বনভূমি কেবলমাত্র কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে না, এটি জীববৈচিত্র্য রক্ষা, মাটি সংরক্ষণ এবং পানির গুণমান উন্নত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত ভূমিকা পালন করে। তবে বনায়নের এই চিত্র ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। বিশ্বব্যাপী বর্তমানে প্রায় ৪.০৬ বিলিয়ন হেক্টর বনভূমি আছে, যা পৃথিবীর মোট স্থলভাগের প্রায় ৩১%। তবে গত কয়েক দশকে ব্যাপকভাবে বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ মিলিয়ন হেক্টর বনভূমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, যা আকারে প্রায় পর্তুগালের সমান। অবৈধ বন উজাড়, কৃষি সম্প্রসারণ, নগরায়ন এবং অন্যান্য মানবসৃষ্ট কার্যক্রমের কারণে এই ঘটনা ঘটছে। তবে আশার কথা, কিছু দেশ এবং অঞ্চল বনায়নের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। যেমন- চীন এবং ভারতের মতো দেশগুলো বিশাল পরিমাণে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০১১ সাল থেকে চীন 'গ্রেট গ্রিন ওয়াল' নামে একটি প্রকল্পের অধীনে ৮০ বিলিয়ন গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে। বনভূমি প্রায় ৭০০ গিগাটন কার্বন সঞ্চয় করে, যা বিশ্বব্যাপী কার্বন সঞ্চয়ের প্রায় ৫০%। কিন্তু বন উজাড়ের কারণে এটি দ্রম্নত হ্রাস পাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ৮০% ভূমির জীববৈচিত্র্য বনভূমিতে বিদ্যমান। বনভূমি হারানোর ফলে এই জীববৈচিত্র্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। বিশ্ব মানচিত্রে প্রধান বনভূমি অঞ্চলগুলো হলো আমাজন রেইনফরেস্ট, কঙ্গো বেসিন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃষ্টি বন এবং তায়িগা বন। উপগ্রহ চিত্র এবং ডেটার মাধ্যমে দেখা যায় যে বনভূমির ঘনত্ব দিন দিন কমে যাচ্ছে, বিশেষত আমাজন এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো এলাকায়।
সামাজিক বনায়ন এমন একটি ধারণা, যা বন এবং বনজ সম্পদ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সম্প্রদায়ের সক্রিয় অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। এটি পরিবেশ সংরক্ষণ, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং স্থানীয় জনগণের জীবিকা নিশ্চিত করতে একটি টেকসই উপায় হিসেবে কাজ করে। সামাজিক বনায়নের মূল লক্ষ্য বন ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা, যাতে বনজ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় এবং এতে সরাসরি স্থানীয় জনগণ উপকৃত হয়। সামাজিক বনায়নের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পরিবেশ সংরক্ষণ, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করা। বন ধ্বংস রোধ এবং পুনঃবনায়নের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা। সামাজিক বনায়ন জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এটি বনজ উদ্ভিদ এবং প্রাণির প্রাকৃতিক বাসস্থান সংরক্ষণে সহায়তা করে। স্থানীয় জনগণকে জ্বালানি কাঠ, ফল, ঔষধি গাছ এবং ছোট কাঠের জোগান দিয়ে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ সৃষ্টি করে। সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচনে বিকল্প আয়ের উৎস সৃষ্টি করে সহায়তা করা যায়। বন এবং গাছ কার্বন-ডাই অক্সাইড শোষণ করে, যা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সামাজিক বনায়ন ভূমির উর্বরতা বৃদ্ধি, ভূমিক্ষয় রোধ এবং জলাশয় রক্ষা করে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।
এখন পর্যন্ত সামাজিক বনায়নের বেশ কয়েকটি মডেল দেখা গেছে। উলেস্নখযোগ্য মডেলগুলোর মধ্যে অন্যতম -
কমিউনিটি ফোরেস্ট্রি : এই ধরনের সামাজিক বনায়নে স্থানীয় সম্প্রদায়ের নিয়ন্ত্রণে বন ব্যবস্থাপনা করা হয়, যেখানে বনজ সম্পদের ব্যবহার এবং সংরক্ষণ উভয়ই স্থানীয় মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
অ্যাগ্রোফোরেস্ট্রি :অ্যাগ্রোফোরেস্ট্রি কৃষি জমিতে গাছ লাগানোর পদ্ধতি, যা জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে। এটি মাটি সংরক্ষণ, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ফার্ম ফোরেস্ট্রি : ফার্ম ফোরেস্ট্রি হলো ব্যক্তিগত জমিতে কৃষকদের দ্বারা গাছ রোপণ, যা তাদের ব্যক্তিগত চাহিদা মেটাতে এবং আয় বাড়াতে সহায়তা করে।
