বর্তমানে দেশে বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিসগুলো মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিয়েছে। সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিসগুলো ইতোমধ্যে মানুষের আস্থার প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়েছে। এই বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিসের মান দিন দিন উন্নত হচ্ছে। মানুষ তাদের সেবায় মুগ্ধ। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে যেখানে বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিসগুলো প্রতিনিয়ত তাদের সেবার মান উন্নত করছে, সেখানে কিনা বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সেবার মান ক্রমশই ধীরগতি হয়ে যাচ্ছে। এই ডাক বিভাগে প্রতিবছর সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে থাকে। কিন্তু ডাক বিভাগ থেকে কাঙ্ক্ষিত সুফল পাচ্ছে না। যখনই ডাক বিভাগে জনবল নিয়োগের প্রয়োজন হয় তখন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু দিন দিন মানুষের আস্থা হারাচ্ছে। ডাক বিভাগ মানুষের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার প্রধানতম কারণ হচ্ছে, ডাক বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ডাক অধিদপ্তরের মান উন্নয়নে উদাসীন। বসে বসে বেতন পাওয়া যাচ্ছে, সরকারের পক্ষ থেকে সব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই। বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সেবার মান উন্নয়নে অবশ্যই উচিত, এই বিভাগে বাজেটের পরিমাণ বৃদ্ধি করা এবং এই বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তার দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহিতার আওতায় কঠোরভাবে নিয়ে আসা। বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ডাক বিভাগের সেবার মান যথেষ্ট প্রশংসনীয় অবস্থায় আছে। বিবিসি অনলাইনের সূত্রে জানা যায়, ভারতে করোনাকালীন সময় যখন ভারত সরকার লকডাউন চালু করে তখন ডাক বিভাগের মাধ্যমে জরুরি ওষুধসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হতো। আমাদের বাংলাদেশ ডাক বিভাগের অতীতে অনেক খ্যাতি থাকলেও বর্তমানে সেবার মান সন্তোষজনক না হওয়ায় সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
বাংলাদেশ ডাক বিভাগে পূর্বের ন্যায় জৌলুশ ফিরিয়ে আনতে হলে অবশ্যই সচল এবং গতিশীল ভূমিকায় ফিরতে হবে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। সেই সঙ্গে এই বিভাগে সেবার মান আরও উন্নত এবং গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হবে।
বাদশাহ আব্দুলস্নাহ
গাজীপুর