ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ৫ বিভাগ এই উদ্যোগ ইতিবাচক

প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বর্তমান সরকার দরিদ্রবান্ধব। বর্তমান সরকার দারিদ্র্য দূরীকরণে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। বর্তমান সরকার গরিবের সরকার, শেখ হাসিনা দরিদ্রবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। এর প্রমাণ বর্তমান সরকার নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে দিয়েছে। ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত এখন দেশের ৫ বিভাগ। ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে আট লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৭টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এতে উপকারভোগী মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩ লাখ ৩৯ হাজারেরও বেশি। এ পর্যন্ত ৫৮টি জেলা এবং ৪৬৪টি উপজেলা সম্পূর্ণভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হয়েছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহী এ ৫টি বিভাগ এখন সম্পূর্ণভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত। অর্থাৎ এসব জেলা, উপজেলা ও বিভাগে কোনো ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষ নেই। ব্যারাক হাউসের মাধ্যমে আমরা ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৯ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৮টি পরিবারকে পুনর্বাসন করেছি। ব্যারাক হাউস ছাড়াও আমরা ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৫৩টি পরিবারকে নিজ জমিতে বিনামূল্যে গৃহ নির্মাণ করে দিই। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫টি পরিবারের কাছে স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে ২ শতাংশ জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা একক ঘর হস্তান্তর করেছি। মুজিববর্ষে উপকারভোগী মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৩০ হাজার। ভূমিহীন-গৃহহীন-ছিন্নমূল মানুষকে জমির মালিকানাসহ ঘর করে দেওয়ার লক্ষ্যে সারাদেশে ৬ হাজার ৯৪৫ একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য তিন হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা। সাতক্ষীরা-৪ আসনের এস এম আতাউল হকের প্রশ্নের সংসদ নেতা বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরের ১৩ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা থেকে ৯.১২ গুণ বাড়িয়ে সদ্য গত হওয়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এক লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। ১১৯টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় এ সহায়তা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, কল্যাণকামী রাষ্ট্রের মূল কর্তব্য হচ্ছে জনগণকে সেবা দেওয়া। বিশেষত জনগণ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে বা যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা দেওয়াই হচ্ছে রাষ্ট্রের মূল কাজ। আমরা বিভিন্ন উন্নত রাষ্ট্রে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়িত হতে দেখেছি। তবে এই ধরনের সুবিধা উন্নত রাষ্ট্রগুলোয় দেওয়া হলেও বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এর অনুশীলন তেমন দেখা যেত না। ২০০৮ সালের পূর্বে বাংলাদেশের কোনো সরকারই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় এত ধরনের কর্মসূচি হাতে নেয়ার সাহস দেখায়নি। দিনবদলের সনদকে সামনে রেখে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার বিভিন্ন ব্যতিক্রমী কর্মসূচি হাতে নেয়। এরই অংশ হিসেবে দরিদ্র এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করার অভিপ্রায়ে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নেয় বর্তমান সরকার। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় অন্তর্ভুক্ত কর্মসূচির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এর সুবিধাভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুণ। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের যে কয়েকটি সিদ্ধান্ত জনগণের হৃদয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে দাগ কেটেছে তার মধ্যে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধাগুলো অন্যতম। আমরা মনে করি, এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।