এক্সটেনশন ফোরেস্ট্রি : এক্সটেনশন ফোরেস্ট্রি হলো অব্যবহৃত বা প্রান্তিক ভূমিতে গাছ লাগানোর কার্যক্রম, যেমন রাস্তার ধারে, রেলপথের পাশে এবং খাল পাড়ে। এটি বনজ সম্পদের সুফলকে বিস্তৃত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়।
সামাজিক বনায়ন বাস্তবায়ন করার জন্য অনেক বাধা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার মানসিকতা ও কর্মদক্ষতা নিশ্চিত করা আবশ্যক। নিরাপদ ভূমি অধিকার সামাজিক বনায়নের সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভূমি অধিকার এবং সংরক্ষণ নিয়ে দ্বন্দ্ব বা অনিশ্চয়তা থাকলে, এটি সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। বিভিন্ন ব্যবহারকারী গোষ্ঠীর মধ্যে সম্পদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতে পারে যেমন, কৃষক ও পশুপালকের মধ্যে বা স্থানীয় সম্প্র্রদায় ও সরকার বা বেসরকারি কোম্পানির মধ্যে। এই দ্বন্দ্বগুলো সমাধানের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকা জরুরি। স্থানীয় জনগণকে টেকসই বন ব্যবস্থাপনা, সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং শাসন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের জন্য প্রাথমিক স্থাপনা, ব্যবস্থাপনা এবং পর্যবেক্ষণের জন্য অর্থায়ন প্রয়োজন। তবে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন নিশ্চিত করা একটি চ্যালেঞ্জ, বিশেষত উন্নয়নশীল দেশে, যেখানে সম্পদের ঘাটতি রয়েছে।
তবে সামাজিক বনায়নের সাফল্যের উদাহরণও কম নয়। উলেস্নখযোগ্য কয়েকটি তুলে ধরা হলো :
ভারতের যৌথ বন ব্যবস্থাপনা : ভারতের যৌথ বন ব্যবস্থাপনা একটি সফল সামাজিক বনায়ন প্রকল্প, যেখানে স্থানীয় সম্প্রদায় এবং সরকার এক সঙ্গে বন ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণ করছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বনাঞ্চলের বিস্তার, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং স্থানীয় জনগণের জীবিকা উন্নত হয়েছে।
নেপালের কমিউনিটি ফোরেস্ট্রি : নেপালের কমিউনিটি ফোরেস্ট্রি কর্মসূচি আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত, যা স্থানীয় ব্যবহারকারীগোষ্ঠীকে বন ব্যবস্থাপনা অধিকার প্রদান করেছে। এই কর্মসূচি বনাঞ্চলের উন্নতি, সম্প্র্রদায়ের জীবিকা উন্নত করা এবং নারী ও প্রান্তিকগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নে সহায়ক হয়েছে।
কেনিয়ার গ্রিন বেল্ট মুভমেন্ট : ওয়াঙ্গারি মাথাই দ্বারা পরিচালিত গ্রিন বেল্ট মুভমেন্ট কেনিয়ায় সামাজিক বনায়নের একটি সফল উদাহরণ, যা বৃক্ষরোপণ, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং নারীর ক্ষমতায়নকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
সবুজ পৃথিবী একটি সমন্বিত ও টেকসই জীবনযাত্রার ধারণা, যেখানে মানুষের কর্মকান্ড এবং প্রকৃতির মধ্যে একটি সুস্থ, ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়। এই ধারণার মূল লক্ষ্য হলো পৃথিবীর পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক সম্পদগুলোকে রক্ষা করা, যাতে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ, নিরাপদ এবং বসবাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করা যায়।
সবুজ পৃথিবীর মূলনীতিগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, দায়িত্বশীল ভোগ ও উৎপাদন, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার, পরিবেশগত ন্যায়বিচার এবং সচেতনতা। জীববৈচিত্র্য হলো প্রাকৃতিক পরিবেশের একটি অপরিহার্য অংশ। এটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং আমাদের খাদ্য, ঔষধি এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদের উৎস হিসেবে কাজ করে। বন আমাদের পৃথিবীর ফুসফুস হিসেবে কাজ করে। এটি বাতাস থেকে কার্বন-ডাই অক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন মুক্ত করে, যা বায়ুমন্ডলের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। সবুজ পৃথিবী ধারণায় বন সংরক্ষণ এবং পুনঃবনায়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। কার্বন নিঃসরণ জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ। সবুজ পৃথিবীর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার হ্রাস করা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ কমানো। শক্তির দক্ষ ব্যবহার এবং নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী শক্তির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব, যা পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমাতে সাহায্য করে। সবুজ পৃথিবী দায়িত্বশীল ভোগ এবং উৎপাদনকে উৎসাহিত করে, যাতে প্রাকৃতিক সম্পদ এবং শক্তির অপচয় কমিয়ে আনা যায়। এটি পুনর্ব্যবহার, পুনঃব্যবহার এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেয়। সার্কুলার অর্থনৈতিক মডেল বাস্তবায়নের মাধ্যমে সম্পদের পুনর্ব্যবহার ও পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে বর্জ্য কমানো হয়। এটি সম্পদ ব্যবহারের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। সৌরশক্তি এবং বায়ুশক্তি হলো দু'টি গুরুত্বপূর্ণ নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস, যা পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে বিশুদ্ধ শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম। শক্তি উৎসবৃদ্ধি এবং শক্তি সঞ্চয়নের উন্নতি একটি টেকসই এবং সবুজ পৃথিবী নিশ্চিত করতে সহায়ক। পরিবেশ সুরক্ষার জন্য জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিবেশগত শিক্ষার প্রচার একটি সুস্থ পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য অত্যাবশ্যক। পরিবেশগত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা মানে হল, প্রতিটি ব্যক্তি এবং সম্প্র্রদায়কে তাদের প্রাকৃতিক সম্পদের প্রতি সমান অধিকার এবং সুরক্ষা দেওয়া।
তবে সবুজ পৃথিবীর লক্ষ্য অর্জনে রাজনৈতিক অঙ্গীকার এবং অর্থনৈতিক বিনিয়োগ অপরিহার্য। অনেক সময় স্বল্পমেয়াদি রাজনৈতিক স্বার্থ বা অর্থনৈতিক নির্ভরতা টেকসই উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করে। জলবায়ু পরিবর্তন, দূষণ এবং প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার সম্পর্কিত সমস্যাগুলো বৈশ্বিক এবং এর জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং সমন্বয় প্রয়োজন। বিভিন্ন দেশের মধ্যে সমন্বয় এবং সহযোগিতার অভাব একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সবুজ পৃথিবীর লক্ষ্য অর্জনে প্রযুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে উন্নয়নশীল দেশে প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা এবং অনুপযুক্ত অবকাঠামোও একটি বড় বাধা হতে পারে।
সবুজ পৃথিবীর সফল উদাহরণগুলোর মধ্যে অন্যতম
নরওয়ে এবং সুইডেনের নবায়নযোগ্য শক্তি নীতি : নরওয়ে এবং সুইডেন পরিবেশবান্ধব শক্তি ব্যবস্থাপনায় বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তারা নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে এবং তাদের শক্তির বড় অংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আসে।
কোস্টারিকার কার্বন নিরপেক্ষ উদ্যোগ : কোস্টারিকা টেকসই বন ব্যবস্থাপনা, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার এবং কার্বন নিরপেক্ষ উন্নয়নের মাধ্যমে একটি সবুজ পৃথিবীর আদর্শ উদাহরণ স্থাপন করেছে।
চীনের সবুজ নগরায়ন : চীনের কিছু শহর যেমন, হাংঝু এবং শেনজেন সবুজ নগরায়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, যেখানে পরিবেশবান্ধব নগর পরিকল্পনা, সবুজ ভবন এবং টেকসই পরিবহণ ব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
সামাজিক বনায়ন ও সবুজ পৃথিবী ধারণা কেবল একটি পরিবেশগত লক্ষ্য নয়, এটি একটি বৈশ্বিক প্রয়োজন।
\হএটি পৃথিবীর সীমিত সম্পদগুলোর সঠিক ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, বাসযোগ্য এবং টেকসই পৃথিবী নিশ্চিত করার ওপর জোর দেয়। সবুজ পৃথিবী অর্জন করার জন্য আমাদের সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে, পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে এবং টেকসই জীবনযাত্রার দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
আবু হেনা মোস্তফা কামাল : চিকিৎসক, লেখক