ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে একটি মহল যে তান্ডব চালিয়েছে তা নজিরবিহীন। তান্ডব নৃশংসতার প্রধান নিশানা ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশাসনিক স্থাপনা ও সদস্যরা। এমনকি তাদের বাসা পর্যন্ত সহিংতা চালানো হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কৌশলে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জামায়াত-শিবিরের প্রশিক্ষিত ক্যাডার ও সরকারবিরোধী চক্র ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। পৈশাচিকভাবে হত্যা করা হয় তিনজন পুলিশ সদস্যকে। তাদের নৃশংস হামলায় আহত হয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহস্রাধিক সদস্য। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ২৩৫টি পুলিশের থানা, ফাঁড়ি, ক্যাম্প, বক্স, অফিস ও বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে. করা হয়েছে লুটপাট। পুলিশের ২৩৬টি যানবাহন ভাঙচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এসব স্থাপনা ও যানবাহনে নাশকতার ক্ষত এখন সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, ঢাকা অঞ্চলে ৯০টিসহ (রাজধানী ও ঢাকা জেলা) সারাদেশে ১১৩টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ ঘটেছে পুলিশের অবস্থান ও স্থাপনা ঘিরে। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গত ১৪ জুলাই রাত থেকে রাজধানী ঢাকায় সহিংসতা শুরু করে একটি পক্ষ। ক্রমেই তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজধানীতে। এরপর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, ঢাকা অঞ্চলে ৯০টিসহ (রাজধানী ও ঢাকা জেলা) সারাদেশে ১১৩টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ ঘটেছে পুলিশের অবস্থান ও স্থাপনা ঘিরে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গত ১৪ জুলাই রাত থেকে রাজধানী ঢাকায় সহিংসতা শুরু করে একটি পক্ষ। ক্রমেই তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজধানীতে। এরপর সহিংসতা গড়ায় দেশজুড়ে। সড়ক-রেলপথ অবরোধ করে সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ নাশকতা চালানো হয়। বিএনপির মদতে জামায়াত-শিবির ধ্বংসযজ্ঞে মেতে ওঠে। তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি মানুষ, চলাচলের পথ সড়কও। সড়ক বিভাজক, রেলিং ও গাছ উপড়ে ফেলাসহ তছনছ করা হয় রাজধানীর সড়ক। জামায়াত-শিবিরের এই নাশকতার প্রধান টার্গেট ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। নৃশংস হামলা চালানো হয় তাদের ওপর। উত্তরায়র্ যাবের এক সদস্যের ওপর হামলা চলিয়ে তাকে নৃশংভাবে হত্যা করা হয়েছে। বাড্ডায় পিবিআইর এক কর্মকর্তাকে বাসার নিচে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। যাত্রাবাড়ীতে দুই পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করে ব্রিজের সঙ্গে উল্টো করে ঝুলিয়ে পৈশাচিক উলস্নাস করেছে হত্যাকারীরা। আন্দোলনকারীদের হামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক হাজারেরও বেশি সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নাশকতা বেশি হয়েছে রামপুরা-বাড্ডা, মিরপুর-মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী-রায়েরবাগ, সায়েদাবাদ, শাহবাগ, কাকরাইল, মৌচাক, ধানমন্ডি, মহাখালী, বংশাল, নীলক্ষেত, ফকিরাপুল, সাভার। এসব এলাকার পুলিশ ফাঁড়ি ও পুলিশ বক্স ভাঙচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এসব এলাকার ট্রাফিক সিগন্যাল লাইট পর্যন্ত উপড়ে ফেলা হয়েছে। ধানমন্ডি ও মেরাদিয়ায় পিবিআই অফিস, উত্তরা পুলিশের ডিসি অফিস, নিউমার্কেট, রামপুরা, কদমতলী, মোহাম্মদপুর, উত্তরা পূর্ব ও যাত্রাবাড়ী থানায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। গাজীপুরের গাছা ও টঙ্গী পশ্চিম, টঙ্গীপূর্ব, বগুড়া সদর থানা ও রায়পুর তদন্ত কেন্দ্রে হামলা ও আগুন দেয়া হয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ বক্স, ফাঁড়ি ও থানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন সদস্যের বাসায়ও হামলা-লুটপাট চালায় আন্দোলনের নামে অপশক্তিগুলো। ঢাকাসহ সারাদেশে পুলিশের থানা, ফাঁড়ি, ক্যাম্প, বক্স, অফিস এবং বাসায় ২৩৫টি হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া পুলিশের মোটারসাইকেল, জিপ, পিকআপসহ ২৩৬টি যানবাহন ভাঙচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও তান্ডব চালিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বিটিভির একাংশ, মেট্রোরেল, এক্সপ্রেস ওয়ে। বর্তমানে মেট্রোরেল, এক্সপ্রেস ওয়েতে চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আমরা মনে করি, যারা দেশের সম্পদ ধ্বংস করে তারা দেশ ও জনগণের শত্রম্ন। যাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।