেরি ও তার ডাচ স্বামী স্ট্যাডহোল্ডার উইলিয়াম (তৃতীয়) অফ অরেঞ্জকে ক্ষমতায় বসাবার মধ্য দিয়ে এই বিপস্নব ঘটেছিল। ইংল্যান্ডে বিপস্নবের পুনরাবৃত্তি ঘটে ১৮৮৮ সালে। ১৪৫০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে বিপস্নব অর্থে 'রেভুলু্যশন' শব্দটির ব্যবহার শুরু হয়। চতুর্দশ শতকের শেষের দিকে গ্রহ-নক্ষত্রের আবর্তন বা ঘোরা অর্থে ইংরেজিতে জবাড়ষঁঃরড়হ ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। ত্রয়োদশ শতক থেকে ফরাসি ভাষায় জবাড়ষঁঃরড়হ কথাটির ব্যবহার ছিল। 'সামাজিক-রাজনৈতিক অবস্থার আকস্মিক পরিবর্তন' অর্থে 'রেভুলু্যশন' শব্দটি ১৬৮৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠা পায়। রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক পরিবর্তনের আহ্বানে বিপস্নবের সূত্রপাত হতে থাকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। ১৭৬০ সালে শিল্পবিপস্নব সংঘটিত হয় ব্রিটেনে- যা চলমান ছিল ১৮৪০ সাল পর্যন্ত। আমেরিকান বিপস্নব সংঘটিত হয় ১৭৭৬ সালে; ১৭৮৯ সালের ১৪ জুলাই বাস্তিল দুর্গ পতনের মধ্য দিয়ে ফরাসি বিপস্নবের শুরু। এই বিপস্নবের মাধ্যমে পূর্বের রাজতন্ত্রের প্রথা ভেঙে প্রজাতান্ত্রিক আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ক্যাথলিক চার্চের গোঁড়ামি ভেঙে নিজেদের পুনর্গঠন করতে বাধ্য হয়। ফরাসি বিপস্নবের মূলনীতি ছিল- 'স্বাধীনতা, সমতা, ভ্রাতৃত্ব'। ১৯১৪ সালের ২৮ জুন অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী আর্চডিউক ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্দের হত্যাকান্ডের মাধ্যমে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত হয়। হত্যাকারী গাভরিলো প্রিন্সিপ নামের ছাত্রটি ছিলেন 'তরুণ বসনিয়া' দলের সদস্য, অস্ট্রো-হাঙ্গেরি শাসন থেকে মুক্তিই ছিল যাদের লক্ষ্য। যুদ্ধের পর সবাই ভেবেছিল- এমন মানব সৃষ্ঠ দুর্যোগের আর পুনরাবৃত্তি ঘটবে না, কিন্তু বিজয়ী ও পরাজিত শক্তিগুলো এমন সব কান্ড করতে থাকে- যা সদ্য সমাপ্ত যুদ্ধের চেয়ে ভয়াবহ এবং পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল। ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর নাৎসি বাহিনীর পোল্যান্ড আক্রমণের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। ১৯১৭ সালের ফেব্রম্নয়ারিতে রুশ বিপস্নবের মাধ্যমে রাশিয়ার শেষ জার দ্বিতীয় নিকোলাসের শাসনের অবসান ঘটে। ১৯১৭ সালে অক্টোবরের বিপস্নবের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করে বলশেভিক সরকার গঠিত হয়। এর পরের কয়েক বছর বলশেভিকদের সঙ্গে বলশেভিক বিরোধীদের গৃহযুদ্ধে জয়ী হয়ে বলশেভিকরা ১৯২২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন গঠন করে। ১৯১৮ সালে জার্মান বিপস্নব সংঘটিত হয়। মূলত, ১৯১৮ সালে যুদ্ধে জার্মানির পরাজয়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এর উগ্র জাতীয়তাবাদী প্রতিক্রিয়ার ফলে নাৎসি পার্টির আবির্ভাব ঘটে। নাৎসি পার্টি ১৯৩০-এর দশকে অ্যাডলফ হিটলারের নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসে। ১৯১৯ সালের মার্চ মাসে হাঙ্গেরিয়ান প্রজাতন্ত্র বিপস্নবের কারণে উল্টে যায় এবং হাঙ্গেরিয়ান সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র তৈরি হয়। এসব বিপস্নবের কারণ ছিল পশ্চিমা দেশসমূহের জাতপাত ও আভিজাত্যের সুস্পষ্ট পার্থক্যে বিভক্ত নিশ্চল সমাজব্যবস্থা। এই বিভক্ত সমাজকে কার্ল মার্কস নাম দিয়েছিলেন 'প্রাচ্যের স্বৈরতন্ত্র'; মার্কসের মতে, জীবন ছিল নিয়তির হাতে ছেড়ে দেওয়া উদ্যমহীন মর্যাদাহীন, আটকে পড়ে থাকা উদ্ভিদমার্কা জীবন। এই বিপস্নব শুধু ইউরোপ আমেরিকায় সীমাবদ্ধ ছিল না। এর প্রভাব এশিয়াকেও সংক্রমিত করেছিল। ১৯৪৫ সালের আগস্টে ঘটে ভিয়েতনাম বিপস্নব। ১৯৪৮ সালে বিপস্নবের ছোঁয়ায় বিভক্ত হয়ে যায় উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া। ১৯৪৫ সালে মাও সে তুং-এর নেতৃত্বে চীনে সংঘটিত বিপস্নবের রেশ ধরে ১৯৪৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের জন্ম হয়। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাকামী ভারতীয়দের বিপস্নবের মুখে ১৯৪৭ সালে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শক্তির পরাজয় ঘটে। মূলত, ১৭৫৭ সালে এই ব্রিটিশরা বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করে (মীরজাফর গংদের সহযোগিতায়) দুইশ বছর শোষণ-শাসনের মাধ্যমে ভারতবাসীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। ১৯৫৯ সালের ১ জানুয়ারি কিউবা-বিপস্নবের মাধ্যমে একনায়কতন্ত্রী শাসক ফুলগেনসিও বাতিস্তার পরাজয় ঘটে এবং ফিদেল ক্যাস্ট্রোর নেতৃত্বে একদলীয় কমিউনিস্ট শাসন প্রবর্তিত হয়। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে বিপস্নব ঘটিয়ে নয় মাস যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ। ১৯৭৯ সালে 'ইসলামী বিপস্নবের' মাধ্যমে ইরানি জনগণ প্রায় আড়াই হাজার বছরের পুরনো ইরানি রাজতন্ত্রকে উৎখাতের মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক-শক্তির জন্ম দেয়। সব বিপস্নবে জড়িয়ে আছে জনগণ। জনগণ অর্থ কেবল একশ্রেণির জনগোষ্ঠী নয়। জাত, ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়, শ্রেণি, লিঙ্গ, আচার, ব্যবহার, ভাষা, সংস্কৃতি ইত্যাদি নানানভাবে বিভক্ত সব জনগণ। সব ধরনের সামাজিক বৈচিত্র্যের ঊর্ধ্বে নিজেদের একক ও অখন্ড রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হিসেবে জনগণ রাষ্ট্রের মালিক; রাষ্ট্রের 'সার্বভৌম ক্ষমতা'র অধিকারী। রাজনৈতিক পরিমন্ডলে সামাজিক বৈচিত্র্য ও পরিচয় মুখ্য নয়- হোক তা ধর্মীয়, ভাষাগত অথবা সাংস্কৃতিক। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে জনগণই হলো প্রধান ও মুখ্য। তাই জনগণের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা উপভোগে কোনো দল বা গোষ্ঠী তা রাজনৈতিক হোক বা ধর্মীয় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। তা বিপরীত মতাদর্শের হলেও। আর এতে বাধা হয়ে দাঁড়ালেই জনগণ বিদ্রোহ-বিপস্নবে সর্বাত্মক সংস্কারের দিকে ধাবিত হয়। জনগণের রাজনৈতিক বিপস্নব বা গণতান্ত্রিক বিপস্নব রাষ্ট্রযন্ত্রের একচেটিয়া শাসনব্যবস্থাকে খোলনলচে পরিবর্তনের মাধ্যমে 'সার্বভৌম ক্ষমতা' জনগণের হাতে ফিরিয়ে আনে। জনগণই রাষ্ট্রের সব ক্ষমতার উৎস বলার অর্থ নিজেদের ঐক্য ও অখন্ডতা রক্ষার জন্য একটি গণতান্ত্রিক গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে 'জনগণ' একটি 'রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী' হিসেবে নিজেদের অস্তিত্বকে ঘোষণা করে একটি সর্বজনীন রাষ্ট্র ব্যবস্থা নিয়ে হাজির হয়। একচেটিয়া শাসন ব্যবস্থা হতে বিলুপ্ত নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও আদর্শকে পুনঃস্থাপনে সর্বাত্মক বিপস্নব কার্যকর ভূমিকা রাখে। এই সর্বাত্মক বিপস্নবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সাতটি বিষয়- সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, আদর্শগত বা বুদ্ধিবৃত্তিক, শিক্ষামূলক এবং আধ্যাত্মিক। এই বিষয়গুলোকে পরিকল্পনা মাফিক ধীরে- তবে দৃঢ়তার সঙ্গে পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জনের দ্বারা রাষ্ট্রের সংস্কার ও উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। রাগ-অনুরাগ, হিংসা-প্রতিহিংসা ভুলে এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় সব অংশীজনকে সম্পৃক্ত করতে হয়। কাউকে বাদ দিয়ে বা পেছনে রেখে রাষ্ট্রীয় সংস্কার সম্ভব নয়। সংস্কার একটি চলমান ও ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, এর চলমানতা বজায় রাখতে হবে। কারণ রাষ্ট্র ও সমাজের সামগ্রিক পরিবর্তন সময়সাপেক্ষ। তড়িগড়ি রাজনৈতিক কাঠামোর পরিবর্তন সাধন করা গেলেও মানুষের মন ও দৃষ্টিভঙ্গি এবং সেই সঙ্গে মূল্যবোধের পরিবর্তন হয় না। যার ফলে, রাজনৈতিক বিপস্নবের সুফলগুলো সাময়িক আকার ধারণ করে অর্থাৎ দীর্ঘ মেয়াদি সুফল পাওয়া যায় না। ফলে সংস্কার এমনভাবে হতে হবে যাতে এর প্রভাবে নাগরিক হৃদয়, দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়ে সর্বপ্রকারের অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্য অপসারিত হয়। ব্যক্তির বোধ-বোধি ও মননকে সব বাধা, নিষিদ্ধ প্রবৃত্তি ও বিবেচনা থেকে মুক্ত রাখতে হবে। যাতে মানসিক প্রক্রিয়া এমনভাবে সুবিন্যস্ত হয়, যে ব্যক্তি নিজে স্বতপ্রবৃত্ত হয়ে সেগুলোর অপসারণে উদ্যোগ নেয়। অমল বড়ুয়া : প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক