শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

বাজারে স্বস্তি

তদারকি বাড়াতে হবে
  ১১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
বাজারে স্বস্তি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ভিন্ন এক চিত্র দেখা যাচ্ছে দেশের কাঁচাবাজারে। ইতোমধ্যেই স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে পরিবহণ ব্যবস্থা। ফলে, পণ্য সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের দাম। মাছ-মাংস ও সব ধরনের সবজির দাম আগের চেয়ে কমেছে। তবে পেঁয়াজ ও চালের দাম আগের অবস্থানে আছে। আর যেসব পণ্যের দাম কমেনি সেগুলো কমতে আরও কয়েকদিন সময় লাগতে পারে বলে মনে করেন বিক্রেতারা। ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে সরবরাহ কমে যাওয়ার প্রভাবে যেসব সবজির দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল, তা আবারও কমতে শুরু করেছে। তাদের মতে, পণ্য নিয়ে যে সিন্ডিকেট ছিল, সেটা নেই। এছাড়া পরিবহণে চাঁদাবাজিও নেই। ফলে, দাম কমিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিংয়ে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। এটা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অনেকেই।

এ কথা কোনোভাবেই অস্বীকার করার উপায় নেই, পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে মূলত ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট দায়ী ছিল। এখন সেটা ভেঙে পড়ায় আগের চেয়ে দাম অনেকটা কমে আসতে শুরু করেছে। নতুন প্রশাসনের অধীনে হয়তো এতটা প্রকট সিন্ডিকেট বজায় রাখতে পারবে না। তাই দাম আরও কমে আসবে। তবে, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। আগে যারা চাঁদাবাজি করত তারা সামনে নেই। নতুন কেউ যেন আবার পরিবহণ থেকে চাঁদাবাজি শুরু করতে না পারে সেটা খেয়াল রাখতে হবে।

কারওয়ানবাজারে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। পটোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি, যা দুদিন আগেও ছিল ৬০ টাকা। ঢঁ্যাড়সের কেজিও ৫০ থেকে নেমে এসেছে ৪০ টাকায়। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজিতে- যা ছিল ৫০ টাকা কেজি। এমনকি মরিচের ঝাঁজও কমতে শুরু করেছে। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। দুদিন আগেও এর দাম ছিল ৬০ টাকার ওপরে। প্রতি কেজি বেগুন যেখানে বাজারভেদে ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেখানে এখন এলাকাভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। ৮০ টাকায় উঠে যাওয়া ঝিঙা এখন ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। কমেছে আলুর দামও। প্রতি কেজি আলু ৭০ টাকা থেকে কমে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ২০০ টাকা- যা এ সপ্তাহে কমে দাঁড়িয়েছে ১৬৫ টাকায়। সোনালি বা পাকিস্তানি কক মুরগি ৩২০ টাকা থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২৭০ টাকা থেকে ২৮০ টাকায় এবং দেশি মুরগি ৬০০ টাকা থেকে কমে বর্তমানে ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলে মুরগির দাম আরও কমে আসবে। গত দুই দিনে বাড়েনি চালের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, আগের মতোই মিনিকেট ৭০-৭২ টাকা, আটাশ চাল ৫৮ টাকা, মোটা চাল ৫২ টাকা থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

আমরা মনে করি, দেশে উৎপন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত সব পর্যায়েই মনিটরিং থাকতে হবে- যাতে কেউ কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াতে না পারে। দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানার জন্য সরকারের দায়িত্বশীল যেসব সংস্থা আছে, সব সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে