প্রবাসী আয় বেড়েছে উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে

প্রকাশ | ২৫ জুন ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মাঝে মন্দাভাব থাকার পর ঈদকে কেন্দ্র করে আবার বেড়েছে প্রবাসী আয়। জুনের ২১ দিনে মোট প্রবাসী আয় এলো ১৯১ কোটি ৪৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২২ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১৭ টাকা হিসাবে)। রোববার এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঈদের আগে দুই সপ্তাহে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছিল ১১ কোটি ৭৬ লাখ ২৪ হাজার ২৮৫ মার্কিন ডলার। ঈদের পর ২১ জুন অবধি প্রতিদিনের প্রবাসী আয় কমে দাঁড়াল ৯ কোটি ১১ লাখ ৪৭৬ ডলারে। ডলারের দাম ১১০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১১৭ টাকা করার সঙ্গে সঙ্গে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় বাড়তে থাকে। জুন মাসে দুই সপ্তাহে প্রতিদিন প্রবাসী আয় আসার পরিমাণ এ যাবৎ কালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠে। কিন্তু ঈদের সপ্তাহে এই ধারা কিছুটা কমে আসে। আগের মাসের প্রতিদিন প্রবাসী আয় প্রবাহ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, চলতি বছরের মে মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছিল ৭ কোটি ৫১ লাখ ২৯ হাজার ৩৩৩ ডলার। আর আগের বছর ২০২৩ সালের জুন মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছিল ৭ কোটি ৩৩ লাখ ২ হাজার ৬৬৬ মার্কিন ডলার। এ হিসাবে জুন মাসে প্রবাসী আয় প্রবাহ এখনো ইতিবাচক। দেশে সাধারণত ঈদের মাসে প্রবাসী আয় বেশি পরিমাণে আসে। কারণ এ সময়ে প্রবাসীরা হিসাবের বাইরে অতিরিক্ত অর্থ পাঠায় উৎসবের কারণে। বাংলাদেশ জনসংখ্যাবহুল দেশ। সঙ্গত কারণেই দেশের জনশক্তিকে জনসম্পদে রূপান্তর করা সার্বিক অগ্রগতির প্রশ্নেই জরুরি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের মানুষ সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে প্রবাসী আয়। কিন্তু যদি মাঝে মাঝে প্রবাসী আয় সংক্রান্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে তা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগজনক। তবে ডলারের দর ওঠানামার কারণে এখনো হুন্ডিকে বেছে নিচ্ছে প্রবাসীরা। আর এই সুযোগ নিচ্ছে দেশি-বিদেশি অর্থ পাচারকারী একটি চক্র। যে কারণে ২০২৩ সালে দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক জনশক্তি রপ্তানি করেও প্রবাসী আয় তেমন বাড়েনি। এজন্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডলারের দর বাজারভিত্তিক করার বিকল্প নেই। যদিও বর্তমানে ডলারের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। মনে রাখা দরকার, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে প্রবাসী আয়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ফলে দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক জনশক্তি রপ্তানি করেও প্রবাসী আয় সেভাবে বাড়েনি। প্রবাসীদের রেমিট্যান্স নিয়ে দেশে-বিদেশে একটি চক্র অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত। ওই চক্রটি বিভিন্নভাবে খোলাবাজারের ডলার বেশি দরে নিচ্ছে। অন্যদিকে, হুন্ডির এই চক্রটি এতই সংঘবদ্ধ তাদের শনাক্ত করা কঠিন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৈধ পথে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স যেন পাঠায় সেটিকে সামনে রেখেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।